Contributions of Lyricists Beyond Rabindranath During the Bengal Partition Movement

Dr. Nandita Basu Sarbadhikari

Assistant Professor, Department of Rabindra Sangeet, Dance and Drama, Sangeet Bhavan, Visva Bharati, Santiniketan

Abstract:
The Bengal Separation Movement (1905) marked a critical juncture in India’s socio-political history, not only mobilizing people but also igniting a cultural renaissance that would influence the collective consciousness of Bengal. Beyond the towering figure of Rabindranath Tagore, several lyricists contributed significantly to this movement, shaping the emotional and cultural identity of the people through their lyrics. These lyricists employed poetic language and folk idioms to express resistance against British imperialism, convey nationalist sentiments, and inspire unity among Bengalis across diverse social strata. This paper explores the contributions of lesser-known but impactful lyricists who crafted songs that became anthems of resilience and identity during this period. By examining their works, themes, and influences, this study highlights the role of these lyricists in cultivating a cultural and emotional foundation that supported and sustained the resistance movement against the Bengal Partition.

Keywords:
Bengal Separation Movement, Bengal Partition, lyricists, nationalist poetry, cultural renaissance, resistance songs, colonial India, Bengali identity, folk songs, anti-colonial movement.

বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ ব্যতিরেকে অন্যান্য গীতিকারদের অবদান

নন্দিতা বসু সর্বাধিকারী

সহকারী অধ্যাপক, রবীন্দ্রসংগীত, নৃত্য ও নাটক বিভাগ

সংগীতভবন, বিশ্বভারতী, শান্তিনিকেতন

কোনও পরাধীন জাতির আত্মচেতনা যখন উদ্বুদ্ধ হয়, তখন জাতীয় জীবনের নানা দিক দিয়ে তার প্রকাশ ফুটে ওঠে। বাংলার তথা ভারতের এই নতুন জীবনের অভ্যুদয় ঘটে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ থেকে, প্রধানত ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে। আজ ভারতবর্ষ যে স্বাধীনতালাভ করেছে, তার প্রস্তুতিপর্ব চলেছিল সমগ্র ঊনবিংশ শতাব্দী ও বিংশ শতাব্দীর প্রথম চল্লিশ বছর ধরে। বাংলার সাহিত্য, শিল্প-সংস্কৃতির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকেই দেশবাসীর মনে স্বাজাত্যবোধের চেতনা জেগে উঠতে থাকে। প্রবল বলশালী বিদেশী শাসকদের বিরুদ্ধে সরব প্রতিবাদ, স্বদেশভূমিকে শৃঙ্খলামুক্ত করার একটা অভিলাষ, মাতৃভাষার জন্য একটা বিশেষ গভীর অনুরাগ প্রতিফলিত হতে থাকে তৎকালীন বাঙালীর মননে এবং তার প্রতিফলন ঘটে বাংলা গানে।

       বাংলার মুক্তির গানকে মোটামুটি তিনটি পর্বে সুস্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়। প্রথমটি বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পূর্বে প্রধানত হিন্দুমেলাকে কেন্দ্র করে রচিত, দ্বিতীয়টি বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলন চলাকালীন ও তৃতীয়টি তার পর থেকে ভারতের রাজনৈতিক স্বাধীনতা-অর্জন পর্যন্ত। ভাষা ও সুরের গঠন-ভঙ্গিমায় তিনটি পর্যায়ের গানে যথেষ্ট তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশে স্বদেশী আন্দোলনের সূত্রপাত হয় হিন্দুমেলার থেকে। এর পূর্বে সংগীতে জাতীয়তার ভাবধারার তেমন লক্ষ্য করা যায়নি, অবশ্য অষ্টাদশ শতাব্দীর নিধুবাবু অর্থাৎ রামনিধি গুপ্তের ‘নানান দেশে নানান ভাষা / বিনে স্বদেশীয় ভাষা পূরে কি আশা’ গানখানিতে মাতৃভাষার প্রতি গভীর আকর্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। ১৮৬৪ খৃষ্টাব্দ কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘ভারতসংগীত’ যার সুরারোপ করেন কৃষ্ণধন বান্দ্যাপাধ্যায়, সেটিকে বাংলায় প্রথম দেশাত্মবোধক গান বলে গণ্য করা যায়। এর পর থেকে বাংলায় বহু কবি ও গীতিকার তাঁদের দেশাত্মবোধক গানগুলিতে তাঁদের স্বদেশপ্রেম ফুটিয়ে তুলেছেন। হিন্দুমেলার উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জাতির জাগরণ এবং স্বদেশী সংগীতচর্চার মাধ্যমে ভারতচিন্তার বিকাশ। পরাধীনতার বেদনা ও গ্লানি যেভাবে দেশবাসীকে পীড়িত করেছিল— তারই প্রকাশ ঘটেছে এইসব গানে। শুধু কাব্য হিসেবে এর মূল্য বিচার করলে হবে না, এইসব সংগীত ছিল স্বদেশীযুগের মন্ত্র, সংগ্রামের হাতিয়ার। এইসব গানে উদ্বুদ্ধ হয়ে কত নবীনপ্রাণ যে আত্মবলি দিতে অনুপ্রেরণা পেয়েছে তা বলা নিষ্প্রয়োজন।

       বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের অব্যবহিত পূর্বে যে-সব জাতীয়তামূলক সংগীত উল্লেখযোগ্য তার মধ্যে কয়েকটি হল—

গগণেন্দ্রনাথ ঠাকুর       রচিত—  ‘লজ্জায় ভারতযশ গাহিব কী করে

                                 লুটিতেছে পরে এই রত্নের আকরে’

দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর       রচিত—  ‘মলিন মুখচন্দ্রমা ভারত তোমারি’

সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর       রচিত—  ‘মিলে সবে ভারত-সন্তান’

মনমোহন বসু           রচিত—  ‘কোথায় মা ভিক্টোরিয়া দেখ আসিয়া

(বাউল সুরে শ্লেষাত্মক গান)        ইণ্ডিয়া তোর চলছে কেমন।‘

দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়   রচিত—  ‘না জাগিলে সব ভারত ললনা’

আনন্দচন্দ্র মিত্র          রচিত—  ‘কোথায় রহিলে ভারতভূষণ’

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়    রচিত—  ‘বন্দে মাতরম্ সুজলাং সুফলাং শস্যশ্যামলাং’

রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়    রচিত—  ‘স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায়’

হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়    রচিত—  ‘বাজ রে শিঙা বাজ’

       এছাড়াও বহুসংখ্যক স্বদেশী সংগীতের সন্ধান মেলে। অর্থাৎ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে দেশাত্মবোধক গান লেখার একটা প্রেরণা স্বাভাবিকভাবেই দেশের কবিদের মধ্যে বেশ কিছুকাল ধরেই স্বতোৎসারিত ছিল। বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত ঘোষিত হবার পর বাংলা সংগীতজগতে এক নতুন পর্বের অভ্যুদয় হয়। যে আগুন ধিকিধিকি জ্বলছিল জনমানসে, তা যেন একটি স্ফুলিঙ্গের আঘাত সারা বাংলায় দাবানলের মত জ্বলে উঠল। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের শীর্ষে দেশবরেণ্য রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন বাংলার মহান কবিরা যার অগ্রণী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন, মুকুন্দ দাস প্রমুখ।

       এই লেখায় বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ ব্যতীত অন্যান্য রচয়িতাদের ভূমিকা— এই বিষয়ে সামান্য আলোকপাত করার প্রয়াস করা হয়েছে। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পর্যায়ের গানগুলিতে আত্মশক্তি বিকাশের উজ্জ্বলরূপ অভূতপূর্বভাবে প্রতিভাত হয়। দেশবন্দনার এত বিচিত্র প্রকাশ এর পূর্ববর্তী রচনায় পাওয়া যায় না। কখনও বাংলা মায়ের শ্যামল কোমল মূর্তি বর্ণিত, কোথাও বাংলাবিভাজন রদ করার দৃপ্ত প্রতিজ্ঞা, আবার কোনওখানে অত্যাচারী শাসককুলকে দেশ থেকে বিতাড়িত করার নির্ভীক হুঁশিয়ারী ধ্বনিত হয়েছে।

       হিন্দুমেলাকে কেন্দ্র করে যেসব গান রচিত, সেগুলিতে ভারতচিন্তারই বেশি প্রাধ্যান্য, কিন্তু বঙ্গ-ভঙ্গ আন্দোলনের সময় ভারতমাতা ছাড়াও বঙ্গজননীকে অবলম্বন করে বহুগান রচিত হয়। তখনকার দিনে বলা হত ‘What Bengal thinks today India thinks tomorrow’। বাংলাদেশই যেন সারা ভারতের নেতৃত্ব দান করত এবং কলকাতাই ছিল শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র।

       পূর্বকালের গানের ভারী যুক্তাক্ষরযুক্ত শব্দের ব্যবহারের পরিবর্তে এই পর্বে সহজ কথা, সহজ ভাষা ব্যবহারের প্রবণতা দেখা যায় যা সহজেই সাধারণ মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পারে।

