Theatre Practice And History Of Natyasarathi: Looking Back A Journey Of Half A Century
Theatre Practice And History Of Natyasarathi : Looking Back A Journey Of Half A Century
Ankush Das , Research Scholar , Department of Drama (Faculty of Fine Arts) , Rabindra Bharati University , Kolkata
Abstract :
India has just became independent. The Joys of freedom prevails at Bolpur town. The passing away of Gurudev Rabindranath grief has erased the wounds of famine and partition of nation. This wounds are much more pathetic and true then the cultural practice, love and sense. But the truth and brutality couldn’t curb the theatre practice. Amateur theatre practice was prevalent at Bolpur like other parts of Birbhum in pre independent period. This practice still in force despite the wave of freedom. Approximately in 40’s ‘Bastughughu Club’ of Kalibaroyaritala and an amateur theatre group named ‘Shrinatyam’ in 50’s was involved in theatre at Bolpur. At that time well know theatre personality Gurudas Bandyopadhyay came to Bolpur for the direction some plays. Legendary jatra actress Jyotsna Dutta too acted in few plays in her childhood. At that time some plays were staged at Bichitra Cinema Hall (now defunct). In this context of theatre practice of those time Bijoy Kumar Das said that ,- “The year 1952-53 is regarded as the awakening period of theatre cultural of Bolpur. The theatre of Bolpur started centered around Trishulapatti , Dharmarajtala , Kalikapur , Kacharipatti , Kalibaroyaritala areas”. This amateur and unprofessional practice didn’t last long. In this context Bandiram Chakraborty said thate,- “After some days Shrinatyam was abolished for bening detached of group members”. Just after the abolition of Shrinatyam a new chapter of group theatre was started. From the article of Pradip Kabiraj,- “After the span of teen years of Shrinatyam’s end Verdant Theatre Group formed at Bolpur”. A young school boy named Badre Alam was the founder of this group and ‘Verdant Theatre Group’ is that first theatre group in town Bolpur introduced by him. Although a short term group named ‘Unmesh’ has been formed by Muktipada Dey (Son of Krishnagati Dey and Durgarani Dey ; Born: 02nd Jun 1940 C.) in this period. Mr Dey directed some plays which were staged in annual program of Bolpur College. From an interview of Mr Dey and his Book ‘Prachin Bolpur – Itikathay Smritikathay’ (Publish: Janmastami , 1423 Bangabda ; 2016 C.) we came to know he founded ‘Unmesh’ nearly 1957-58 with some classmates and some local youths after his school final examination. At that time Birbhum theatre personality Kinkar Chattyopadhyay of Rampurhat posted at Bolpur Rail Station. Mr Chattyopadhyay directed some play of Unmesh. In spite of being active in the late 60’s Unmesh staged only few plays. Later some plays were stage at the annual program of Bolpur collage under the direction of Muktipada Dey. Mr Dey adopted a story ‘Nirbasita’ from litterateur Bibhutibhushan Mukhopadhyay for dramatic transformation. Muktipada Dey send the manuscript to the residence of Bibhutibhushan at Darbhanga of Bihar by post for opinion. In the meantime Naxal movement spread the entire Birbhum. In this period theatre culture of Bolpur had stunned as usual. Amidst the effect of the Nexal movement and post-independent situation of Bangladesh a group of young blood of Bolpur set foot on the stage. As the result one of the biggest theatre group Natyasarathi was formed in Birbhum district. The Verdant Theatre Group gave town Bolpur the first taste of group theatre. And Natyasarathi gave the first taste of professional group theatre. This research Article traces the long 50th years footprints of Natyasarathi.
