May 1, 2024

Marketing in the Music

LOKOGANDHAR ISSN : 2582-2705
Indigenous Art & Culture

Pankaj Kanti Das, B.A. (Hons), M. Music, M.B.A. (marketing)

Abstract

Marketing in the music industry plays a crucial role in helping artists reach their target audience, build their brand, and ultimately sell their music. Here are some key aspects of marketing in music: Branding: Establishing a unique identity is essential for artists. This includes their image, style, and message. Consistency across social media, album covers, and promotional materials helps in building recognition and connection with fans. Social Media: Platforms like Instagram, Twitter, Facebook, TikTok, and YouTube are vital for engaging with fans, sharing content, and promoting music. Artists often use these platforms to share updates, behind-the-scenes footage, and music videos, and interact directly with their audience. Public Relations (PR): PR involves managing the public image of an artist or band. This includes securing interviews, features in magazines or blogs, and managing press releases to generate buzz around new releases or tours. Streaming Services: With the rise of streaming platforms like Spotify, Apple Music, and Pandora, getting featured on playlists is crucial for exposure. Labels and artists work to get their music included on popular playlists to reach a wider audience. Live Performances and Tours: Live performances are a significant revenue stream for artists, and effective marketing is essential to promote concerts and tours. This involves advertising through various channels, engaging with fans on social media, and partnering with promoters to sell tickets. Merchandise: Selling merchandise such as t-shirts, hats, posters, and vinyl records is a way for artists to generate additional income and increase their brand visibility. Marketing merchandise often involves creating visually appealing designs and promoting them through social media and online stores. Collaborations and Features: Collaborating with other artists or featuring on tracks can help expand an artist’s audience. Marketing these collaborations involves cross-promotion between the artists involved and leveraging their respective fan bases. Music Videos: Creating visually captivating music videos can help promote songs and albums. Sharing music videos on platforms like YouTube and Vevo, as well as promoting them through social media and other channels, can help attract new fans. Email Marketing: Building an email list of fans allows artists to directly communicate with their most dedicated supporters. Email newsletters can be used to announce new releases, tours, merchandise, and exclusive content. Data Analytics: Utilizing data analytics tools to track streaming numbers, social media engagement, and audience demographics helps artists and labels understand their audience better and tailor their marketing strategies accordingly. Overall, effective marketing in the music industry involves a combination of creativity, strategic planning, and leveraging various channels to connect with fans and promote the artist’s work.