       এছাড়া সুরের দিক থেকে লক্ষ্য করা যায় যে পূর্বে ভারী রাগ এবং বিলম্বিত লয়ে অধিকাংশ গান রচনা হত। পরবর্তীযুগে আর রাগসংগীত প্রধান বৈশিষ্ট্য থাকল না। পরিবর্তে এল নিজস্ব লোকসংগীতের রীতি অবলম্বন করে সুরসংযোজনার আগ্রহ। এবিষয়ে রবীন্দ্রনাথ অগ্রণী ছিলেন। দ্বিজেন্দ্রলাল এবং আরও কারও কারও গানে অবশ্য পাশ্চাত্য রীতির প্রত্যক্ষ প্রয়োগ বিশেষ লক্ষণীয়। দেশী-বিদেশী সর্বপ্রকার সংগীতের বৈশিষ্ট্যই গ্রহণ করা হয়েছে দেশপ্রেমের আবেদনকে মূর্ত করে তোলার উদ্দেশ্যে। হিন্দুমেলা উপলক্ষে রচিত তদানীন্তন স্বদেশীগানে ভারতীয় বলতে আর্যদের গৌরবগাথাই বহুলভাবে স্মরণ করা হয়েছে। কিন্তু পরের যুগে পরিমার্জনার ফলে ফুটে উঠেছে মুক্তির প্রস্তুতি, চ্যালেঞ্জ, প্রতিরোধের মনোভাব, হীনমন্যতা পরিহার, সাম্প্রদায়িক ঐক্য। তাই এযুগের গানে বিদেশী সুর ও ছন্দের প্রয়োগ মার্চের ঢঙ এবং উদ্দীপনার ভাব অধিক পরিমাণে অনুভূত হয়। সম্মেলক গীতিগুলির বলিষ্ঠভাব সারা দেশে উন্মাদনা সঞ্চার করে। রাজনীতি ও সমাজনীতির সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে গান গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে ও সমগ্র দেশবাসীর প্রতিটি স্তরে জাতীয় ঐক্য জাগ্রত করে তোলে। এই প্রসঙ্গে নীহারবিন্দু সেনের লেখা একটি অংশ উদ্ধৃত করছি, “স্কুল ছেড়ে খদ্দর ফেরি করতে গ্রামেগঞ্জে চরে ঘুরে বেড়াতে লাগলাম। খাওয়া-দাওয়ার ঠিক নেই, কোথায় রাত কাটাই তাও বেঠিকানা। তবু আমরা কজন কিশোর হইহই করে খদ্দর ফেরি করি,স্বদেশিগান গাই, দেশের কথা বলি। সেদিনের গ্রামগঞ্জের মানুষরা আমাদের এই যাযাবর বৃত্তিটিকে স্নেহের চোখেই দেখেছিল। তাই কোথাও না কোথাও খাদ্য, আশ্রয় জুটে যেত। তাঁরা রাত্রে গান শুনতে চাইতেন। আমরা সেখানে ব্রহ্মসংগীত বা কাব্যগীতি কদাচ গাইনি, গাইতাম যাত্রার গান আর স্বদেশী গান।”

       বঙ্কিমচন্দ্রের ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসে বিধৃত ‘বন্দেমাতরম্’ মাতৃবন্দনাটিতে সুর-সংযোজনা করে স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজমন্ত্ররূপে গৃহীত হয়। বঙ্কিমচন্দ্রের দেওয়া সুর ছাড়াও দেশ, কাওয়ালিতে রবীন্দ্রনাথ ও সরলাদেবীর দেওয়া সুরই বেশি প্রচলিত ছিল। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় এই গানের জনপ্রিয়তা শিখরস্পর্শী হয়ে ওঠে— নীহারবিন্দু সেন বলেছেন, “একটি গান আমরা গর্বে সুখে গাইতাম— ‘বন্দে মাতরম্।‘ সরলাদেবী-রবীন্দ্রনাথের সুর আমাদের জানা ছিল না। আমরা গাইতাম খাম্বাজ আশ্রিত সুরে ঝাঁপতাল ছন্দে বরিশাল থেকে পাওয়া বন্দে মাতরম্ গান। কথার সঙ্গে সুরের সামঞ্জস্য না থাকলেও আমরা জানতাম কিশোর চিত্তরঞ্জন পুলিশের মার খেয়েও এই সুরে গান গেয়েছিল। এই সুর হল শাসনকে তুচ্ছ করার সুর।…

       কত অন্ধকার রাত্রে রেড়ির তেলের পিদিমের আলোয় বা পাটকাঠির আগুনের আভা মুখে নিয়ে কোনো এক ঘরের দাওয়ায় আমরা গলা ছেড়ে গেয়ে চলেছি, ‘বন্দে মাতরম’ সেই সুর ধানক্ষেত, পাটক্ষেত পার হয়ে সুপুরি নারকেল গাছের পাতা ছুঁয়ে কাশবনে শিরশিরি জাগিয়ে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক থামিয়ে দিত।”

       স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্ষেত্রে বরিশাল শহর ছিল পীঠস্থান। সেখানকার দেশনেতা অশ্বিনীকুমার দত্তের কর্মতৎপরতা ও দেশের লোকের মনে স্বদেশীভাব জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। তাঁরই আহ্বানে বরিশালে জাতীয় মহাসভার প্রাদেশিক সম্মিলনীর বিরাট আয়োজন হয় ১৯০৬ সালে ১লা ও ২রা বৈশাখ। বাংলার সমস্ত অঞ্চল থেকে প্রতিনিধিরা সমবেত হন ঐ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে, যেমন সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিপিনচন্দ্র পাল, রাজনারায়ণ বসু, কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ প্রমুখ। যে মণ্ডপে প্রাদেশিক সমিতি বসার কথা সেই মণ্ডপেই ৩ বৈশাখ বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মিলনের আয়োজন করা হয় এবং রবীন্দ্রনাথ সভাপতির আসন অলঙ্কৃত করবেন এমন স্থির ছিল। উৎসাহ উদ্দীপনার সীমা ছিল না বরিশালে। হঠাৎ ছোটলাট ফুলার-এর নির্দেশে ‘বন্দে মাতরম্’ ধ্বনি ও গান নিষিদ্ধ বলে জারি করা হয়। সে আদেশ অমান্য করে সমবেত কণ্ঠে ‘বন্দে মাতরম্’ ধ্বনি তোলা হয়। সেদিন পুলিশ জনতার উপর নির্মম অত্যাচার চালায়। কেউ কেউ সেই প্রহার সহ্য করতে না পেরে পুকুরে ঝাঁপ দেন, তবু মুখে ‘বন্দেমাতরম্’ ধ্বনি সোচ্চার ছিল। যখন সুরেন ব্যানার্জীকে গ্রেপ্তার করে ঘোড়ার গাড়িতে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন গাড়ির পিছনে কালীপ্রসন্ন স্বরচিত গান গাইতে গাইতে চললেন— “মাগো, যায় যেন জীবন চলে / জগৎ-মাঝে তোমার কাজে বন্দে মাতরম্ বলে।” পুলিশের অত্যাচার থেকে তিনিও নিষ্কৃতি পাননি। প্রাদেশিক সমিতি ভেঙে যাওয়ায় সাহিত্য সম্মিলনের পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত হতে পারেনি। বরিশালবাসীরা ক্ষুণ্নমনে ও ভগ্নহৃদয়ে সমবেত প্রতিনিধিদের বিদায় দিতে বাধ্য হন।

       আবার ১৯০৬ সালে কাশীর কংগ্রেস অধিবেশনে গোখলের সভাপতিত্বে, সরলাদেবীর মুখে শ্রোতারা ‘বন্দে মাতরম্’ গানটি সম্পূর্ণ শুনতে চান এবং সরলাদেবী তাঁদের ইচ্ছাপূরণ করেন।

       স্বদেশী যুগে অজস্র গীতিকারদের রচনায় ‘বন্দে মাতরম্’ শব্দটির ব্যবহার হতে দেখা গেল। যেমন—

রবীন্দ্রনাথের—                    “একসূত্রে বাঁধিয়াছি সহস্রটি মন

                                 এক কার্যে সঁপিয়াছি সহস্র জীবন, বন্দে মাতরম্”

রজনীকান্ত লিখেছেন—             ‘বন্দে মাতরম্’ তো শুধু মায়ের বন্দনাই

                                 এতে তো ভাই সিডিশানের গন্ধ নাই।”

কালীপ্রসন্নর গানে পাই—           “আজ বরিশাল পুণ্যে বিশাল হল লাঠির ঘায়

                                 ঐ যে মারের ভয়ে গেয়ে যায় ‘বন্দে মাতরম’ বলে”।

চারণকবি মুকুন্দ দাসের রচনা—    “বন্দে মাতরম্ মন্ত্র কানে / বর্ম এঁটে দেহে মনে

                                 রোধিতে কি পারবে রণে । তুমি কত শক্তিময়।”

                                 অথবা

                                 ‘‘‘বন্দে মাতরম্’ বলে নাচ রে সকলে

                                 কৃপাণ লইয়া হাতে।”

       বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় রবীন্দ্রনাথ ছাড়া অন্যান্য গীতিকারদের মধ্যে ছিলেন— দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অমৃতলাল বসু, রজনীকান্ত সেন, প্রমথনাথ চৌধুরী, বিজয়চন্দ্র মজুমদার, কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ, অশ্বিনীকুমার দত্ত, মুকুন্দ দাস, মনমোহন চক্রবর্তী, অতুলপ্রসাদ সেন, কামিনীকুমার ভট্টাচার্য, মহিলাদের মধ্যে সরলা দেবী, স্বর্ণকুমারী দেবী, কামিনী রায় আরও বহু খ্যাত অখ্যাত গীতিকার। শতগান, কাকলি, প্রকাশিকা, গীতসূত্রকার প্রভৃতি গ্রন্থে এঁদের গান প্রকাশিত হত।

       বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন যখন চলছে তখন সরলাদেবী শারদীয়া পূজাকে ভিত্তি করে ‘বীরাষ্টমী’ উৎসব প্রবর্তন করেন। এই অনুষ্ঠানে লাঠিখেলা, ছোরা খেলা, কুচকাওয়াজ প্রভৃতি martial art অঙ্গ ছিল যার উদ্দেশ্য ছিল ছেলেমেয়েদের মনে সাহস সঞ্চার করা ও চিত্তকে শৌর্যবীর্যের আদর্শে অনুপ্রাণিত করা। এই উপলক্ষে রচিত সরলাদেবীর গান ‘অতীত গৌরব বাহিনী’ অথবা ‘বন্দি তোমায় ভারত জননী / বিদ্যা মুকুটধারিণী উল্লেখ্য।

       দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের দেশাত্মবোধক গান ও নাটক জাতির মনে তীব্র আলোড়ন তোলে। তাঁর উল্লেখযোগ্য গানগুলি হল—

       ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’

       ‘ভারত আমার ভারত আমার’

       ‘বঙ্গ আমার জননী আমার’

       ‘যেদিন সুনীল জলধি হইতে’ ও আরও বহু উদাহরণ।

তাঁর গানে ভারত ও বঙ্গদেশ সমান গুরুত্বলাভ করেছে। তাঁর গানের শিকড় দেশের মাটিতেই প্রোথিত হলেও সুর সংযোজনার ক্ষেত্রে দিশী পদ্ধতির প্রভাব থেকে মুক্ত রেখে তিনি জাতীয়তার আবেগকে শক্তিদান করবার উপযুক্ত সুরারোপ করেন, এবং এর প্রভাব অপরিসীম।