Keywords :
Group Theatre of Bengal , Theatre of Birbhum , Natyasarathi , Bolpur , Santiniketan
নাট্যচর্চায় ও ইতিহাসে নাট্যসারথী : অর্ধশত বর্ষে ফিরে দেখা এক যাত্রাপথ
সময়টা ১৯৭২। সেই বছর ‘ফ্রেব্রুয়ারি মাসে নিচুপটি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে’১ বোলপুর নিবাসী পার্থসারথী ভট্টাচার্য রচিত ও নির্দেশিত ‘দেওয়াল’ প্রযোজনা দিয়ে পথ চলা শুরু করা একদা বীরভূম জেলার সর্ববৃহৎ নাট্যদল নাট্যসারথীর। নাট্যসারথীর প্রতিষ্ঠাকাল সম্পর্কে বলা হয়েছে ‘নাট্যসারথী আত্মপ্রকাশ করেছিল এমন এক আর্থ-সামাজিক , রাজনৈতিক অবস্থায় যখন স্বাধীনতা উত্তর ভারতবর্ষের আসমুদ্র-হিমাচল কম্পিত করেছিল যে ছাত্র যুবক বিদ্রোহ তা তখন কারার পাষাণ প্রাচীরে মাথা ঠুকে রক্তাক্ত।’২ দলের প্রতিষ্ঠাতা পার্থসারথী বাবুর সেই সময় সহযোদ্ধাদের মধ্যে কয়েকজন হলেন প্রদীপ কবিরাজ , সুবোধ নায়েক , অসিত রঞ্জন চৌধুরী , অশোক মুখার্জী , ব্রজগোপাল সাধু , ব্রহ্মদেব সিং , শ্যামল চক্রবর্তী , অশোক ভকত , বৃন্দাবন দাস , সুশীল নায়েক , জগদীশ গড়াই , সমীরময় মল্লিক প্রমুখরা। ১৯৮২ সাল পর্যন্ত নাট্যসারথী এই প্রথম ১০ বছরে নিজেরদের বিভিন্ন প্রযোজনা জেলা ও রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মোট ২০২ বার মঞ্চস্থ করে। যার থেকে তৎকালীন জেলার অন্যতম সর্ববৃহৎ নাট্যদলের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে ধারণা করা যায়। সেই সময় মহড়া হত পাড়ার কালী মন্দির চত্তরে (স্থানাঙ্ক- ৮৭০৪২/০৩// পূর্ব ২৩০৩৯/৪০// উত্তর) যা বর্তমানে ‘কালী বারোয়ারী মন্দির’ (পুনঃনির্মাণ ১৪০৩ বঙ্গাব্দ) নামে পরিচিত। পরে সেখানেই নাট্যসারথী প্রযোজনাগুলি বহুবার মঞ্চস্থও হয়েছে।
নাট্যসারথীর প্রতিষ্ঠাতা পার্থসারথী ভট্টাচার্যের ছদ্মনাম ছিল ‘অগ্নিসাৎ’। মূলত এই ছদ্মনামেই উনি আদ্যপ্রান্ত রাজনৈতিক নাটক দেওয়াল সহ পরবর্তীতে আরও কিছু নাটক লেখেন। খুব সম্ভবত ১৯৭২ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি দেওয়াল প্রযোজনা প্রথম মঞ্চস্থ হয় সরস্বতী পূজা উপলক্ষে। বিচিন্ন চরিত্রে যারা রূপদান করেন তারা হলেন রণদাপ্রসাদ মজুমদার (কবি) , অসিৎরঞ্জন চৌধুরী (খোকা , মাষ্টার) , ব্রহ্মদেব সিং (অনল) , অশোককুমার মুখার্জী (বাচ্চু) , সুবোধ কুমার নায়েক (অবনী) , রবীন্দ্রনাথ অধিকারী (শ্রীধর) , ব্রজগোপাল সাধু (রমাপদ) , প্রদীপকুমার দাস কবিরাজ (ভিখারী) , রতনকুমার দত্ত (শ্যামল) , অখিলকুমার রায় (দীপু) , শ্যামলবরণ চক্রবর্তী (১ম পুঁজিপতি) , অশোককুমার ভকত (২য় পুঁজিপতি) ও অগ্নিসাৎ (কমল)। এছাড়াও অমিয়কুমার ভট্টাচার্য ছিলেন রূপ সজ্জার দায়িত্বে। দেওয়াল প্রযোজনার প্রচার / আমন্ত্রণ পত্রে লেখা হয় ‘আজকের যুব সমাজের যে যুগ যন্ত্রণার ছাপ গ্রীষ্মের স্নো , পাউডারের মত ফুটে আছে তাদের মুখে , বৃদ্ধ সমাজের সঙ্গে যুবসমাজের মতবিরোধ ও মেকি শিক্ষা পদ্ধতি – এই নিয়েই আজ সিদ্ধান্ত হয়েছে যে সবার মূলে ওই দেওয়াল , যা টপকালেই আলোর সন্ধান পাওয়া যাবে। দুঃখ , দারিদ্র , আঘাত , হতাশা সংবরণ করে তাই আসুন আমরা আজ থেকে দেওয়াল ভাঙার পণ করি।’
[চিত্র- ১] নাট্যসারথীর পাওয়া প্রথম শিল্ড ‘দেওয়াল’ প্রযোজনার জন্য
প্রতিষ্ঠার পরের বছর ১৯৭৩ সালে মঞ্চস্থ হওয়া এই নাট্যদলের আরও একটি উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা পার্থসারথী ভট্টাচার্য রচিত ও নির্দেশিত ‘রক্তাক্ত সংলাপ’। এই প্রযোজনায় অভিনয় করেন অসিৎরঞ্জন চৌধুরী (নিবারণ) , প্রদীপ কবিরাজ (পাগল) , অশোক মুখার্জী , ব্রহ্মদেব সিং (মুরলী) , ধীরেন চন্দ্র (বাদল) , অনিল যশ , শুভাশিষ হাজরা (মৃণাল) ও তরুণ মুখার্জী (সন্দীপন)। এছাড়াও আবহ সঙ্গীতের দায়িত্বে ছিলেন মধুসুধন দাস , নিখিল পাল , রুদ্র প্রসাদ মজুমদার , রবিশঙ্কর দাস , বরদশঙ্কর দাস ও উমাশঙ্কর দাস। ১৯৭৭ সালের ৫ই মার্চ পাড়ারই কালী মন্দির প্রাঙ্গণে দলের ৫ম বাৎসরিক উৎসবে মঞ্চস্থ হওয়া ‘জোড়া জোড়া বিষ ফোঁড়া’ প্রযোজনাতে বিমল পাল , অসিতরঞ্জন চৌধুরী , প্রদীপ কবিরাজ , লকা সরকার , পার্থসারথী ভট্টাচার্য অভিনয় করেন। পাশাপাশি আলো প্রক্ষেপণের দায়িত্বে শ্যামল চক্রবর্তী এবং আবহ সঙ্গীতের দায়িত্বে ছিলেন তপন বসু ও বিবেকানন্দ মজুমদার।