সারাংশ: আমাদের জীবনে সংগীতের প্রভাব অপরিসীম। সংগীতের মাধ্যমে মানব মনে এক অনাবিল আনন্দ জেগে উঠে। জীবনের চাওয়া পাওয়ার উর্ধ্বে উঠে কোমল অনুভূতিগুলোকে বিকাশের জন্য সংগীত একটি অনন্য মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়। যুগ যুগ ধরে সংগীতকে গুরুমুখী বিদ্যা বলা হয়। গুরু গৃহে অবস্থান করেই এই বিদ্যা চর্চা করা হত। প্রথমদিকে এই বিদ্যার প্রচার সীমিত থাকলেও কালের বিবর্তনে এই বিদ্যার ব্যাপক প্রচার ও প্রসার ঘটে। সংগীত প্রসারের জন্য বাজারজাতকরণ বা গধৎশবঃরহম এর বিকল্প নেই। সংগীতে বাজারজাতকরণের ধারণা, নীতি এবং প্রক্রিয়াগুলি এই প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয়।
মানব সভ্যতার আদিকাল থেকে সংগীতই মানুষের অনুভূতি প্রকাশের প্রধান মাধ্যম। সুখে, দুঃখে, উৎসবে, আনন্দে সংগীতই মানুষের প্রধান অবলম্বন। ”নিঃসঙ্গ ও বিক্ষিপ্ত মনকে সংযত করিয়া পরমার্থের পায়ে সমর্পণ করিবার জন্য সংগীতকে আমরা অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপায় বলিয়া গণ্য করিতে পারি” [দত্ত দেবব্রত, ২০১২: ২৬৬]। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে সংগীত বিশেষ স্থান দখল করে ছিল, আছে এবং থাকবে। সঙ্গীত এমন একটি ললিতকলা যার সংস্পর্শে মানব মন এক অনির্ব্বচনীয় সুধাসাগরের সন্ধান পায় ও অবসর সময়কে অনাবিল আনন্দের সাহচর্য্যে নিজের ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার উন্নতি ঘটাইতে পারে” [দত্ত দেবব্রত, ২০১২: ২৬৪]। ”শুধুমাত্র অবসর বিনোদনের প্রয়োজনে নয়, মানুয়ের কর্মদক্ষতা বাড়াতে, এমনকি রোগমুক্তি ঘটাতেও বর্তমানে সংগীতের প্রয়োগের কথা ভাবা হচ্ছে” [বন্দোপাধ্যায় প্রশান্তকুমার, ২০০৬: ১৫৭]। একসময় সংগীত ছিল বংশানুক্রমিক। সবার মধ্যে এই বিদ্যার প্রসার ছিলনা। বর্তমানে এর ব্যপ্তি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ছড়িয়েছে। সংগীতের ব্যাপক প্রসারের দ্বারা দেশের কলারসিক বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
সংগীতের বাজারজাতকরণের আলোচনার প্রথমেই বাজারজাতকরণ সম্পর্কে ধারণা নেয়া দরকার। বাজারজাতকরণ বলতে মূলত পণ্যসামগ্রী উৎপাদনের পূর্ব থেকে আরম্ভ করে পণ্য উৎপাদনের পর উৎপাদিত পণ্য ও সেবাসমূহ চূড়ান্ত ক্রেতার নিকট পৌঁছানো এবং সেই পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ক্রেতার অভিব্যক্তি গ্রহণ বুঝায়। Marketing as the process by which companies create value for customers and build strong customer relationships in order to capture value from customers in return [Kotler, Armstrong, 2013-2014: p.5]
এর প্রেক্ষিতে বলা যায়, সংগীতের ক্ষেত্রে বাজারজাতকরণ বলতে গায়ক, বাদক বা লেখক এর ভাব বা কল্পনা সুর বা স্বর এর মাধ্যমে শ্রোতার নিকট পৌঁছানো এবং সেই সুর বা স্বর সম্পর্কে শ্রোতার অভিব্যক্তি গ্রহণ। এর দ্বারা শিল্পীর সাথে শ্রোতার সম্পর্ক গভীর হতে পারে।
বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ভাল বাজারজাতকরণ ছাড়া সফল হওয়া যেমন অসম্ভব, তেমনি সংগীতের ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলির মধ্যে একটি হলো বাজারজাতকরণ। বর্তমান যুগে পরিবর্তনের সথে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শ্রোতাকে আবেগগতভাবে প্রভাবিত করার জন্য বাজারজাতকরণ একটি কার্যকর হাতিয়ার। বাজারজাতকরণের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো পণ্য এবং শিল্পীর সম্পর্কে তথ্যের প্রচার। এর আরেকটি কাজ হলো শ্রোতার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য তৈরী করা।