       কান্তকবি রজনীকান্ত সেনের যেসব স্বদেশী গান সে যুগে বাংলায় উদ্দীপনা সঞ্চার করেছিল সেগুলি হ’ল–

       ‘মায়ের দেওয়া মোটা কাপড়’

       ‘তাই ভালো মোদের মায়ের ঘরের ভাত’

       ‘ফুলার কল্লে হুকুম জারি’

       ‘আয় ছুটে ভাই হিন্দু মুসলমান’

       ‘শ্যামল শস্যভরা’

       ‘ভারতকাব্য নিকুঞ্জে’

       ‘জাগো সুমঙ্গলময়ী মা’

       ‘বিধাতা আপনি এসে পথ দেখালে’

       ‘রে তাঁতী ভাই’

       ‘জয় জয় জন্মভূমি জননী’

       ‘এবার সোনার বাংলা ভাগ করে ভাই কল্পে রে দুখান’

       ‘তোরা আয় রে ছুটে আয়’

       ‘আমরা নেহাৎ গরীব’

       ‘আর কিসের শঙ্কা’

       ‘কেমন বিচার কচ্ছে গোরা’

এই গানগুলিতে সহজ সরল অভিব্যক্তির সঙ্গে প্রচলিত সুরসংযোজনার দক্ষতা লক্ষ্যণীয়। ‘মায়ের দেওয়া মোটা কাপড়’ গানটি রচনার দিনই সন্ধ্যায় একদল যুবক এই গান গাইতে গাইতে খালিপায়ে নগর পরিক্রমা করে। বিদেশী দ্রব্য বর্জনে এসব গান যথেষ্ট অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।

       বাংলার জাতীয়সংগীতের এই পর্বে যাঁদের অবদান স্মরণীয় তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন মুকুন্দ দাস। তিনি কোনও সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন না। মুসলমানদের অনুষ্ঠানেও তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে যোগ দিতেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ‘সন্তান’ বলে অভিহিত করেন। যাত্রাভিনয়ে তিনি অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ যাত্রার দল গঠন করে সামাজিক, দেশাত্মবোধক রূপক নাট্য অভিনয় করে বেড়াতেন। তাঁর অভিনয় দেখার জন্য আবালবৃদ্ধবণিতা সকলের মধ্যে তীব্র আগ্রহ দেখা যেত। গেরুয়াবসন পরিহিত এক অগ্নিশিখার ন্যায় যাত্রার আসরে ঝাঁপিয়ে পড়ে তিনি ‘মাভৈঃ মাভৈঃ’ বলে গান ধরতেন ও উদাত্ত কণ্ঠে সুরের মাতনে সবাইকে মাতিয়ে দিতেন। তাঁর ‘ছেড়ে দাও রেশমী চুড়ি’ গান শুনে চিকের আড়াল থেকে মহিলারা হাত থেকে রেশমী চুড়ি খুলে ছুঁড়ে ফেলতেন।

তাঁর অন্যান্য জনপ্রিয় গান—

       ‘আমি দশহাজার প্রাণ যদি পেতাম

       তবে ফিরিঙ্গী বণিকের রবি অতলজলে ডুবিয়ে দিতাম।’

       ‘ফুলার আর কি দেখাও ভয়

       দেহ তোমার অধীন বটে, মন তো তোমার নয়।’

       ‘ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে

       মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে।’

       ‘রাম রহিম না জুদা কর ভাই’

নিজ রচনা ছাড়াও অন্যান্য গীতিকারদের গানও তাঁর যাত্রায় তিনি ব্যবহার করতেন।

       সংখ্যায় বেশী না হলেও যাঁর লেখা কয়েকটি দেশাত্মবোধক গানের গভীর আবেদন মনকে স্পর্শ করে, তিনি হচ্ছেন অতুলপ্রসাদ সেন।

       ‘উঠ গো ভারতলক্ষ্মী’

       ‘বলো বলো বল সবে, শতবীণা বেণু রবে’

       ‘হও ধরমেতে ধীর, হও করমেতে বীর’

       ‘মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা।’

       ‘ভারত ভানু কোথা লুকালে’ ইত্যাদি।

সম্মেলক গীতি হিসাবে গানগুলি সার্থক এবং গানের ছন্দ, সহজ-সরল স্বতঃস্ফূর্তভাব সবার নিকট সহজবোধ্য হয়ে উঠেছিল।

       কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদের নিম্নোক্ত গানগুলি বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে –

       ‘সেই তো রয়েছে মা’

       ‘আজ বরিশাল পুণ্যে বিশাল’

       ‘ভাই সব দেখ চেয়ে’

       ‘চণ্ড দিতে চণ্ড মুণ্ডে’

       ‘ছিন্ন হল বঙ্গ কেন ভাব অমঙ্গল’

       ‘এক দেশে থাকি এক মাকে ডাকি’

       ‘এস দেশের অভাব ঘুচাও’— এই গানটিতে মনমোহন বসুর ‘দিনের দিন সবে দীন’ গানটির প্রভাব চোখে পড়ে।

       অন্যান্য আরও যে সব মুক্তির গান নিবিড় দেশপ্রেমে কালোত্তীর্ণ ছিল তার একটা তালিকা করা যেতে পারে।

       প্রমথনাথ রায়চৌধুরীর— ‘নমো বঙ্গভূমি শ্যামাঙ্গিনী

       জাগরণী শুভদিনে গাহ শুভক্ষণে গাহ আজি জয়’

       ‘হে মাতঃ বঙ্গ’।

কামিনী রায়ের— ‘তোরা শুনে যা আমার’

মনমোহন চক্রবর্তীর— ‘চল্ রে চরে চরে ও ভাই’ এবং

       ‘কাঁপায়ে মেদিনী কর জয়ধ্বনি জাগিয়া উঠুক মৃতপ্রাণ।’

হরিদাস হালদারের – ‘স্বদেশের ধূলি, স্বর্ণরেণু বলি’

অশ্বিনীকুমার দত্তের – ‘শুনি মাভৈঃ মাভৈঃ’

গোবিন্দচন্দ্র দাসের – ‘স্বদেশ স্বদেশ কচ্ছ কারে এদেশ তোমার নয়’

জ্যোতিরিন্দ্র মোহন বাগচীর – ‘ওরে খ্যাপা যদি প্রাণ দিতে চাস’

বরীন্দ্রমোহিনী দাসীর— ‘আজি গাও গাও খুলে মন প্রাণ’

বিপিনচন্দ্র পালের— ‘আর সহে না সহে না জননী, এ যাতনা আর সহে না’

সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের– ‘কোন্ দেশেতে তরুলতা’

শিবনাথ শাস্ত্রীর— ‘পারি কি ভুলিতে ভারত রুধির’

জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের— ‘চল্ রে চল্ সবে ভারতসন্তান’

স্বর্ণকুমারী দেবীর— ‘লক্ষ ভাইয়ের দাঁড়ের টানে’

গোবিন্দচন্দ্র রায়ের— ‘কতকাল পরে বল ভারত রে’

দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের— ‘মলিন মুখ চন্দ্ৰমা’

       এছাড়া আরও অজস্র গান রচিত হয়েছিল। জানা যায় বেশ কিছু জারি গানের মাধ্যমে মুসলমানরাও ব্রিটিশদের বিরোধিতা প্রকাশ করেছিল। বরিশালের অশ্বিনীকুমার দত্তের উৎসাহে এফিজুদ্দিন বয়াতি বেশ কিছু জারি গান রচনা ক’রে সর্বত্র সেগুলি গেয়ে প্রচার করতেন।

       বিশদ আলোচনায় না গিয়ে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বঙ্গভঙ্গের প্রতিক্রিয়ায় যে ঢেউ উঠেছিল তা গ্রামজীবনকে যে সাড়া জাগিয়েছিল, তার পরিচয় মেলে বহু খ্যাত-অখ্যাত কবিদের রচিত দেশাত্মবোধক পল্লীগীতির সমান্তরাল ধারায়, যেমন— আউল, বাউল, ভাদু, টুসু, সারি, গম্ভীরা, সঙের গান ইত্যাদি। ভক্তিমূলক গানের পাশাপাশি বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন অনেক ভক্তিমূলক গান যথা কীর্তন, ব্রতকথা, বৈষ্ণব গানের বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল। সংরক্ষণের অভাবে এবং তাৎক্ষণিক তাৎপর্য হারানোয় সেসব গানের অধিকাংশই আজ অবলুপ্ত। আরও অনেক গীতিকার এই যুগে বাংলা জাতীয় সংগীতের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছিলেন যাঁদের গান দেশবাসীর মনে জাতীয়তাবোধ সঞ্চারিত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল, তাঁদের সকলের নাম উল্লেখ করা গেল না, কালের স্রোতে অনেকের নাম ও গান হারিয়ে গেছে, কিন্তু শুধু বঙ্গবাসী নয়, সারা দেশবাসী চিরকৃতজ্ঞচিত্তে তাঁদের অবদানের কথা স্মরণ রাখবে।

       ১৯১২ সালের পর রাজনৈতিক আন্দোলনের রূপ পরিবর্তিত হয় এবং বাংলায় এই ধরণের স্বদেশপ্রেমের গানের জোয়ার স্তিমিত হয়ে আসে। তাই বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনই বাংলায় জাগরণী সংগীতের স্বর্ণযুগ বলা যায়। বাংলার স্বদেশী আন্দোলনে এই সব দেশবরেণ্য ব্যক্তিদের অবদান চিরস্মরণীয় এবং বাংলা সংস্কৃতিতে এঁদের মহান সৃষ্টি আজ এত বছর পরেও স্বমহিমায় জাজ্জ্বল্যময়।

তথ্যসূত্র –

১) মুক্তির গান – সংকলন ও সম্পাদন – সুভাষ চৌধুরী

২) বাংলা দেশাত্মবোধক গানের ধারা – নীহারবিন্দু সেন

৩) প্রসঙ্গ, বাংলা গান – শ্রীরাজ্যেশ্বর মিত্র

Evolution of Media Music in India: The Transition from Print to Digital Media

Ayan Bandyopadhyay

Abstract

The evolution of media music in India reflects the profound changes in technology, society, and cultural consumption over the last century. This transition began with print media, where sheet music and songbooks were crucial in disseminating music to a broader audience. These print forms were complemented by early gramophone records and radio broadcasts, marking the initial stages of mass media music. The introduction of film in the early 20th century, particularly with the advent of Bollywood, revolutionized how music was produced, consumed, and shared, making film songs a dominant force in the Indian music industry.