[চিত্র- ২] নাট্যসারথীর একাদশ বর্ষের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন অমিয় চট্টরাজ
সত্তরের দশকের অন্তিম হতে খোদ প্রতিষ্ঠাতার জীবনযাত্রার ভারসাম্যহীনতা সহ বিবিধ আনুসাঙ্গিক অসুবিধার কারণে দলের সাথে ক্রমাগত দুরত্ব তৈরি হতে শুরু করে। নবম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ১৯৮১ সালে মঞ্চস্থ হয় পার্থসারথী ভট্টাচার্য রচিত ও নির্দেশিত৩ ‘ব্যালেন্স’। ১৯৮২ সালে ‘ঝড়ের বৌ’ মঞ্চস্থ হওয়া পর থেকে পার্থসারথী ভট্টাচার্য ধীরে ধীরে দল থেকে সরে যান। এই সময়কালেই অমল পালের সূত্রে পার্থবাবুর সাথে অমিয় চট্টরাজের পরিচয় হওয়া ও নাট্যসারথীতে যোগদান। পাশাপাশি পার্থ বাবুর অনুপস্থিতিতে দলের হাল ধরেন প্রদীপ কবিরাজ।
১৯৮২ সালে ১৪ই ও ১৫ই ডিসেম্বর বোলপুর সাধারণ পাঠাগারে আয়োজিত নাট্যসারথীর দশম বর্ষ নাট্যোৎসবে নানা রঙের দিন , কবর থেকে বলছি ও তাহার নামটি রঞ্জনা প্রযোজনা মঞ্চস্থ হয়।৪ ১৯৮৩ সালে ২৭শে ফ্রেব্রুয়ারি কালী বারোয়ারী মন্দির প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বোলপুরের সংস্কৃতি মনস্ক মানুষের পক্ষ থেকে নাট্যসারথী ‘সোভিয়েত ল্যান্ড নেহেরু’ পুরস্কারে ভূষিত হওয়ার জন্য কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করে। ১৯৮৪ সালে নাট্য আকাডেমী পরিচালিত জেলা নাট্য উৎসবে খরা ও জলকষ্টের প্রসঙ্গ থাকায় অমল রায় রচিত নাট্যসারথীর ‘আকালের দেশে’ মনোনয়ন পায়নি। যাইহোক , শ্রী কবিরাজ দায়িত্বে আসার পর থেকে নাট্যসারথী পুনরায় নতুন উদ্যমে নাট্যচর্চায় লিপ্ত হয়। মূলত এই সময়েই অমিয় চট্টরাজও দলে আসেন। শ্রী কবিরাজ পরিচালিত ও অভিনীত হরিপদ শীতবস্ত্রে নিজের অভিনয় দক্ষতায় আজও তাঁর নাম ও নাট্যসারথী নাম বোলপুর সহ সমগ্র জেলায় অম্লান হয়ে আছে। এছাড়াও মূলত তাঁর আমলেই শান্তিনিকেতন বৃত্তের বাইরে গ্রুপ থিয়েটারে বোলপুর এলাকায় রবীন্দ্র প্রযোজনা মঞ্চস্থ হয়। শ্রী কবিরাজ পরিচালিত ও অভিনীত বহু প্রযোজনা নাট্যসারথীকে এনে দেয় জেলা , রাজ্য ও সর্বভারতীয় পুরষ্কার এবং সরকারী অনুদান।৫ ১৯৮৫ সালে মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে সিটি বেঙ্গলি ক্লাব আয়োজিত সর্বভারতীয় একাঙ্ক নাট্য প্রতিযোগিতায় ‘হরিপদ শীতবস্ত্র’ প্রযোজনায় অভিনয়ের দৌলতে শ্রেষ্ঠ চরিত্রাভিনেতা হন চয়ন অধিকারী।৬ সেইসাথে জব্বলপুর প্রবাসী বঙ্গীয় সংসদ আয়োজিত সর্বভারতীয় একাঙ্ক নাট্য প্রতিযোগিতায় এই প্রযোজনা শ্রেষ্ঠ অভিনেতা , শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রাভিনেতা , শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা ও দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরষ্কার অর্জন করে।৭ এছাড়াও বাটানগর রিক্রিশন ক্লাব আয়োজিত সারা বাংলা একাঙ্ক নাট্য প্রতিযোগিতাতেও শ্রেষ্ঠ অভিনিতার হন চয়ন অধিকারী ও চতুর্থ শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা ও পরিচালনার পুরষ্কার জেতে হরিপদ শীতবস্ত্র।
[চিত্র- ৩] হরিপদ শীত বস্ত্র নাটকের জন্য চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিংহের হাত থেকে পুরষ্কার নিচ্ছেন প্রদীপ কবিরাজ
১৯৮৭ সালে স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বোলপুর সাধারণ পাঠাগারে সন্ধ্যায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মঞ্চস্থ হয় ‘বিনয় বাদল দীনেশ’ প্রযোজনা। যাতে অভিনয় করেন প্রদীপ পুরোহিত (টেগার্ট) , দেবকুমার শর্মা (লোম্যান) , অশোক কুন্তু (হ্যার্ডসন) , শশীভূষণ রায় (সিম্মসন) , অশোক মুখার্জী (দীনেশ) , বিরেন বিশ্বাস প্রমুখরা। এই বছরই অর্থাৎ ১৯৮৭ সালের ১৯শে নভেম্বর ‘মুলুক গ্রামে সিপিএম-এর হাতে চার নকশাল কর্মীর খুনের প্রদিবাদে ৬ই ডিসেম্বর’৮ এক প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় নাট্যসারথী। শান্তিনিকেতন থেকে বের হয়ে সারা বোলপুর শহর ঘুরে বেলা ১১টা নাগাত মুলুক পৌঁছানো সেই বর্নাঢ্য মিছিলে জন সমাগমের জন্য সেদিন বোলপুর চৌরাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায়।