সংগীত পেশায় পরিবর্তনশীল পরিস্থিতির সাথে তাল মিলাতে শিল্পীর ঝডঙঞ বিশ্লেষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। SWOT হলো strength (শক্তি), Weekness (দুর্বলতা), Opportunity (সুযোগ), Threat (হুমকি) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। শক্তির বিশ্লেষণ দ্বারা একজন শিল্পী তার অনন্য শক্তি চিহ্নিত করতে পারে। দুর্বলতা বিশ্লেষণ দ্বারা উন্নতির ক্ষেত্রগুলো সনাক্ত করে দক্ষতা বা কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। সুযোগ বিশ্লেষণ দ¦ারা কর্মজীবনের সম্ভাব্য মাইলফলক অন্বেষণ করতে পারে। হুমকি বিশ্লেষণ দ্বারা সংগীত শিল্পে সম্ভাব্য ঝুঁকি শনাক্ত করতে পারে। যেকোন সংগীত অনুশীলনে প্রথম অবস্থায় কন্ঠ সাধনার ক্ষেত্রে যে পদ্ধতি অনুশীলন করে তা উচ্চাঙ্গ সংগীতেরই একটি বিশেষ প্রক্রিয়া। কন্ঠ তৈরী হলে একজন শিল্পী তার শক্তি, দুর্বলতা, সুযোগ ও হুমকি বিশ্লেষণ করে তার কর্মজীবন সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সে তার কর্মজীবন উচ্চাঙ্গ সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত বা লোক সংগীত কোনটিতে শুরু করবে তার সঠিক ধারণা SWOT বিশ্লেষণের মাধ্যমে তা সম্ভব। যন্ত্র সংগীতের (তবলা, পাখোয়াজ, শ্রীখোল, বেহালা, সেতার, সরোদ, সন্তুর, বাঁশী, হারমোনিয়াম ইত্যাদি) কোন্ যন্ত্রে একজন শিল্পী তার কর্মজীবনে প্রবেশ করবে SWOT বিশ্লেষণের মাধ্যমে তা সম্ভব। কন্ঠ বা যন্ত্র সংগীতই নয়, নৃত্যের ক্ষেত্রেও ভরত নাট্যম, কত্থক, মণিপুরী, কোন্ ক্ষেত্র একজন শিল্পীর জন্য উপযোগী তা SWOT বিশ্লেষণের মাধ্যেমে সহজ ও বোধগম্য হবে।
সবার চাহিদা এক নয়- উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সবার একই রকম হোটেল রুম, একই রকম গাড়ী, কলেজ, সিনেমা বা রেস্তোরা পছন্দ হবে না, ঠিক তেমনি সংগীতের ক্ষেত্রেও সবাই একই রকম সংগীত পছন্দ করবে তা নয়। কেউ উচ্চাঙ্গ সংগীত পছন্দ করবেন, কেউ বা লঘু সংগীত আবার কেউ বা যন্ত্র সংগীত পছন্দ করবেন। উচ্চাঙ্গ সংগীতের মধ্যেও কেউ ধ্রæপদ পছন্দ করবেন, কেউ বা ধামার আবার কেউ বা বিলম্বিত খেয়াল পছন্দ করবেন। লঘু সংগীতের মধ্যে কারোর পছন্দ হতে পারে নজরুল সংগীত, কারোর রবীন্দ্র সংগীত, আবার কারোর লোকসংগীত পছন্দ হতে পারে। আর যন্ত্র সংগীতের ক্ষেত্রে কেউ আনদ্ধ বা অবনদ্ধ বাদ্য (তবলা, পাখোয়াজ, খোল ইত্যাদি) পছন্দ করবেন, কেউ বা তত বাদ্য (তানপুরা, সেতার, সরোদ ইত্যাদি), কেউ বা সুষির বাদ্য (বাঁশি, হারমোনিয়াম ইত্যাদি) আবার কেউ বা ঘন বাদ্য (মন্দিরা, করতাল, খঞ্জনি ইত্যাদি) পছন্দ করতে পারেন। সংগীতের শ্রোতার মধ্যে কিছু শ্রোতা নিজরাই গায়ক বা বাদক। তারা নিজেরাও সংগীত পরিবেশন করতে পারদর্শী। পরিবেশিত গানের সঙ্গে নিজের গায়কীর সংমিশ্রণে নিজের গানকে সমৃদ্ধ করার জন্য তাঁরা সংগীত শুনে থাকেন। আবার কিছু শ্রোতা থাকেন যারা এককালে নিজেরাই সুপ্রতিষ্ঠিত শিল্পী ছিলেন, কিন্তু বর্তমানে কোন কারণে আর সংগীত পরিবেশন করতে পারেন না। আবার কিছু শ্রোতা যারা শিক্ষার্থী, ভবিষ্যতে নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে গুণীজনের পরিবেশনা শুনেনন। কেউ বা শুধুমাত্র অবসর বিনোদনের জন্য। সুতরাং, বাজারজাতকরণে শ্রোতা কোন্ শ্রেণীর তা বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
লক্ষ্যস্থিত বাজারে বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত বাজারজাতকরণ হাতিয়ারগুলোকেই বাজারজাতকরণ মিশ্রণ বা গধৎশবঃরহম গরী বলে। এগুলো হলো: Marketing Mix (বাজারজাতকরণ): Product (পণ্য), Price (দাম), Place (স্থান), Promotion (প্রচার)| সংগীতের ক্ষেত্রে এগুলোকে নিম্নোক্তভাবে বর্ণনা করা যেতে পারে-
পণ্য: বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে সংগীত নিজেই একটি পণ্য। সংগীতের গুণমান, বিভিন্ন ঘরানার তৈরী বন্দীশ বা বোল-বাণী, শিল্পীর সামগ্রিক শৈল্পিক পরিচয় এর আওতায় আনা যায়। সংগীতের গুণমান, বিভিন্ন ঘরানার তৈরী বন্দীশ বা বোল-বাণী, শিল্পীর সামগ্রিক শৈল্পিক পরিচয় ইত্যাদি দ্বারা শ্রোতাদের প্রত্যাশা ও পছন্দগুলি পূরণ হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