As technology advanced, the role of radio, vinyl records, and cassettes played a significant part in shaping India’s music culture in the mid-20th century. With the globalization of media and the rise of satellite television in the 1990s, music videos became a powerful medium of expression and promotion, allowing artists to reach larger audiences through MTV, Channel V, and other platforms.

The early 21st century saw the digital revolution take over, transforming the Indian music industry. The proliferation of the internet, mobile technology, and streaming platforms like YouTube, Gaana, and Spotify led to the decline of physical media and a rise in the on-demand culture of music consumption. This digital transition also empowered independent musicians to bypass traditional gatekeepers like record labels, offering new opportunities for content creation, promotion, and distribution.

This paper explores the historical trajectory of media music in India, examining key milestones in the transition from print to digital media. It highlights how these changes have impacted not only the modes of music production and distribution but also how Indian audiences engage with and consume music. The digital age has ushered in a new democratization of music, allowing for greater diversity, innovation, and accessibility in the Indian music landscape.

Keywords
Media music, Indian music industry, digital media, music streaming, print media, music distribution, music evolution, technology in music, music consumption, and independent musicians.

Introduction

In the vibrant tapestry of Indian culture, music has always held a paramount position,

transcending language, region, and religious boundaries. Over the years, the dissemination of music has evolved significantly, especially with the advent of print and digital media. This transition has not only revolutionized the way music is produced, distributed, and consumed but has also reshaped the nation’s cultural landscape. Media music in India has undergone a significant transformation over the years, with a notable shift from traditional print media to the vast landscape of digital platforms. This transition has not only changed the way music is consumed but has also played a crucial role in shaping the industry, fostering innovation, and broadening the reach of Indian music globally.

Role of Print Media

Historically, print media has been a significant player in promoting and disseminating music in India. Magazines, newspapers, and specialized music publications served as important platforms for artists to showcase their work, connect with audiences, and share insights into the industry. Reviews, interviews, and features in print media played a pivotal role in shaping public opinion and influencing the success of music releases. The print media’s role in documenting the history of Indian music, featuring profiles of artists, and providing a space for critical analysis has been invaluable. It contributed to the preservation of cultural heritage, acting as an archive for music enthusiasts and scholars. Magazines, newspapers, and music journals served as crucial platforms for promoting musicians, concerts, and new releases. Publications like “The Illustrated Weekly of India” and “Filmfare” magazine became cultural touchstones, featuring interviews, reviews, and profiles of musicians and composers.

They acted as bridges between artists and audiences, fostering a sense of community and shared musical experiences.       Print media also facilitated the documentation and preservation of traditional Indian music forms, including classical, folk, and devotional genres. Books, sheet music, and instructional guides helped aspiring musicians learn and appreciate the intricacies of various musical styles. Moreover, print advertisements and promotional materials served as effective marketing tools, shaping audience preferences and trends.

However, despite its enduring influence, print media faced limitations in terms of reach,

immediacy, and interactivity. The rise of digital technology heralded a paradigm shift in the way music was produced, distributed, and consumed, leading to a new era of innovation and accessibility.

The advent of digital media marked a watershed moment in the history of Indian music.

With the advent of the internet and the rise of digital platforms, the landscape of media music in India underwent a revolutionary change. With the proliferation of the internet, social media platforms, and streaming services, music has become more accessible than

ever before. Digital platforms such as YouTube, Spotify, Gaana, and Saavn revolutionized the music industry, democratizing access to a vast repertoire of songs across genres and languages. Digital media not only provided a wider and more accessible platform for artists but also allowed for a more interactive and dynamic engagement with audiences. Social media, streaming services, and music apps became the new channels for discovering, sharing, and consuming music. Digital media not only provided a global stage for established artists but has also empowered the new upcoming independent musicians to reach a wider audience without the need for traditional gatekeepers. Artists can now leverage these platforms to share their music, connect with fans directly, and cultivate their own unique brand identities. Social media platforms have enabled direct engagement between artists and fans, fostering communities and facilitating real-time feedback and collaboration, transforming the dynamics of the artist-fan relationship.

Furthermore, digitalization facilitated the convergence of multimedia elements, blurring the boundaries between music, video, and visual arts. Digital media have introduced the concept of music videos, a prominent form of visual media, which has led to the transformation of songs into an immersive audio-visual experience, enabling the artists to convey their artistic vision and connect with the fans at a deeper profound level. Music videos, lyric videos, and virtual concerts have become integral components of the digital music experience, enhancing immersion and audience engagement. The rise of social media has further accelerated the influence of media on music culture, with viral challenges, online communities, and streaming metrics dictating the popularity and success of songs and artists.

Impact on Music Consumption

The shift from print to digital media has redefined how people consume music. Streaming services have become the primary mode of accessing music, offering a vast library of songs across genres. Personalized playlists, algorithm-driven recommendations, viral trends, and easy sharing options have personalized the music discovery experience for users. The rise of digital media has also led to the globalization of Indian music. Platforms like YouTube,    Spotify, and Apple Music have provided a stage for Indian artists to showcase their talent to an international audience, breaking down geographical barriers and contributing to the global appreciation of Indian music.   

Challenges and Opportunities

The digital media landscape has influenced the production and creation of music in

significant ways. Record labels and artists have adopted their strategies to align with the changing media consumption patterns. For instance, the transition from physical album sales to digital downloads and streaming has compelled artists to create shorter, more attention-grabbing songs that cater to the shorter attention span of the audience. Moreover, the pressure to produce chart-topping hits in an era of instant gratification has led to an increased focus on catchy hooks, and infectious melodies. The media’s influence on music production extends to the use of technology as well, where advancements in production software and digital recording techniques have opened up new creative possibilities for artists.

While digital media has expanded the reach of music, it has also posed challenges for artists and the overall industry as a whole. The ease of digital distribution, and online streaming has resulted in a significant decline in physical album sales, impacting the revenue streams of musicians. Furthermore, the relevance of piracy, copyright issues, and unauthorized sharing of music has raised concerns about intellectual property. However, it has also opened up new revenue streams through digital distribution, live streaming, and brand partnerships.

Conclusion

In conclusion, the role of media music in India has undergone a remarkable transformation from print-centric promotion to a digitally-driven, globalized industry. While print media laid the foundation for musical dissemination and cultural exchange, digital media has revolutionized accessibility, interactivity, and creativity, shaping the musical landscape of India in profound ways. The transition has not only changed the way music is produced, consumed, and shared but has also empowered artists and audiences alike. The synergy between music and digital media has created a powerful platform for social commentary and artistic expression. As the landscape continues to evolve, stakeholders must adapt to the opportunities and challenges presented by the dynamic world of digital media. As we embrace the opportunities and challenges of the digital era, let us strive to celebrate and preserve the diversity and richness of Indian music for generations to come.

Bibliography

Books:

  1. Bakhle, Janaki. Two Men and Music: Nationalism in the Making of an Indian Classical Tradition. Oxford University Press, 2005.
  2. Beaster-Jones, Jayson. Bollywood Sounds: The Cosmopolitan Mediations of Hindi Film Song. Oxford University Press, 2014.
  3. Booth, Gregory D. Behind the Curtain: Making Music in Mumbai’s Film Studios. Oxford University Press, 2008.
  4. Manuel, Peter. Cassette Culture: Popular Music and Technology in North India. University of Chicago Press, 1993.
  5. Sharma, Sonal. Digital Platforms and Indian Music: A New Era of Global Consumption. Routledge, 2021.
  6. Roy, Arun. “Media, Music, and Modernity: The Impact of Digital Platforms on Indian Film Music.” PhD diss., University of Delhi, 2018.
  7. Iyer, Lakshmi. “Soundtracks of Change: The Shift from Analog to Digital in Indian Music.” Master’s thesis, Jawaharlal Nehru University, 2020.

Music Therapy: effect of music on autism, depression and schizophrenia

Bedotroyee Sarkar

WB SET, MA in Instrumental Music (Sitar) – Rabindra Bharati University, Kolkata, West Bengal.

Email: amar.kotha2011@gmail.com

Abstract

A melodious sound that soothes the mind and body is termed as music. Music is that medicine through which mind can be healed and mental problems can be cured. Music therapy can be termed as a progressive approach in the treatment of mental disorders. In many cases, music therapy has shown positive results in treating mental disorders like autism, depression, schizophrenia and many more.  Music, as a therapeutic approach, has paved the way for mental as well as physical healing through various processes such as lifting of moods and self-confidence in case of depression. Listening to music is much helpful for children with autism as it can stimulate cognitive functioning and patients with schizophrenia can have motivated thoughts and improved clinical symptoms. This paper discusses about the effects of music therapy on autism, depression and schizophrenia, how it can be treated through music and how this process will help in handling mental disorders in future.

Keywords: Music therapy, effects of therapeutic approach, depression, autism, schizophrenia, mental healing.

Introduction

Therapy is something which is performed with verbal communication and interaction in order to improve mental conditions. Music therapy is that form of mental treatment in which music or musical elements are used to reduce stress and other mental and physical conditions. This research paper explains the motives and benefits of music therapy for autism, depression and schizophrenia.

Music as a therapeutic approach is moving ahead with promising results. A therapist should at first study the mental condition of patient before the commencement of a therapy session. People from any age can get benefitted through music. A therapy can become successful only if there is a good communication between therapist and patient. Therapeutic treatment will fail if there is no cooperation between therapist and patient. The primary stage of a therapy is verbal interaction which will help in understanding the mental condition and whereabouts of the patient.

Autism

In autism, a patient has difficulty in brain development resulting in socially inapplicable behaviors. Some symptoms in children with autism spectrum disorder include avoiding eye contact, unresponsiveness and repetitive behavioural patterns. Autism is regarded as a spectrum disorder because it manifests differently in each person, e.g. – some may be non-speaking while some others may not have speech deficiency. Some might have notable abilities including music or artistic production, mathematics etc. Music therapy can have a strong impact on autism as it helps to reduce anxiety, enhances emotional regulation and improves communication barriers.

Depression

In depression, detachment from the society, lack of motivation, hopelessness etc. are some of the most common symptoms. A proper music therapy session would be helpful for patients with depression as it encourages stress reduction, removes anxiety levels, helps in boosting mood and strengthens self-confidence.