[চিত্র- ৪] নাট্যসারথীর ‘বাল্মীকি প্রতিভা’ প্রযোজনায় সরস্বতীর ভূমিকায় সোনালী (বাম) ও বাল্মীকির ভূমিকায় অধ্যাপক মলয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় (ডান)
এর ঠিক কয়েক বছর পরেই মৃত্যুঞ্জয় , গাঁও সে শহর তক ও হত্যারে প্রযোজনা উপস্থাপনা করতে গিয়ে ‘রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে’৯ নাট্যসারথী। খুব সম্ভবত এই সময় দলের সভাপতি ছিলেন অমিয় চট্টরাজ ও সম্পাদক ছিলেন মেঘদূত দাঁ। সময়টা ১৯৮৯ । এই বছরই ২রা জানুয়ারি ক্ষমতাসীনদের মদতপুষ্ঠ গুন্ডাদের হাতে আক্রান্ত হওয়া সফদার হাশমির মৃত্যু হয়। ওই বছর ১২ই এপ্রিল হাশমির জন্মদিন পালন করতে নাট্যসারথী ও গণনাট্যের বোলপুর শাখা উত্তরণ ‘…১২ই এপ্রিল সন্ধ্যায় বোলপুর হাই স্কুলের সামনে ও চৌরাস্তায় ২টি করে পথ নাটিকা করেন’১০। এই যৌথ কর্মসূচির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন প্রদীপ কবিরাজ ও কুন্তল রুদ্র। নাট্যসারথী উপস্থাপিত গাঁও সে শহর তক প্রযোজনার শেষে ‘…নবান্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সৃজন সেনের চেয়ার কবিতাটি আবৃত্তি…’১১ করলে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে। উত্তরণ শাখার পক্ষ থেকে কুন্তল রুদ্র অভিযোগ করেন ‘কবিতাটি নাটকের মূল বক্তব্যকে বিকৃত করেছে’১২। এই বিতর্কের জেরে নাট্যসারথী একক ভাবে পরের দিনে শান্তিনিকেতন বাজার চত্বরে গাঁও সে শহর তক প্রযোজনা উপস্থাপনা করে।
[চিত্র- ৫] ১৯৮৯ সালে শান্তিনিকেতন বাজার সংলগ্ন এলাকায় উপস্থাপিত হচ্ছে ‘গাঁও সে শহর তক’ প্রযোজনা
আশির দশকের অন্তিম থেকে ‘নাট্যসারথীতে ক্রমান্বয়ে নাটকচর্চা বা শিল্পচর্চা থেকে রাজনৈতিক চর্চা প্রাধান্য পেতে থাকল’১৩। পাশাপাশি দলের কিছু সদস্য সহ অমিয় চট্টরাজের সাথে মতপার্থক্য শুরু হতে থাকে যার চূড়ান্ত ফল স্বরূপ ১৯৯০ সালে প্রদীপ কবিরাজ দল থেকে সরে দাঁড়ান। প্রসঙ্গত ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত এই ১০ বছরে নাট্যসারথীর বিভিন্ন প্রযোজনা মোট ২৯২ বার মঞ্চস্থ হয়েছিল।
[চিত্র- ৬] ঘাটবস্ত্র / কাফেন প্রযোজনার আলোকচিত্র (ছবির বাম হতে – বীরেন বিশ্বাস ও অমিয় চট্টরাজ)
প্রদীপ কবিরাজের অনুপস্থিতিতে অমিয় চট্টরাজ দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সম্ভবত এই সমসাময়িক কালেই শ্যামল চক্রবর্তীর বাড়িতে দলের মহড়া ক্ষেত্র স্থানান্তরিত হয়। পরবর্তীতে ব্যাটন বাবুর ‘নন্দ ভবন’ নামক বাড়িটি মহড়ার জন্য মাসিক ১৫০ টাকা বিনিময়ে ভাড়া নেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে এই নাট্যদলের একটি উল্লেখযোগ্য প্রশংসনীয় উদ্যোগ হল ‘বোলপুর নাট্যসারথী সমবায় সমিতি’ তৈরি করা যা জেলা সহ সম্ভবত রাজ্য স্তরে ছিল প্রথম। ষ্টেশনারী ও নটকোনা সামগ্রী বরাতের ভিত্তিতে সারা বোলপুর ও শান্তিনিকেতন এলাকায় দরজায় দরজায় পৌঁছে দেওয়া হয়। নাট্যসারথী সমবায়ের কাউণ্টার ছিল নেতাজী রোডের বাড়িপুকুরে জনৈক ডাব্লু বাবুর বাড়িতে। সমবায় তৈরির উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রদীপ পুরোহিত বলেন ‘যেহেতু বর্তমানের মত তখনও নাট্যচর্চা জীবিকার নুন্যতম সহায়ক ছিল না তাই দলের রোজগারহীন নাট্যকর্মীদের জীবিকার আংশিক সুরাহা করতে ও বোলপুরের দুঃস্থ নাট্যকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে আমরা সমবায় তৈরি করেছিলাম’। সমবায়ের সাথে যুক্ত নাট্যকর্মীদের মাসিক হাজার টাকা করে দেওয়া হত।
[চিত্র- ৭] বোলপুর নাট্যসারথী সমবায় সমিতির কাউণ্টার