মূল্য: মূল্য বলতে শুধু বন্দীশ বা বোলের মূল্যায়ন হবে তা নয়, এক্ষেত্রে একজন শিল্পীর রেওয়াজ বা সাধনাকে মূল্যায়ন করা বা তাঁর মঞ্চ পরিবেশনার টিকেট এক্ষেত্রে বিবেচনা করা যায়।
স্থান: কোন্ মাধ্যমে বা কোন্ স্থানে শ্রোতাদের নিকট সংগীত পৌঁছানো যায় তার সাথে সম্পর্কিত। রেকর্ড, অনলাইন বা মঞ্চপরিবেশনা যে উপায়ে শ্রোতাদের কাছে সহজে উপলব্ধ করা যায় সেটাই বিবেচনা করতে হবে।
প্রচার: শ্রোতাদের মধ্যে সংগীতের সচেতনতা তৈরী এবং আগ্রহ তৈরী করাই প্রচারের মূল উদ্দেশ্য। প্রত্যেক সংগীত শিল্পীর প্রচারের কৌশল স্বতন্ত্র এবং অনন্য হওয়া উচিত।
সংগীতের বাজারজাতকরণে পণ্য, মূল্য, স্থান এবং প্রচারে দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য্য।
প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত ভোক্তাদের আচরণ প্রত্যক্ষ্যণ করতে হয়। সব অঞ্চলের লোকজনের খাবারের পছন্দের তালিকা এক নয়, যেমন ঢাকার লোকজনের খাবারের পছন্দ এক রকম, সিলেট অঞ্চলের এক রকম, বরিশাল, নোয়াখালী অঞ্চলের লোকজনের খাবারের পছন্দ এক এক রকম। তদ্রƒপ সংগীতেও সব অঞ্চলের লোকজনের একই রকম সংগীত পছন্দ হবে তা নয়। যেমন সিলেট অঞ্চলের লোকজন হাছন রাজার গান, ধামাইল গান, কুষ্টিয়া অঞ্চলের লোকজন লালন সাঁইজির গান, উত্তরাঞ্চলের লোকজন ভাওয়াইয়া গান পছন্দ করবেন, সেটাই স্বাভাবিক। সুতরাং বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে অঞ্চলের প্রাধান্যের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাজারজাতকরণে ব্র্যান্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্র্যান্ড হচ্ছে যে কোনো নাম, চিহ্ন, শব্দ, পদ, প্রতীক বা এগুলোর সংমিশ্রণ, যা একটি পণ্যকে প্রতিযোগী পণ্য থেকে আলাদা করে। সংগীতের ঘরানা বা বাণীগুলোকেই ব্র্যান্ড হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। তাছাড়া বাংলা গানের ধারাগুলোকেও ব্র্যান্ড হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। কোন সংগীত শিল্পীর বা পরিবারের গায়ন বৈশিষ্ট্য বা বাদনরীতি যখন নিজ বৈশিষ্ট্যসহ গুরু শিষ্য পরম্পরায় সর্বসাধারণের গ্রহণযোগ্যতার ফলে প্রতিষ্ঠা লাভ করে, সেই গায়নরীতি বা বাদনরীতি বা ধারাটিই এক একটি ঘরানা বা বাণী রূপে চিহ্নিত হয়। ঘরানার বাণী বা বন্দীশ থেকে এর গায়নরীতি বা বাদনরীতির দ্বারা একটি ঘরানাকে আরেকটি ঘরানা থেকে আলাদা করা যায়। ধ্রুপদ গানের ক্ষেত্রে চারটি বাণীর উল্লেখ পাওয়া যায়- গরহর বা গোবরহার বাণী, ডাগর বাণী, খান্ডার বাণী, নওহর বাণী। খেয়াল গানের ক্ষেত্রে গোয়ালিয়র ঘরানা, আগ্রা ঘরানা, দিল্লী ঘরানা, সাহরানপুর ঘরানা, অতরৌলী ঘরানা, তানসেন ঘরানা, সহসবান ঘরানা, খুবজা ঘরানা, মথুরা ঘরানা, বেতিয়া ঘরানা, কিরানা ঘরানা, জয়পুর ঘরানা, বিষ্ণুপুর ঘরানা, আল্লাদিয়া ঘরানা, পাতিয়ালা ঘরানা, সেনী ঘরানার উল্লেখ রয়েছে। তন্ত্র বাদ্যের মধ্যে সেনী ঘরানা, গোয়ালিয়র সেনীয় ঘরানা, জয়দেবপুর সেনীয় ঘরানা, মাইহর, বাবু খাঁ সাহারানপুর ঘরানা, কাল্পী ঘরানা, বান্দা ঘরানা, দ্বারভাঙ্গা ঘরানা, গোয়ালিয়র ঘরানা, করামতউল্লা ঘরানা, রামপুর ঘরানার উল্লেখ রয়েছে। তবলার ক্ষেত্রে দিল্লী ঘরানা, লক্ষনৌ ঘরানা, ফরুখাবাদ ঘরানা, বেনারস ঘরানা, অজরাড়া ঘরানা এবং পাঞ্জাব ঘরানা বিশেষভাবে স্বীকৃত। বাংলা গানের ধারার মধ্যে রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, লোক সংগীত কে এক একটি ব্র্যান্ড হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। একজন শিল্পীর ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড হলো তার সংগীত, মূল্যবোধ, বিশ্বাস এর প্রতিফলন। ব্র্যান্ড এর দ্বারা শ্রোতার কাছে ভাবমূর্তি তৈরি বা নির্দিষ্ট ঘরানার অনুগত শ্রোতা তৈরি করা সম্ভব।