Schizophrenia

Schizophrenia patients suffer from intense delusional imagery which makes it difficult for them to believe the truth often struggling between reality and illusion. Music therapy can be of great help to reduce hallucinations, social withdrawal, improve neural oscillations, sleep disturbances and psychotic symptoms. A therapy can have favorable outcomes if it is done properly under trained professionals who will help in overcoming mental issues through various progressive approaches.

Music provides a positive aura, reduces anxiety, and depression and helps to build cognitive, emotional and physical abilities. With a proper therapeutic approach, a therapy session can produce promising results.

Methodology

Interaction with the patient is important in order to develop the bond which will help in running a therapy session smoothly. The bond which is developed between a therapist and patient must be managed professionally, ethically and sensibly. In this paper, both active and receptive music therapy has been used for patients with autism, depression and schizophrenia for their mental healing.

The first patient was a 14-year-old teenage boy with autism who was behaving violently due to psychological problems. After consulting his parents and doctor, it was revealed that the root of his problem was the psychological change resulting from the adulation period. At first, interacting with him seemed difficult as the boy could not speak and his aggressiveness was much higher. Therapy with music became the best medicine for him which was conducted for 1 month with Hindustani classical instrumental music, i.e. raga Bhoopali in sitar. The soothing nature of raga Bhoopali changed the boy’s mood and he slowly became calm and peaceful after listening to it for one month. This one-month therapy session helped the autistic boy to reduce his aggressiveness and increase his gentleness.

Case no.1:

Name:  Rishav Roy

Age:   14 years

Disorder:  Autism

Symptoms: Violent and aggressive behavior due to psychological changes

Method: Receptive music therapy (Hindustani Instrumental Sitar-raga Bhoopali)

Results: Therapy has helped in overcoming violent behavior after a one month session with Hindustani classical instrumental music and his aggressiveness slowly changed to gentle behavior–(Stated by parents).

The second patient was a 55 years old man suffering from depression. The patient’s family members revealed that after the untimely demise of his wife due to cancer the man drowned into deep depression. Gathering some information’s related to his suffering, it was found that the man was unable to eat and communicate. He neither went out in fresh air nor communicated and was fixed to his bed lying there the whole day staring at the ceiling. The first day of the therapy session started with raga bhairavi in sarod but the patient seemed to be unresponsive towards the approach. After doing therapy session for two weeks with instrumental music the condition of the patient didn’t improve. Then another therapy session was done with a famous Hindi song of legendary singer Kishore Kumar –“Ruk jana nahi tu kahi harke”. This particular song helped the patient to cope up with his condition because he started responding positively after listening to that song and started to communicate slowly after a long three months therapy session. At present the mental condition of the man is much better and stable than his previous form. Now he regularly listens to music and has been leading a normal life since then.

Case no.2:

Name:    Dibakar Ghosh

Age:       55 years

Disorder:  Depression

Symptoms: Problem in communication due to mental shock

Method: Receptive music therapy (Hindi Song-“Ruk jana nahi” by Kishore Kumar)

Results: Session helped him to cope up with his condition as he responded positively towards the approach and was able to come out of depression after a long therapy session for three months. He has started interacting again and is now in a much better mental state than the previous one– (Stated by family members).

Another case was of a 36 years old woman with schizophrenia. This case was a little bit sensitive as some information revealed that the patient has been a victim of an unfortunate incident which happened to her during her college days and since then she has isolated herself from the world. Her condition was so worse that she never asked for food and water until and unless it was offered to her and always sat beside the window staring outside for long hours without any movement rubbing her forehead. After consulting her doctor and family members, it was known that she used to learn music and loves to sing rabindra sangeet but it was stopped in the mid part due to her mental condition. The therapy session took place in her house in front of her family members and doctor with active music therapy. The patient’s favorite Rabindra Sangeet was-“Jagate anondojogye” which was used during the therapy session. During the first week of the session, she had a slight response as playing of that song made her to look up at everybody without any expression but it lasted for a short time because her response was limited to the time span of the song. Whenever the song got finished she used to put back her eyes towards the floor like her previous form rubbing her forehead. After two months, she seemed to be relaxed while listening to that song and was starting to enjoy the therapy session. After six months, she started to smile while looking up at her family members with the help of that song. During the ninth month of the session, she started singing that song perfectly surprising every family members. Her session continued for three more months and with the help of this one year long session she is now able to communicate with her family members about her problems. She now practices music every day and even has started interacting socially.

Case no.3:

Name: Piyali Kar

Age:    36 years

Disorder:  Schizophrenia

Symptoms: Problem in communication, isolation from society and family members

Method: Active music therapy (Rabindra Sangeet-“Jagate anandojogye”)

Results: Therapeutic session with Rabindra Sangeet for one year affected positively as it helped her to communicate and encouraged her to lead a normal life. Now she is taking music lessons and is now much better than her previous self– (Stated by doctor and family members).

Results

Musical interventions can improve anxiety levels and also cognitive and physical abilities. Listening to music on a daily basis is good for mental health as music releases dopamine which helps in reducing anxiety, stress, depression etc. Dopamine communicates with brain cells and encourages them to act in a pleasurable way. The stimulative nature of dopamine is the main reason why chemical messenger motivates us. Research has shown that music therapy is helpful in improving speech functions, cognitive and motor skills and is considered to be a natural remedy for boosting the mind. The ultimate aim of therapeutic approach is the betterment of patient’s mind and body.

Discussion

Music therapy has brought a vast change on the mental health of people. It has not only helped in changing the mental issues but also provided positive aura which has proved to be fruitful in many cases. The main purpose of music therapy is to build a connection based on musical elements so that the social, cognitive, physical and emotional needs of an individual are met. The positive effect of music therapy helps in increasing the ability of patients with schizophrenia so that he or she could adapt to the social environment, in depression music therapy can act as a mood lifter providing motivation and encouragement and in autism long term therapeutic approach can provide promising outcomes as it helps in developing cognitive skills. Overall, music therapy is a powerful approach which has provided positive results in healing the mind and body.

Reference

1. De Souse A, De Souse J. Music therapy in chronic schizophrenia. J Pak Psychiatr Soc. 2010;7:13–8.

2. Music therapy with Indian music (Essentials and sources) Vol-1, Ruma Chakravarty (December 2019), Factorize publishers.

3. Sravanti L, Kommu JVS, Suswaram S, Yadav AS. Musical preferences of Indian children with autism spectrum disorder and acceptability of music therapy by their families: An exploratory study. Ind Psychiatry J. 2023 Jan-Jun;32(1):176-186. doi: 10.4103/ipj.ipj_190_22. Epub 2023 Apr 14. PMID: 37274590; PMCID: PMC10236685.

4. Bharathi, G., Venugopal, A. & Vellingiri, B. Music therapy as a therapeutic tool in improving the social skills of autistic children. Egypt J Neurol Psychiatry Neurosurg 55, 44 (2019). https://doi.org/10.1186/s41983-019-0091-x

5. Deshmukh AD, Sarvaiya AA, Seethalakshmi R, Nayak AS. Effect of Indian classical music on quality of sleep in depressed patients: A randomized controlled trial. Nord J Music Ther 2009; 18:70–8.

6. Gupta U, Gupta BS. Psychophysiological responsivity to Indian instrumental    music. Psychol Music 2005; 33:363–72.

7. Luke Parkitny, James Mc Auley. The depression Anxiety Stress Scale (DASS). Journal of Physiotherapy 2010; 56:pg204.

8. Jeyan , A., N. V. Indu, B. Sivaprakash, and . K. Banipreet. “Effect of Adjunctive Music Listening in Schizophrenia – a Randomized Controlled Trial”. Kerala Journal of Psychiatry, vol. 35, no. 1, Mar. 2022, pp. 47-53, doi:10.30834/KJP.35.1.2022.316.

9. Mössler K, Chen X, Heldal TO, et al. Music therapy for people with schizophrenia and schizophrenia-like disorders. Cochrane Database Syst Rev 2011; CD004025.

10. Rickson DJ. Instructional and improvisational models of music therapy with adolescents who have attention deficit hyperactivity disorder (ADHD): A comparison of the effects on motor impulsivity. J Music Ther. 2006;43:39–62. [PubMed] [Google Scholar]

The domestic world in Mariama Bâ and Ashapurna Devi

Anwesha Biswas, Visiting Faculty,  Department of French,  Syamaprasad College, Kolkata

Abstract

This discourse, based on the comparative study of two novels, ‘Une Si Longue Lettre’ and ‘Pratham Pratishruti,‘ from different eras and continents, aims to pay tribute to two pioneers of modern feminism, Mariama Bâ and Ashapurna Devi, and will show how their feminist consciousnesses blend without any barriers of time, culture, and language. Both feminists have taught me how writing is often a means of escaping distress and how despite our sufferings, we can still manage to say something meaningful about life.

During the centuries when these two novels were written, the world was preoccupied with major issues such as wars and colonization. The problems inside the four walls, particularly women’s struggles in the domestic world, were consciously ignored. In this discourse, I will demonstrate that although these two novels depict societies from different continents, different centuries, different cultures, and different religions, they blend in the same claustrophobic air of patriarchy. This patriarchal mentality, in the form of norms and religious traditions, problematizes or hinders societal progress by oppressing women’s voices in the domestic world. In this research, one can also see that not only were men the cultivators of patriarchy, but some old women tried to establish patriarchal tradition more than men. However, the protagonists of Bâ and Devi proved that despite patriarchal domination, women can find their path to freedom by breaking the chain of prolonged silence within the four walls. And through these novels, feminist voices emerge from these claustrophobic four walls and begin to resonate in the fresh air of freedom.

Finally, the main objective of this research is to explore shared themes and narratives in Franco-Indian literature concerning the novels ‘Une Si Longue Lettre‘ and ‘Pratham Pratishruti.’

Keywords: French-Indian literature, Patriarchy, Domestic society, Feminist voices, The chain of silence, Freedom.

Résumé

Ce discours, basé sur l’étude comparative de deux romans, Une Si Longue Lettre et Pratham Pratishruti, d’époques différentes et de continents différents, tend à rendre hommage à deux pionnières du féminisme moderne, Mariama Bâ et Ashapurna Devi et montrera comment leurs consciences féministes se mêlent sans aucune barrière de temps, de culture et de langage. Tous les deux féministes m’ont enseigné comment l’écriture est souvent un moyen de sortir d’une détresse et comment malgré nos souffrances personnelles, nous pouvons encore réussir à dire quelque chose de significatif sur la vie.