১৯৯৭ সালে ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ডিসেম্বর মাসের ২৯ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন প্রবাদ প্রতিম নাট্য পরিচালক কুমার রায় ও প্রখ্যাত আলোক শিল্পী তাপস সেন। এই অনুষ্ঠানেই প্রকাশিত স্মারক পত্রিকা হতে জানা যায় যে সেই সময় নাট্যসারথীর নাট্যকর্মী ও সহযোগীর মোট সংখ্যা ছিল ১০০ জনের মত।
মূলত এই সময়কালের পর থেকেই নাট্যসারথীর নাট্যচর্চা ক্রমশ স্তিমিত হতে শুরু করে। ১৯৯৭-৯৮ সাল নাগাত সমবায় বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৯৯ সালে বীরভূম জেলা নাট্য উৎসবে ‘শ্রাবণ সংক্রান্তি’ অভিনয় হওয়ার পরে দলের সক্রিয় নাট্যকর্মীরা ধীরে ধীরে অন্ন সংস্থানের অমোঘ টানে ব্যস্ত হয়ে পড়তে থাকলে ২০০০ সাল নাগাত দলের নাট্যচর্চা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
২০১০ সালে গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে অভিনীত প্রদীপ পুরোহিত নির্দেশিত ‘কর্ণ কুন্তীর সংবাদ’ নাট্যসারথীর দীর্ঘ ১০ বছরের অন্ধকার যুগের আংশিক অবসান ঘটায়। ২০১৩ সালের ১১ই জুন রাজ্য সরকার হতে প্রাপ্ত আর্থিক অনুদানের উপর ভর করে আদ্যাশক্তি পার্কের নিকট বীরেন্দ্রনাথ মাহান্ত হতে প্রাপ্ত ১২৩৫.১৪ বর্গফুট জায়গার উপরে তৈরি হয় নাট্যসারথীর বর্তমান মহড়া কক্ষ (৮৭০৪২/১৯// পূর্ব ২৩০৩৯/৪৯// দক্ষিণ)। ২০১৪ সালের ৬ই এপ্রিলে ‘দাগ’ মঞ্চস্থ১৪ হওয়া দিয়ে পুনরায় নাট্যচর্চায় সক্রিয় হয়ে ওঠার চেষ্টা করে নাট্যসারথী। ২০২০ সালে ২৩শে সেপ্টেম্বর আদ্যাশক্তি ক্লাবের মুক্তধারা মঞ্চে উপস্থাপিত হয় ‘টহলদার’ প্রযোজনা১৫।
নাট্যচর্চার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে দলের তরফে প্রদীপ পুরোহিত নব প্রজন্মের অনীহা ও আর্থিক অনিশ্চয়তার কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা নাট্যসারথী আজ পঞ্চাশ বছর পার করে বয়সের থেকে অনেক বেশি প্রবীণ ও জবুথবু। একদা জেলার বৃহত্তম নাট্যদলের এমন পরিণতি স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের একাধিক প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়। অবশ্য কেবল নাট্যসারথীই নয়, বীরভূম সহ এই বাংলার বিভিন্ন জেলার একাধিক নাট্যদলের অবস্থা বা পরিণতি নাট্যসারথীই মত। যার প্রেক্ষাপট রচিত হয়েছিল গত শতাব্দীর অন্তিম দুই দশকেই।
নাট্যসারথী-র ধারাবাহিক কর্মসূচীর আংশিক তালিকা (১৯৮৮-১৯৯৭)
তারিখ | বিষয় | স্থান | প্রতিযোগীতা/আমন্ত্রণ |
২৩/১/১৯৮৮ | কালের যাত্রা | আহম্মদপুর | প্রতিযোগিতা |
২৪/১/১৯৮৮ | মৃত্যুঞ্জয় | আহম্মদপুর | আমন্ত্রণ |
৫/২/১৯৮৮ | কালের যাত্রা | শিমুলিয়া | আমন্ত্রণ |
৯/২/১৯৮৮ | কালের যাত্রা | নলহাটি | প্রতিযোগিতা |
১৯/২/১৯৮৮ | মৃত্যুঞ্জয় | মানদারী | আমন্ত্রণ |
২১/২/১৯৮৮ | কালের যাত্রা | পাঞ্চেৎ | প্রতিযোগিতা |
১৮/৩/১৯৮৮ | কালের যাত্রা | রায়না | প্রতিযোগিতা |
২২/৩/১৯৮৮ | মৃত্যুঞ্জয় | আদিত্যপুর | আমন্ত্রণ |
১৬/৮/১৯৮৮ | চণ্ডালিকা | বোলপুর | নাট্যসারথীর নিজ অনুষ্ঠান |
১৭/৯/১৯৮৮ | সঙ্গীতানুষ্ঠান ও মৃত্যুঞ্জয় | শিমুলিয়া ও গরলগাছি | আমন্ত্রণ |
১৯/৯/১৯৮৮ | সঙ্গীতানুষ্ঠান ও দর্পণে বিক্ষত ছবি | বোলপুর (ট্যাক্সি চালক ইউনিয়ন) | আমন্ত্রণ |
২৪/৯/১৯৮৮ | হরিপদর শীতবস্ত্র | বৈদ্যপুর | প্রতিযোগিতা |
২১/১০/১৯৮৮ | সঙ্গীতানুষ্ঠান | ঠিকা | আমন্ত্রণ |
২২/১০/১৯৮৮ | সঙ্গীতানুষ্ঠান ও মৃত্যুঞ্জয় | ভাটরা | আমন্ত্রণ |
২৪/১০/১৯৮৮ | দর্পণে বিক্ষত ছবি | বৈদ্যপুর | — |
২৬/১০/১৯৮৮ | গোপাল অতি সুবোধ বালক ও হরিপদর শীতবস্ত্র | বঙ্গছত্র | আমন্ত্রণ |
৩১/১০/১৯৮৮ | সঙ্গীতানুষ্ঠান | ভুবনডাঙা ও বোলপুর চৌরাস্তা | আমন্ত্রণ |
৩/১১/১৯৮৮ | হরিপদর শীতবস্ত্র | মনোহরপুর | আমন্ত্রণ |
৮/১১/১৯৮৮ | সঙ্গীতানুষ্ঠান ও মৃত্যুঞ্জয় | মনোহরপুর | আমন্ত্রণ |
১১/১১/১৯৮৮ | সঙ্গীতানুষ্ঠান ও তাহার নামটি রঞ্জনা | বোলপুর (কালী বারোয়ারী মন্দির প্রাঙ্গণ) | নাট্যসারথীর নিজ অনুষ্ঠান |
১৮/১১/১৯৮৮ | বিচিত্রানুষ্ঠান | বোলপুর (তথ্য বিভাগ, নেহেরু) | আমন্ত্রণ |
১৯/১১/১৯৮৮ | ‘ড্রাগের নেশা সর্বনাশা’ প্রচারে পথ নাটক, সঙ্গীত ও মিছিল | বোলপুর | |
২২/১২/১৯৮৮ | তাহার নামটি রঞ্জনা | মল্লারপুর | প্রতিযোগিতা |
২৮/১২/১৯৮৮ | মৃত্যুঞ্জয় | চাতরা | আমন্ত্রণ |