বাজারজাতকরণে বিজ্ঞাপণ হচ্ছে অন্যতম হাতিয়ার। কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি বিশেষের উৎপাদিত পণ্য, সেবা বা ধারণার প্রতি জনগণের বিশ্বাস জন্মানোর একটি কৌশল হল বিজ্ঞাপণ, যার মাধ্যমে উক্ত পণ্য, সেবা বা ধারণা ক্রয়ে ভোক্তা আকৃষ্ট হন। বিজ্ঞাপণের উদ্দেশ্য হল ভোক্তার কাছ থেকে যে কোন উপায়ে পণ্য, সেবা বা ধারণার প্রতি চিন্তা বা প্রতিক্রিয়া আদায় করা। সংগীতের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ঘরানার তৈরী বন্দীশ বা বাংলা গানের বিভিন্ন ধারার গান শ্রোতার নিকট গ্রহণযোগ্য করে তোলা বা শ্রোতার প্রতিক্রিয়া জানার জন্য বিজ্ঞাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞাপণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপণের উদ্দেশ্য, বিজ্ঞাপণের বাজেট, বিজ্ঞাপণের বার্তা, বিজ্ঞাপণের মাধ্যম (রেডিও, টেলিভিশন, খবরের কাগজ, ইন্টারনেট, ম্যাগাজিন, মঞ্চ পরিবেশনা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম), বিজ্ঞাপণের মূল্যায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাজারজাতকরণে সংগীত সম্মেলনের গুরুত্বও কম নয়। সংগীত সম্মেলনের মাধ্যমে গুণী শিল্পীদের শিল্পসৃষ্টির প্রত্যক্ষ আদান-প্রদান যতটা ফলপ্রসু হয়, অন্য কিছুর মাধ্যমে ততটা হতে পারে না। আবার ভিন্ন ভিন্ন ঘরানার শিল্পীদের নিকট শ্রোতাগণ অনুরোধের দ্বারা তাদের কাঙ্খিত রাগের পরিস্কার ধারণা নিতে পারে।
তথ্যসূত্র ঃ
১. করুণাময় গোস্বামী, সংগীতকোষ, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ২০০৪
২. দেবব্রত দত্ত, সঙ্গীত-তত্ব [শাস্ত্রীয় তথা ভাব সঙ্গীত প্রসঙ্গ], দ্বিতীয় খন্ড, ব্রতী প্রকাশনী, কলকাতা, ২০১২
৩. ডঃ প্রশান্তকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, তবলার ব্যাকরণ, প্রথম আবৃত্তি, আদি নাথ ব্রাদার্স, কলকাতা, ২০০৬
৪. ডঃ প্রশান্তকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, তবলার ব্যাকরণ, দ্বিতীয় আবৃত্তি, আদি নাথ ব্রাদার্স এবং নাথ ব্রাদার্স, কলকাতা, ২০০৫
৫. মোঃ ফারুক, বাজারজাতকরণ নীতিমালা, মিলেনিয়াম পাবলিকেশন্স, ঢাকা, ২০২২

6. https://www.careersinmusic.com/music-marketing/

7. Leon G. Schiffman, Leslie Lazar Kanuk, Consumer Behavior, Prentice Hall of India, (9th ed.), 2010-2011

8. Mikhail Ekimov, “The importance of Marketing in the music industry” from https://www.theseus.fi/bitstream/handle/10024/504803/Thesis%20Ekimov%20Mikhail%202021.pdf?sequence=2

9. Naresh K. Malhotra, Satyabhushan Dash, Marketing Research, An Applied Orientation, Dorling Kindersley (India) Pvt. Ltd, (6th ed.), 2013-2014

10. Philip Kotler, Gary Armstrong, Principles Of Marketing, Pearson Prentice Hall, (14th ed.), 2013-2014

11.Ruyi Zhao, “Marketing Mix Of The Music Industry In The United States And South Korea” from https://repositori.upf.edu/bitstream/handle/10230/26260/zhaomarketing.pdf?sequence=1