Au cours de ces siècles où ces deux romans ont été écrits, le monde était occupé par de grands problèmes comme les guerres, la colonisation. Les problèmes à l’intérieur des quatre murs, en particulier la lutte des femmes dans le monde domestique ont été consciemment ignorés. Dans ce discours, je vais montrer que bien que ces deux romans mettent en scène des sociétés de continents différents, de siècles différents, de cultures différentes, de religions différentes, ils se mêlent dans le même air claustrophobe du patriarcat. Cette mentalité patriarcale sous forme de normes et de traditions religieuses problématise ou entrave le progrès de la société en opprimant les voix des femmes dans le monde domestique. Dans cette recherche, on peut également voir que non seulement les hommes étaient les cultivateurs du patriarcat mais qu’il y avait des vieilles femmes qui essayaient d’établir la tradition patriarcale plus qu’un homme. Mais les protagonistes de Bâ et Devi ont prouvé que malgré la domination patriarcale, les femmes peuvent trouver leur chemin de la liberté en brisant la chaîne du silence prolongé à l’intérieur des quatre murs. Et à travers ces romans, les voix féministes sortent de ces quatre murs claustrophobes et commencent à résonner dans l’air frais de la liberté.

Enfin, l’objectif principal de cette recherche est d’explorer des thèmes et des récits partagés en littérature franco-indienne en référence aux romans Une Si Longue Lettre et Pratham Pratishruti.

Keywords;  Littérature franco-indienne, Patriarcat, Société domestique, Voix féministes, La chaîne du silence, Liberté.

Introduction

La littérature est prudemment une périphérie où les êtres humains ont la liberté d’exprimer leur misère, leur exultation, leurs protestations, leurs gémissements et leurs rires sans distinction de race, de sexe et de religion. La littérature donne la parole aux opprimés et aux vaincus. Donc, il est très important pour les femmes d’avoir accès au monde de la littérature où elles peuvent exprimer leurs opinions à l’aide de l’encre. Si l’on jette un coup d’œil par les fenêtres de l’histoire, on rencontre de nombreuses femmes écrivains qui ont utilisé leur stylo comme une arme pour lutter contre la domination.

Mariama Bâ, lauréate du prix Noma en 1981, utilise la lettre de format épistolaire, Une si longue lettre, pour dépeindre l’image d’une société où le patriarcat prévalait à tel point qu’une femme musulmane de cinquante ans qui enfantait un homme douze enfants pouvait être abandonnée à l’âge de cinquante-trois ans, pour la belle amie de sa fille aînée. Après le décès soudain de son mari Modou, cette femme, Ramatoulaye écrit une lettre à son amie Aissatou en Amérique, sur sa propre vie qui devient une critique cinglante d’une société patriarcale qui néglige consciemment de prêter attention à l’oppression des femmes. En écrivant ce roman épistolaire, Ramatoulaye contourne ainsi le mandat de silence de quarante jours imposé par l’islam à une veuve et Ramatoulaye profite de cette période de confinement pour faire une lettre un puissant symbole de la femme saisissant le stylo. A celui qui lit cette lettre, la première question qui lui vient à l’esprit est : Comment une lettre peut-elle être si longue ! Mais une lettre peut être si longue si elle raconte l’état misérable des femmes dans la société. Ce n’est pas une si longue lettre; c’est une si longue histoire douloureuse de la condition féminine dans notre société. Il ne s’agit pas seulement des femmes sénégalaises ou de leur condition et de leurs droits, il s’agit aussi de la condition réprimée, dominée et torturée de chaque femme de ce monde. L’auteur ne s’est pas seulement adressé ici à son amie, elle a en fait écrit cette longue lettre s’adressant à toutes les femmes de ce monde. Bien que l’auteur ait mis en lumière la société africaine et ses normes, cette lettre dépeint le cri de chaque femme qui résonne sans cesse de tous les coins du monde.

Ashapurna, d’autre part, n’avait aucune éducation formelle. Cependant, ses nombreux romans et nouvelles ont jeté beaucoup de lumière sur la condition des femmes bengalis et ont ainsi contribué au féminisme. Ashapurna possède un sens dynamique, poignant et aventureux de la manière dont ses protagonistes féminines se développent et questionnent la société. Devi explore l’innovation et l’illumination des femmes pendant la période coloniale et post-coloniale au Bengale. A travers ses nouvelles et surtout sa trilogie, son chef d’œuvre – Pratham Pratisruti[La première promesse] (1964), Subarnalata (1967) et Bakulkatha [L’histoire de Bakul] (1974), elle tente d’articuler le combat des femmes de son époque.

Dans ce discours, je voudrais mettre l’accent sur Pratham Pratisruti[La première promesse]. Le personnage principal de ce roman, Satyabati est une incarnation brûlante de la vraie féministe, qui, tout au long du roman, proteste contre la discrimination sexuelle et contre les normes non pertinentes de la société patriarcale. Devi a peint le personnage de Satyabati, le protagoniste de Pratham Pratisruti, avec les couleurs de l’intrépidité et de la rébellion. Dans ce roman, on peut voir que Satyabati n’est pas comme les autres femmes et enfants. Elle est différente. Elle élève toujours la voix contre l’oppression des femmes. Elle remet tout en question et son esprit est plein de curiosité depuis son enfance. Elle essaie toujours de briser les chaînes des idées préconçues de la société patriarcale. Au tout début du roman, on la trouve en train de débattre de sa volonté d’attraper du poisson avec une canne à pêche car, selon sa grand-mère, il est interdit à une fille d’attraper du poisson avec une canne à pêche. Mais elle nie suivre aveuglément ce genre de règles non pertinentes. Satyabati n’est pas comme ces femmes dociles qui suivent sans réfléchir les règles et les conduites anciennes au nom de la convention. Au lieu de cela, elle essaie de tout comprendre avec sa propre logique et cet héritage de rebelle se poursuivra jusqu’à bakulkatha où bakul remporte une véritable victoire sur l’émancipation des femmes.

Ainsi ces deux romans, Une si longue lettre et Pratham Pratisruti [La première promesse] explorent les luttes et les combats de femmes enfermées dans les quatre murs pour faire entendre leur voix dans cette société patriarcale. Les protagonistes de Bâ et Devi nous montrent que le silence a été forcé sur elles, mais elles n’ont jamais été silencieuses. Et à travers ces romans, ces voix féministes sortent de ces quatre murs claustrophobes et commencent à résonner dans l’air frais de la liberté.

La religion; un outil du patriarcat

Depuis l’Antiquité, il a été déduit que les femmes ont été subjuguées par les conditions patriarcales qui prévalent dans la société et cette subjugation prend naissance à l’intérieur des quatre murs du monde domestique. La première arme utilisée par le patriarcat est au nom des normes religieuses qui déprécient les droits des femmes. La religion est l’arme la plus pratiquée de la mentalité patriarcale pour dominer les femmes dans le monde domestique et cette domination dans les quatres murs est la vraie représentation du grand monde. La façon dont une religion peut dominer les femmes, personne d’autre ne le peut.

L’objectif de ce chapitre est de souligner les effets de déresponsabilisation de toute religion, en particulier en référence aux femmes dans le contexte musulman africain traditionnel du Sénégal et dans le contexte hindou traditionnel du Bengale avant l’indépendance qui sont bien reflétés dans ces deux romans.

Tout d’abord, on met l’accent sur le roman épistolaire Une si longue lettre de Mariama Bâ qui semblerait indiquer la marginalisation des femmes musulmanes en particulier.. Les femmes de ce roman peuvent être considérées comme des « victimes » de la société patriarcale dominée par une religion particulière. Par conséquent, ce chapitre vise à analyser la bataille des sexes dans le roman en examinant le traitement, l’exploitation et la manipulation des personnages féminins qui sont établis sur la base des principes de la Religion et de la Tradition.

Dans ce roman, Bâ décrit les effets de l’islam et de sa tradition sur les femmes Senegalaise. Au début, on apprend que la protagoniste, Ramatoulaye, vient de perdre son mari. Elle décide d’écrire une lettre à son amie Aïssatou pour se débrouiller ce rituel d’Iddah où une femme doit observer un silence encagé dans les quatre murs après la mort de son mari ou après un divorce, durant lequel elle ne peut épouser un autre homme. Elle écrit sur sa lutte émotionnelle pour retrouver sa vie peu de temps après avoir appris le deuxième mariage de son mari à l’âge de cinquante ans. Bien que les lois de l’Islam soient compatibles avec les actions de son mari Modou, cela est considéré comme un rejet brutal de leurs trente ans de vie commune. Cela est également considéré comme une trahison de la confiance de la femme, qui est encouragée par une religion car la loi islamique autorise la polygamie, où un homme musulman peut être marié à quatre femmes en même temps. La religion traite les femmes inférieures aux hommes dans une société et les condamne à être des citoyens de seconde zone. Même Aïssatou, l’amie d’enfance de Ramatoulaye a dû faire face à cette même épreuve déchirante avant Ramatoulaye, lorsque son mari Mowdo décide de prendre une autre femme. Mais contrairement à Ramatoulaye, malgré ses origines islamiques, Aïssatou va plus loin avec audace, laisse derrière  son mari et ses problèmes, se rend en France et commence sa vie seule. Elle brise les anciennes habitudes qui font prospérer l’assujettissement et l’oppression des femmes.

Les hommes la tiennent pour acquise, selon leur convenance comme Modou et Mowdo prennent cette affirmation comme la leur. Bien que Mowdo aime Aïssatou, l’impact de la culture et des traditions de la société musulmane africaine fait que Mowdo accepte son cousin Nabou comme sa deuxième épouse, ce qui peut être accordé sur le souhait de sa mère, qui regrette plus tard son acte. L’influence de la religion est telle que ni lui ni Modou ne peuvent penser une seule fois à leurs épouses avant de prendre la décision d’opter pour un second mariage.

La religion joue un grand rôle dans la domination et la suppression des femmes comme dans cette longue lettre épistolaire de Mariama Bâ, on peut voir que la vie des femmes dans la société musulmane d’Afrique est enfermée dans des frontières religieuses. Les coutumes religieuses comme la « Polygamie », « Iddah »[1] ont fait de leur vie pas moins qu’un enfer. Ces coutumes de la religion musulmane ont nié tous les droits des femmes dans la société. La même image a été magnifiquement projetée dans le film « Escape from Taliban », basé sur l’histoire « A Kabuliwala’s Bengali Wife » (Une Femme bengali d’un Kabuliwala) de Sushmita Banerjee[2] qui a expérimenté les mêmes souffrances tout en étant piégée dans les coutumes de la religion musulmane dans sa belle-famille en Afghanistan.