১২/৪/১৯৮৯ | গাও সে শহর তক | চৌরাস্তা ও উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে (বোলপুর) | নাট্যসারথী ও গণনাট্যের শাখা উত্তরণ-এর যৌথ আয়োজন |
১৫/৪/১৯৮৯ | গাও সে শহর তক | অন্বেশা (বর্ধমান) | আমন্ত্রণ |
৮/৫/১৯৮৯ | প্রভাতফেরী , দেবতার গ্রাস ও কর্ণকুন্তীর সংবাদ | রবীন্দ্র মঞ্চ (বোলপুর) | আমন্ত্রণ (বোলপুর পৌরসভা) |
২৪/৫-২৫/৫/১৯৮৯ | সঙ্গীতানুষ্ঠান , আলেখ্য- ‘বিশ্ব প্রকৃতি ও রবীন্দ্রনাথ’ | বোলপুর (কালী বারোয়ারী মন্দির প্রাঙ্গণ) | নাট্যসারথীর নিজ অনুষ্ঠান |
১১/৬/১৯৮৯ | মৃত্যুঞ্জয় | সুরুল | আমন্ত্রণ |
২৫/৬/১৯৮৯ | মৃত্যুঞ্জয় ও সঙ্গীতানুষ্ঠান | বেইরি কালীতলা (হাটটিকরে , সিউড়ী) | আমন্ত্রণ |
১৭/৭/১৯৮৯ | সঙ্গীতানুষ্ঠান | বোলপুর (অল ইন্ডিয়া এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন) | আমন্ত্রণ |
২২/৬/১৯৮৯ | সঙ্গীতানুষ্ঠান | বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয় (জাতীয়তাবাদী সমবায় কমিটি) | আমন্ত্রণ |
৫/৯/১৯৮৯ | শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সঙ্গীতানুষ্ঠান | রবীন্দ্র মঞ্চ (বোলপুর) | আমন্ত্রণ |
৯/৮/১৯৮৯ | অষ্টাদশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গুণীজন সংবর্ধনা ও চণ্ডালিকা | বোলপুর পৌরমঞ্চ | নাট্যসারথীর নিজ অনুষ্ঠান |
১৯/৯/১৯৮৯ | বিশ্ব স্বাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে সঙ্গীতানুষ্ঠান | জেলা পরিষদ মঞ্চ (বোলপুর) | পঞ্চায়েত সমিতি ও পৌরসভার আমন্ত্রণ |
১/১০/১৯৮৯ | মৃত্যুঞ্জয় | শ্রীনিকেতন রোড (বোলপুর, জঙ্গল সাঁওতাল ও কেশব সরকার স্মরণ সভা) | আমন্ত্রণ |
৫/১০/১৯৮৯ | জাতীয় সংহতি উৎসবে সঙ্গীত পরিবেশন | বোলপুর চৌরাস্তা | — |
৬/১০/১৯৮৯ | দুর্গাপূজা উপলক্ষে সঙ্গীতানুষ্ঠান , আবৃত্তি , মৃত্যুঞ্জয় ও চোরেদের লজ্জা হল | মুর্শিদাবাদ (ন পাড়া) | আমন্ত্রণ |
১৩/১০/১৯৮৯ | সঙ্গীত ও জাতীয় সংহতি বজায় রাখার জন্য স্কুটার যাত্রীদের সম্বর্ধনা বিচিত্রা অনুষ্ঠান চোরেদের লজ্জা হল | রবীন্দ্র মঞ্চ (বোলপুর) শুঁড়ি পাড়া (বোলপুর) বোলপুর কলেজ (নবীন বরণ) | আ ম ন্ত্র ণ |
জানুয়ারি,১৯৯০ | হরিপদর শীতবস্ত্র ও তাহার নামটি রঞ্জনা | শান্তিনিকেতন (সঙ্গীত ভবন) | আমন্ত্রণ |
২৩/১/১৯৯০ | দেশাত্মবোধক সঙ্গীতানুষ্ঠান | বোলপুর (কালী বারোয়ারী মন্দির প্রাঙ্গণ) | নাট্যসারথীর নিজ অনুষ্ঠান |
২৬/১/১৯৯০ | সঙ্গীতানুষ্ঠান হরিপদর শীতবস্ত্র | ডাকবাংলো মাঠ (বোলপুর) নানুর (শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পুরষ্কার) | আমন্ত্রণ প্রতিযোগিতা |
এপ্রিল , ১৯৯০ | হত্যারে | কাছারি পটি ও এফ. সি. আই. গুদাম (বোলপুর) | — |
১/৫/১৯৯০ | হত্যারে | সুরুল ও শান্তিনিকেতন | — |
মে , ১৯৯০ | সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী কনভেনশনে সঙ্গীত পরিবেশন | রেল ময়দান | আমন্ত্রণ (সি.পি.আই.এম) |
২৭/৫/১৯৯০ | সঙ্গীতানুষ্ঠান | বোলপুর (পৌরদ্যোগে বাণিজ্যিক কেন্দ্র উদ্বোধন) | আমন্ত্রণ |
৫/৭/১৯৯০ | নজরুল ও রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন | বোলপুর (কালী বারোয়ারী মন্দির প্রাঙ্গণ) | নাট্যসারথীর নিজ অনুষ্ঠান |
৯/৮/১৯৯০ | পৌরদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ উপলক্ষে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন | কাছারীপটি (বোলপুর) | আমন্ত্রণ |
১১/৮-১৩/৮/১৯৯০ | মৃত্যুঞ্জয় | কাঁচড়াপাড়া | আমন্ত্রণ |
সেপ্টেম্বর,১৯৯০ | হত্যারে | কলা ভবন ও কালোর চায়ের দোকান (শান্তিনিকেতন) | — |
৫/৯/১৯৯০ | পৌরদ্যোগে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে সঙ্গীত পরিবেশন | বোলপুর পৌরসভা | আমন্ত্রণ |
২৭/৯/১৯৯০ | দুর্গা পূজা উপলক্ষে সঙ্গীতানুষ্ঠান | অন্নপূর্ণা পল্লী (কালিকাপুর) | আমন্ত্রণ |
১৯/১০/১৯৮০ | কালী পূজা উপলক্ষে কফিন (ঘাটবস্ত্র) | সুরুল | আমন্ত্রণ |
২৬/১০/১৯৯০ | সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মিছিল , সঙ্গীত পরিবেশন এবং নাটক- হত্যারে | শ্রীনিকেতন হতে কেন্দ্রডাঙ্গাল পদযাত্রা | — |
২৭/১০/১৯৯০ | সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মিছিল , সঙ্গীত পরিবেশন এবং নাটক- হত্যারে | বোলপুর | — |
২৮/১০/১৯৯০ | সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মিছিল , সঙ্গীত পরিবেশন এবং নাটক- হত্যারে | শান্তিনিকেতন হতে কাশীপুর ও নূরপুর | — |
৩/১১/১৯৯০ | তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে – ঘাটবস্ত্র | সাধারণ পাঠাগার (বোলপুর) | প্রতিযোগিতা |
৪/১১/১৯৯০ | সাংবাদিক সম্মেলনে গণসংগীত পরিবেশন | মারোয়াড়ী ধর্মশালা (বোলপুর) | আমন্ত্রণ |
১৭/১১/১৯৯০ | বীরভূম জেলা নাট্যোৎসবে নাটক- ঘাটবস্ত্র | সিউড়ী | প্রতিযোগিতা |
১৮/১১/১৯৯০ | নাটক- ঘাটবস্ত্র | সুরুল | আমন্ত্রণ |
২৮/১২/১৯৯০ | সঙ্গীত পরিবেশন ও নাটক- হত্যারে | টিবা গ্রাম | আমন্ত্রণ |
২/১/১৯৯১ | সফদর হাসমির জন্মদিন পালন | বোলপুর | আমন্ত্রণ |
১৫/১/১৯৯১ | ঘাটবস্ত্র | রবীন্দ্র সদন (বর্ধমান) | প্রতিযোগিতা |
২১/১/১৯৯১ | ঘাটবস্ত্র | কুরুমগ্রাম | প্রতিযোগিতা |
২২/১/১৯৯১ | নিরক্ষরতা দূরীকরণ অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন | পৌরসভা মঞ্চ (বোলপুর) | আমন্ত্রণ |
২৩/১/১৯৯১ | নেতাজীর জন্মদিবস পালন | বোলপুর (কালী বারোয়ারী মন্দির প্রাঙ্গণ) | নাট্যসারথীর নিজ অনুষ্ঠান |
২৪/১/১৯৯১ | ঘাটবস্ত্র | দুর্গামাতা ক্লাব (বোলপুর) | প্রতিযোগিতা |
২৬/১/১৯৯১ | সঙ্গীত ও আবৃত্তি সহযোগে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন | ডাকবাংলো (বোলপুর) | আমন্ত্রণ |
৭/২/১৯৯১ | পৌরসভা ও জেলা পরিষদের উদ্যোগে স্বাক্ষরতা অভিযানে নাটক- মিছিল | বোলপুর | আমন্ত্রণ |
৯/২/১৯৯১ | পৌরসভা ও জেলা পরিষদের উদ্যোগে স্বাক্ষরতা অভিযানে নাটক- মিছিল | বোলপুর | আমন্ত্রণ |
১৪/৪/১৯৯১ | সফদর হাসমির জন্মদিনে নাটক- হত্যারে | — | নাট্যসারথীর নিজ অনুষ্ঠান |
১৬/৪/১৯৯১ | বাংলা নববর্ষ পালন | — | নাট্যসারথীর নিজ অনুষ্ঠান |
১০/৫/১৯৯১ | রবীন্দ্র সন্ধ্যা | — | নাট্যসারথীর নিজ অনুষ্ঠান |
২৫/৭/১৯৯১ | নজরুল জয়ন্তী | বোলপুর | নাট্যসারথীর নিজ অনুষ্ঠান |
২৮/৮/১৯৯১ | বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ | পৌরমঞ্চ (বোলপুর) | আমন্ত্রণ |
৫/৯/১৯৯১ | শিক্ষক দিবস পালন | পৌরমঞ্চ (বোলপুর) | আমন্ত্রণ |
১৫/১০/১৯৯১ | ঘাটবস্ত্র | কালিকাপুর অন্নপূর্ণা পল্লী | আমন্ত্রণ |
২৯/১২/১৯৯১ | সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ঘাটবস্ত্র | টিবা | আমন্ত্রণ |
১৯/১/১৯৯২ | ঘাটবস্ত্র ও মৃত্যুঞ্জয় | কৃষ্ণনগর | আমন্ত্রণ |
২৩/১/১৯৯২ | নেতাজী জয়ন্তী | বোলপুর (কালী বারোয়ারী মন্দির প্রাঙ্গণ) | নাট্যসারথীর নিজ অনুষ্ঠান |
২৬/১/১৯৯২ | প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন | ডাকবাংলো মাঠ (বোলপুর) | আমন্ত্রণ |
১৫/৪/১৯৯২ | ঘাটবস্ত্র | বাঁধগোড়া (বোলপুর) | আমন্ত্রণ |
১৩/৫/১৯৯২ | রবীন্দ্র সন্ধ্যা | নাট্যসারথীর নিজ জায়গা | নাট্যসারথীর নিজ অনুষ্ঠান |
১৯/৬/১৯৯২ | ঘাটবস্ত্র | শ্যামলা কলিয়ারী ছত্রিশগোণ্ডা | আমন্ত্রণ |
২৩/৮/১৯৯২ | চেতনা | পৌরমঞ্চ | প্রতিযোগিতা |
১৭/৯/১৯৯২ | মৃত্যুঞ্জয় | রেলময়দান মটর ওয়ার্কস ইউনিয়ন | আমন্ত্রণ |
১৮/৯/১৯৯২ | ঘাটবস্ত্র | রেলময়দান মটর ওয়ার্কস ইউনিয়ন | আমন্ত্রণ |
১০/২/১৯৯৩ | যখন ভাঙল | দুর্গামাতা ক্লাব (ত্রিশুলাপট্টি) | প্রতিযোগিতা |
১৯/৪-২০/৪/ ১৯৯৩ | কর্মশালা , নাট্যালোচনা ও পথনাটক ‘চেতনা’ | শিমুলিয়া | আমন্ত্রণ |
৮/৫/১৯৯৯ | পৌরসভা ও তথ্য সংস্কৃতি বিভাগ আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদান | সাধারণ পাঠাগার (বোলপুর) | আমন্ত্রণ |
১৬/৫/১৯৯৩ | মৃত্যুঞ্জয় | ছত্রিশগোণ্ডা | আমন্ত্রণ |
২০/৬/১৯৯৩ | সঙ্গীত , মিছিল (নর্মদা বাঁচাও) | শান্তিনিকেতন | আমন্ত্রণ |
৯/৮/১৯৯৩ | ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সম্মিলিত সঙ্গীত | বাসন্তীতলা (বোলপুর) | আমন্ত্রণ |
১৫/৮/১৯৯৩ | সম্মিলিত সঙ্গীত , গীতি আলেখ্য ‘এদেশ আমার দেশ’ , নাটক ‘যখন ভাঙল’ ও ছবি প্রদর্শনী | সাধারণ পাঠাগার (বোলপুর) | নাট্যসারথীর নিজ অনুষ্ঠান |