C’est la tradition religieuse qui ne permet même pas aux femmes d’étudier ce qui est exprimé par Bâ dans le texte à travers le personnage de La mère de tante Nobou Mawdo qui enseigne à sa nièce que « une femme n’a pas besoin de trop d’éducation » (Ch.12). et ( Bâ  :Une Si Longue Lettre). La religion nie le droit de la femme à la liberté et à l’éducation. Bien que dans ce roman les deux protagonistes réussissent à s’éclairer à la lumière de l’éducation et la culture occidentales après leur scolarité primaire à l’école coranique.

D’un autre côté, le même scénario a été dépeint dans le chef d’œuvre d’Ashapurna Devi, Pratham Pratishruti (La Première Promesse), bien qu’il appartienne à un siècle différent, à une culture différente, à une religion différente. Le roman se déroule dans un village du Bengale avant la partition. Son thème se concentre sur une structure sociale basée sur la superstition religieuse, les préjugés et l’injustice envers les femmes.

Dans ce chef-d’œuvre de Devi, on trouve un compte rendu de presque toutes sortes de pratiques, de normes et de systèmes religieux et sociaux qui prévalent dans la zone rurale du Bengale contemporain. Premièrement, si l’on jette un coup d’œil sur les veuves de ce roman, on peut bien remarquer qu’elles sont les pires victimes de pratiques religieuses non pertinentes. Il y a une énorme représentation du système des veuves dans ce roman. Comme le rituel d’Iddah dans la culture musulmane, dans l’hindouisme aussi une femme doit beaucoup souffrir après la mort de son mari à cette époque la. La vie des veuves est tout aussi misérable dans la société hindoue contemporaine du Bengale. Dans ce roman, on peut voir que les cinq veuves de la famille de Ramakali, Dinatarini, Kashiswari, Shankari, Shibjaya et Mokshada mènent une vie stricte par leur propre choix. Il y avait un endroit différent pour les veuves pour cuisiner et tout le monde ne pouvait pas entrer. C’est à eux qu’incombe la charge, de l’aube au crépuscule, de s’occuper de tous les problèmes pratiques de la gestion d’un foyer. Elles sont tenues de respecter strictement les règles régissant le veuvage, règles qu’elles renforcent cependant en exigeant que les autres membres féminins de la famille apprennent à les observer dans une société dominée par les hommes.

Un autre cas où ces deux romans se mêlent est la polygamie qui est nourrie par ces deux religions. À Pratham Pratishruti, on peut également voir que la prévalence de la polygamie est une incidence normale. c’est le « système de croyance » qui a légalisé le système de la polygamie et les femmes l’ont accepté sans aucune protestation, montrant le processus patriarcal de socialisation de la petite fille. Dans ce roman on peut voir qu’un des neveux de Ramkali, Rashbehari, suite aux obligations imposées à un brahmane kouline, est obligé de contracter un second mariage, mais en même temps une femme n’est pas autorisée à commencer une nouvelle vie même après la mort de son mari comme ici on peut voir que l’une des cinq veuves de la maison de Ramakali, Shankari s’enfuit avec l’homme qui la courtisait, Nagen, ce qui met toute la famille en disgrâce.

Mais contrairement au personnage de Ramatoulaye dans Une Si Longue Lettre, ici la première épouse de Rashbehari, Sarada proteste vigoureusement contre ce second mariage de son mari en menaçant de se suicider. Bien que Sarada ne soit pas très éduquée, sa protestation contre cette polygamie nous rappelle le personnage d’Aïssatou dans le roman, Une Si Longue Lettrede Bâ.

À la grande similitude avec  Bâ’s Une si longue lettre , dans ce roman, Pratham Pratishruti (La Première Promesse) de devi on peut aussi voir que la religion hindoue de cette période nie le droit de la femme à l’éducation et approuve le mariage des filles mais comme les protagonistes de Une si longue lettre, Ramatoulaye et Aïssatou, Satyabati, la protagoniste de Devi, réussit à s’éclairer à la lumière de l’éducation.

Bien que ces deux romans appartiennent à des siècles différents, à des cultures différentes et à des religions différentes, ils insistent sur l’éternelle victimisation des femmes africaines et indiennes par leur religion et leur culture. Ils se concentrent également sur les mariages d’enfants, encourageant ces jours-ci au Bengale et au Sénégal. Dans ces deux romans, les écrivaines dépeignent les sociétés sénégalaise et bengali d’influences religieuses et patriarcales où les familles exercent beaucoup de pressions et d’influence sur les jeunes afin de faire respecter les tabous, les normes et les privilèges traditionnels non pertinents.

Les femmes âgées; les fidèles du patriarcat

Généralement, la recherche féministe attribue la domination de l’idéologie patriarcale dans la société aux activités des hommes, tout en considérant les femmes comme des victimes innocentes de l’autorité patriarcale. Cependant, une lecture attentive des textes de certaines femmes écrivains comme Mariama Bâ et Ashapurna Devi fournit une critique de ce point de vue et examine les rôles directs et indirects joués par certaines femmes dans la perpétuation de l’oppression patriarcale. L’accent est mis sur les femmes âgées dans le monde domestique qui, souvent, sont si ignorantes, égoïstes et manipulatrices qu’elles rendent la vie difficile aux autres femmes.

Tout d’abord je vais jeter la lumière sur le roman, Une Si Longue Lettre de Bâ où j’analyserai les rôles de certaines femmes dans le système patriarcat dans le contexte du monde domestique de la société africaine.

Dans ce roman, on peut bien remarquer que Mawdo et sa femme Aïssatou étaient heureux et satisfaits dans leur mariage jusqu’à ce que Mawdo commence à subir des pressions extérieures de sa mère. La mère de Mawdo, tante Nabou, ne peut pas accepter que son fils a choisi une épouse d’une caste inférieure. Ensuite elle éduque et forme sa nièce Nabou à être obéissante, docile, sobre et bien informée dans les rôles traditionnels d’une femme. Tante Nabou ment plus tard à son fils Mawdo que « Mon frère Farha t’a donné le jeune Nabou pour épouse, pour remerciez-moi de la manière digne dont je l’ai élevée » (Ch.12). Elle prévient en outre que son refus d’obéir à sa volonté et d’épouser son cousin pourrait la tuer : « Je ne m’en remettrai jamais si tu ne la prends pas pour épouse. La honte tue plus vite que la maladie » (Ch.12). Que ce soit le stratagème d’une mère ou non, elle réussit et obtient la double joie de briser le mariage antérieur de son fils et de cimenter l’aristocratie de la famille. De toute évidence, Bâ critique tante Nabou pour son rôle central dans l’effondrement du mariage d’Aissatou. Tante Nabou est également critiquée pour avoir détruit l’avenir de sa nièce. Au lieu d’aider la jeune Nabou à s’émanciper, elle veut qu’elle reste ignorante, parfaitement docile et la plus silencieuse possible. Elle lui enseigne que« une femme n’a pas besoin de trop d’éducation  » (Ch.12). Tante Nabou est un exemple de femmes dont les actions sont préjudiciables aux intérêts modernes des femmes dans leur société. Elle est aussi égoïste et manipulatrice que les hommes de sa culture.

Puis un autre personnage de ce genre est la mère de Binetou, que l’auteur appelle ironiquement Dame Belle-Mère, Elle est« était plus préoccupée de faire bouillir la marmite que d’éducation [de sa fille]» (Ch.15), elle incite ainsi Binetou à interrompre ses études et à se marier Modou qui est plus âgée qu’elle plutôt qui a l’âge de son père. Dans le processus, Cette Dame Belle-Mère détruit la maison d’une autre femme et compromet par la suite les chances de sa fille de devenir financièrement indépendante. N’ayant pas l’éducation nécessaire pour trouver du travail, Binetou devient économiquement dépendant de Modou. La mère de Binetou considère ce mariage comme un moyen de mettre fin à sa misère et d’être propulsée « à la catégorie des femmes « au bracelet lourd », chantées par les griots. » (Ch.15). En retirant Binetou de l’école pour la « vendre aux enchères » au richissime mais vieux Modou, des adultes comme Dame Belle-Mère étouffent l’aspiration d’enfants comme Binetou.

En fin de compte, les belles-mères d’Aïssatou et de Ramatoulaye et la mère de Binetou sont les véritables complices des mariages polygames, détruisant non seulement le bonheur d’Aïssatou et de Ramatoulaye, mais aussi l’avenir des deux jeunes épouses Nobou et Binetou. Ces vieilles femmes ne sont pas seulement les servantes des structures patriarcales, mais aussi leurs gardiennes. Leur complicité est vivement dénoncée par la fille de Ramatoulaye, Daba comme elle dit : « Comment une femme peut-elle saper le bonheur d’une autre femme ? (Ch.21) » Daba conseille aussi aux jeunes filles comme Binetou et bien d’autres de ne pas sacrifier leur jeunesse, leurs études et leurs rêves pour satisfaire la cupidité de leur mère. Entendez-la : « refuser… si un homme offre [des richesses contre l’amour] car rien de tout cela ne vaut le capital de la jeunesse » (Ch.13).

D’un autre côté, si l’on analyse le roman d’Ashapurna Devi, Pratham Pratishruti [La Première Promesse], on peut remarquer que les veuves âgées de la famille de Ramakali dominent et établissent la tradition patriarcale plus qu’un homme.

Dans ce roman, la plupart des «mères» que nous trouvons sont timides de nature, elles sont extrêmement aimantes envers leur fils mais en même temps très atroces envers leurs belles-filles. Mais en même temps, il y a des mères comme Bhubaneshwar et Saudamini, qui sont conformistes, dévouées et ardentes à la fois envers leurs enfants et leurs beaux-parents.