৫/৯/১৯৯৩ | সঙ্গীত পরিবেশন | পৌরমঞ্চ (বোলপুর) | আমন্ত্রণ |
২৭/৯/১৯৯৩ | যখন ভাঙল | রবীন্দ্রমঞ্চ (সিউড়ী) | অভিযানের আমন্ত্রণে |
২৩/১/১৯৯৪ | নেতাজী জয়ন্তী উপলক্ষে সঙ্গীত পরিবেশন | বোলপুর (কালী বারোয়ারী মন্দির প্রাঙ্গণ) | আমন্ত্রণ |
৩/৪/১৯৯৪ | সঙ্গীতানুষ্ঠান | বাড়িপুকুর | আমন্ত্রণ |
৯/৫/১৯৯৪ | তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের উদ্দগ্যে ‘দুই বিঘা জমি’ ও পৌরসভার উদ্দগ্যে প্রভাতফেরী | বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও পৌরসভা | আমন্ত্রণ |
৫/৯/১৯৯৪ | শিক্ষক দিবস উদযাপন | পৌরসভা (বোলপুর) | আমন্ত্রণ |
১৫/৯/১৯৯৪ | উদ্বোধনী সঙ্গীত | টাউন ক্লাব | আমন্ত্রণ |
১৩/১০/১৯৯৪ | যখন ভাঙল | বাঁধগড়া (বোলপুর) | আমন্ত্রণ |
২৩/১১/১৯৯৪ | ঘাটবস্ত্র | ঘুরিসা | আমন্ত্রণ |
২৬/১১/৯৪ | ঘাটবস্ত্র | আহমদপুর | প্রতিযোগিতা |
২৪/৩/১৯৯৫ | ঘাটবস্ত্র | রূপপুর | আমন্ত্রণ |
১৭/৮/১৯৯৫ | মহাজ্ঞানী | বোলপুর পাঠাগার | নাট্যসারথীর নিজ অনুষ্ঠান |
৬/৯/১৯৯৫ | নাট্য আকাদেমি আয়োজিত নাট্য উৎসবে মহাজ্ঞানী | রামপুরহাট | প্রতিযোগিতা (প্রথম স্থান অধিকার। শ্রেষ্ঠ পরিচালক , শ্রেষ্ঠ অভিনেতা , শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত ও শ্রেষ্ঠ রূপসজ্জা ) |
২৯/১১/১৯৯৫ | মহাজ্ঞানী | জ্যেষ্ঠা (তকিপুর) | প্রতিযোগিতা ( শ্রেষ্ঠ চরিত্রাভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা ) |
২১/১/১৯৯৬ | মহাজ্ঞানী | ত্রিশুলাপট্টি (বোলপুর) | প্রতিযোগিতা |
ফ্রেব্রুয়ারি,১৯৯৬ | যখন ভাঙল | পারুলডাঙ্গা | প্রতিযোগিতা |
১৬/৮/১৯৯৬ | মহাজ্ঞানী | ভুবনডাঙ্গা (শান্তিনিকেতন) | আমন্ত্রণ |
সেপ্টম্বর,১৯৯৬ | মহাজ্ঞানী | কোলকাতা | আমন্ত্রণ |
৩১/১২/১৯৯৬ | সঙ্গীতানুষ্ঠান , মহাজ্ঞানী ও যখন ভাঙল | দাসকলগ্রাম | আমন্ত্রণ |
২৩/১/১৯৯৭ | সঙ্গীতানুষ্ঠান ও মহাজ্ঞানী | বোলপুর (কালী বারোয়ারী মন্দির প্রাঙ্গণ) | আমন্ত্রণ |
*কর্মসূচীর এই তালিকা প্রস্তুত করতে নাট্যসারথীর বর্তমান মহড়া কক্ষে অবশিষ্ট নথিপত্র এবং তৎকালীন বিভিন্ন আঞ্চলিক ও রাজ্য স্তরের সংবাদপত্রের সাহায্য নেওয়া হয়েছে ।
তথ্যসূত্র :
১) কবিরাজ , প্রদীপ ; বোলপুরে নাট্যচর্চার পাঁচ দশক ; একলব্য ; সম্পা. দেবকুমার দত্ত ; প্রথম উদভাষ , ১৪০৫ বঙ্গাব্দ (১৯৯৮) ; পৃষ্ঠা ৭৩
২) নাট্যসারথী ৭২ থেকে ৯৭ ; স্মারক পত্রিকা ; ১৯৯৭ ; বোলপুর
৩) নাট্যসারথীর ৯ম বর্ষপূর্তি ; সাপ্তাহিক চণ্ডীদাস ; ২৯শে চৈত্র , ১৩৮৭ বঙ্গাব্দ (১২ই এপ্রিল , ১৯৮১) ; ৩৮/৩ পটারী রোড , কলকাতা
৪) নাট্যসারথী নাট্য উৎসব ; চিরকুঠ (রেজি. নং- ডাব্লুবি/বিআইআর-৫৫) ; বর্ষ- ৫ম , সংখ্যা- ১৩শ ; ১লা পৌষ , ১৩৮৯ বঙ্গাব্দ (১৭ই ডিসেম্বর , ১৯৮২) ; পৃষ্ঠা ১ ও ৪
৫) কবিরাজ , প্রদীপ ; বোলপুরে নাট্যচর্চার পাঁচ দশক ; একলব্য ; সম্পা. দেবকুমার দত্ত ; প্রথম উদভাষ , ১৪০৫ বঙ্গাব্দ (১৯৯৮) ; পৃষ্ঠা ৭৪
৬) নাট্যসারথী পুরস্কৃত ; পল্লীশ্রী ; ৩রা শ্রাবণ , ১৩৯২ বঙ্গাব্দ (১৯শে জুলাই , ১৯৮৫) , শুক্রুবার
৭) বিভিন্ন মঞ্চে নাট্যসারথী ; ইলামবাজার বার্ত্তা ; ২৩শে জুন , ১৯৮৩
৮) বিক্ষোভ বোলপুরে : সাংস্কৃতিক কর্মীদের প্রতিবাদ মিছিল ; বোলপুর বার্তা ; ১০ই ডিসেম্বর , ১৯৮৭
৯) কবিরাজ , প্রদীপ ; আমার কথা ; প্রদীপ কবিরাজের অভিনয় জীবনের ৫০ ; সম্পা. মলয় ঘোষ ; ইলোরা, ২০২১ ; পৃষ্ঠা ১১
১০) হাসমি মঞ্চে বিরোধ ; গণশিক্ষা ; ১৮ই এপ্রিল , ১৯৮৯
১১) পথ নাটিকা ও আবৃত্তি বিতর্ক ; সাপ্তাহিক চণ্ডীদাস (জনমত) ; বর্ষ- ১৪ , সংখ্যা- ৩২ ; ১০ই বৈশাখ , ১৩৯৬ বঙ্গাব্দ (২৩শে এপ্রিল , ১৯৮৯) , রবিবার
১২) নাটক নিয়ে নাটক ; বীরভূম হিতৈষী ; ১৩ই এপ্রিল , ১৯৮৯ , বৃহস্পতিবার
১৩) কবিরাজ , প্রদীপ ; আমার কথা ; প্রদীপ কবিরাজের অভিনয় জীবনের ৫০ ; সম্পা. মলয় ঘোষ ; ইলোরা, ২০২১ ; পৃষ্ঠা ১১
১৪) চট্টরাজ , অমিয় ; গল্প সমগ্র ; খোয়াবনামা ; বইমেলা ২০১৬ ; পৃষ্ঠা ৪৩
১৫) আনন্দবাজার পত্রিকা (বীরভূম) ; কড়চা ; ২৯শে সেপ্টেম্বর , ২০২০ , মঙ্গলবার ; পৃষ্ঠা ক৪
তথ্যদাতা :
১)প্রদীপ কবিরাজ ২)প্রদীপ পুরোহিত ৩)মলয় কুমার ঘোষ ৪)অসমঞ্জ চট্টরাজ ৫)কুন্তল রুদ্র ৬)বিজয় কুমার দাস এবং ৭)স্বপন রায়।