Au debut de ce roman, on voit que le personnage de Jashoda (la grand-tante de Ramakali) se plaint à Jaykali (le père de Ramakali) que Ramkali se moque de Dieu et qu’il ne respecte pas les rituels religieux et que cet acte de Ramkali ne doit pas être toléré comme négligeant les rituels religieux n’est rien d’autre qu’un péché selon Jashosda. Le personnage de cette vieille dame de la famille indique clairement que les femmes plus âgées dans le monde domestique de cette époque étaient plus vigoureuses et consciencieuses pour suivre et maintenir des activités religieuses strictes et elles obligent les autres jeunes membres de la maison à accomplir et à suivre ces rituels traditionnels non pertinents. Ensuite on peut voir que les cinq veuves de la famille de Ramakali, Dinatarini, Kashiswari, Shankari, Shibjaya et Mokshada mènent une vie stricte par leur propre choix.

Un autre incident qui indique clairement que les femmes jouent également un rôle dans les souffrances des autres femmes, c’est quand l’un des neveux de Ramkali, Rashbehari, suite aux obligations imposées à un brahmane kulin, est obligé de faire un second mariage, ce que sa première épouse, Sarada, proteste vigoureusement. en menaçant de se suicider. En conséquence, son mari s’abstient de coucher avec la seconde épouse. Les autres femmes jalouses de la maison ne peuvent pas accepter ce succès de Sarada à faire chanter son épouse et parviennent à persuader Rashbehari de coucher avec la deuxième épouse. Et puis, quand l’une des cinq veuves, Shankari s’enfuit avec l’homme qui la courtisait, Nagen, ce qui met toute la famille en disgrâce et ces autres veuves s’opposent et critiquent beaucoup Shankari. Il est évident que par jalousie ces femmes sont incapables d’accepter le succès ou l’indépendance des autres femmes et deviennent ainsi la cause des souffrances des autres femmes.

Toutes les femmes sont les victimes de ces traditions dominantes de la société. Certaines ne se rendent jamais compte de leur victimisation et ont tendance à suivre aveuglément ces normes de la société et pour leur tendance à suivre aveuglément ces coutumes de la société, d’autres femmes qui ont l’intention d’atteindre la liberté deviennent la victime. Dans ces deux romans les personnages des femmes comme la mère de Ramatoulaye, sa belle-mère, la belle-mère de Aïssatou et les deuxièmes femmes de leurs maris et la mère de Binetou et Les veuves c’est-a-dire les grands-mères de Satyabati qui supportent le système de la polygamie sont les plus grands exemples de ce genre de femmes qui croient aveuglément au patriarcat plus qu’un homme et veulent désespérément continuer cette tradition.

Ce chapitre vise à montrer que, bien que les hommes soient souvent accusés d’opprimer les femmes, il est tout à fait évident que les femmes participent également à l’oppression féminine. Ces femmes âgées ignorantes, égoïstes, manipulatrices et insensibles sont un véritable obstacle à l’émancipation des femmes. Il y a donc nécessité absolue de relations cordiales. Fraternité et surtout. Solidarité entre les femmes, qu’elles soient mariées ou célibataires, pour se sauver de l’oppression et de la domination masculine. Comme le souligne à juste titre Irène d’Almeida[3], « Une plus grande solidarité entre les femmes est nécessaire pour atténuer l’agonie que vivent les femmes dans les situations [conjugales et sociales] »

Conclusion

A la fin, il ressort de cette étude que bien que ces deux pionnières du féminisme moderne, Mariama Bâ et Ashapurna Devi appartiennent à des continents différents, tous les deux ont professé écrire l’histoire de l’espace domestique apparemment en sourdine, du quotidien la vie des femmes au sein des quatre murs, domaine qu’elles ont justement pointé, avait été systématiquement méconnu des historiens. Bâ et Devi peuvent ainsi être considérées comme les pionniers de l’histoire de tous les jours.  Bâ a écrit une longue lettre épistolaire pour nous faire entendre le cri prolongé des femmes africaines et Devi a écrit une trilogie, un chef d’œuvre pour éclairer la condition de la femme dans la société du Bengale indivis.

Ces deux romans ont jeté beaucoup de lumière sur l’obscurité du monde domestique gouverné par les fidèles du patriarcat et nous ont montré comment la religion au nom de la tradition et de la culture dominait à l’intérieur des quatre murs. Et ces deux romans ont également prouvé que non seulement les hommes étaient les cultivateurs du patriarcat mais qu’il y avait des vieilles femmes qui essayaient d’établir la tradition patriarcale plus qu’un homme. Mais il y a toujours une lueur d’espoir scintillante peut-être sous la forme d’une petite luciole au bout de chaque tunnel. Ici c’est l’éducation qui donne aux femmes le courage de suivre le chemin inexploré. À travers ces romans, Bâ et Devi décrivent que pour réussir dans la vie, les femmes doivent s’identifier, avoir confiance en leurs propres capacités et surmonter les multiples défis de la vie grâce à la bénédiction de l’éducation et c’est l’éducation qui a aidé ces protagonistes à briser le silence prolongé du monde domestique car grâce à l’éducation Elles ont compris que le silence cache la violence. Alors que de plus en plus de femmes ordinaires de la classe moyenne quittent la maison pour étudier et travailler, elles sont également devenues les mères d’une génération d’hommes plus éclairés. Dans ces deux romans, les personnages des protagonistes me rappellent le poème de Maya Angelou[4], « Still I rise » (Je me lève encore)

« With your bitter, twisted lies,You may trod me in the very dirt / But still like dust, I’ll rise… / Out of the huts of history’s / shameI rise / Up from a past that’s rooted in pain /I rise…»

( Avec tes mensonges amers et tordus, tu peux me piétiner jusque dans la saleté / Mais toujours comme de la poussière, je me lèverai. / Hors des huttes de l’histoire / honte je me lève / D’un passé enraciné dans la douleur / Je me lève…)

Pour conclure, on peut bien dire que ces féministes modernes sont pour nous comme Prométhée[5] qui a apporté le feu pour éclairer ses prochaines générations. Et leurs protagonistes sont comme les phoenix[6] qui avaient sauté des cendres de la tristesse et haussé leurs voix et à travers leurs voix rebelles, elles ont révolutionné le printemps au milieu d’hiver.

Références

I) La source primaire

Bâ, M. (1979). So Long a Letter. Dakar, Senegal: Les Nouvelles Éditions Africaines du Sénégal.

Devi, A. (1971). First Promise. India: Mitra & Ghosh Publishers.

II) La source secondaire

Larrier, R. (2000). Francophone Women Writers of Africa and the Caribbean. Florida: University Press of Florida.

Devi, A. Satyabati Trilogy.

https://en.wikipedia.org/wiki/Prothom_Protishruti, accédé le 2 avril,2023

https://www.sociologygroup.com/ashapurna-devi/, accédé le 3 avril,2023

https://fr.wikipedia.org/wiki/Une_si_longue_lettre, accédé le 28 mars,2023

https://en.wikipedia.org/wiki/Escape_from_Taliban, accédé le 4 avril,2023

https://www.getbengal.com/details/ashapurna%20devi%20the%20voice%20of%2women, accédé le 1 avril,2023

https://feminisminindia.com/2019/03/11/ashapurna-devi-feminist-writer-bengali/, accédé le 2 avril,2023

http://www.amarboi.com/2013/08/kabuliwalar-bangali-bau-susmita-bandopadhay.html. accédé le 2 avril,2023

https://www.poetryfoundation.org/poems/46446/still-i-rise, accédé le 29 avril,2023

https://www.academia.edu/2976754/Womens_Relationships_Female_Friendship_in_Toni_Morrisons_Sula_and_Love_Mariama_Bas_So_Long_a_Letter, accédé le 29 avril,2023

https://readingundertheolivetree.com/2020/06/27/so-long-a-letter-so-long-a-history-mariama-ba-muslimness-and-womens-rights/,  accédé le 29 avril,2023


[1] Quatre mois et dix jours, le temps qu’une veuve est censée porter le deuil de son mari en Islam.

[2] Sushmita Banerjee, également connue sous le nom de Sushmita Bandhopadhyay et Sayeda Kamala, était écrivaine et militante indienne.

[3] Irène Assiba d’Almeida est une poétesse, traductrice et érudite littéraire béninoise. Elle est professeure d’études francophones et de français à l’Université d’Arizona.

[4] Maya Angelou était mémorialiste, poétesse et militante des droits civiques américaine.

[5] https://en.wikipedia.org/wiki/Prometheus, accédé le 28 avril,2023

[6] https://en.wikipedia.org/wiki/Phoenix_(mythology), accédé le 28 avril,2023

The Evolution of Tabla Playing: From Classical Traditions to Contemporary Adaptations in Indian Music

Dr. Soumen Chakraborty, Department of Music, Ramsaday College, Amta, Howrah, WB, India

Abstract:

In this paper, an attempt has been made to highlight all traditional music particularly emphasizing ‘Tabla’. Afterwards, the transformation of Indian Traditional Music towards modern music in different forms concerning the demand and suitability of the societies of various countries according to their respective culture has been illustrated lucidly in detail. Various examples have been stated accordingly. 

Finally, the opportunity of traditional and modern music has been cited in this paper.

Introduction:

‘Tabla’ is an important percussion instrument in Indian Music. With the progress of human civilization, gradually the application of its rhythm beats in different forms has come into existence. The Tabla is known as an accompanying instrument. It plays an essential role with the vocalist, instrumental player and the dancers. A good Tabla accompaniment enhances the beauty of musical presentation. The tabla is considered to be an important solo instrument as well.

The paper is presented in two parts. Part one deals with the traditional aspect of Tabla Playing and part two deals with the modern aspect of Tabla playing in different forms.

Traditions of Tabla:

The origin of Tabla and its use has several conflicting theories. A lot of authors have very nicely described their opinions on ‘Tabla’ through different books. Some authors have stated that Tabla may be the transformed form of an ancient percussion instrument, ‘Sambal’. Some writers have given their opinion that the tabla’ is the modern form of the ‘Dardur’ (an ancient traditional instrument). Some writer says that the Tabla has originated from an Arabic instrument called “Tabol”. Most writers assert that the Tabla was discovered by Amir Khusro during the region of Allauddin Khilji in the 13th century. It was produced by dividing Mridang or Pakhawaz (an ancient percussion instrument) into two parts and later popularised by Ustad Sidhar Khan, founder of Delhi gharana.

Gharana is very important part for music world. Gharana is very necessary to describe about the tradition of Tabla. Based on different gharanas, different type of compositions of tabla have been generated by the founding artist, his descendants and disciples. In tabla playing, six principal gharanas are recognized. These are known by the following names: Delhi gharana, Lucknow gharana, Farukhabad gharana, Banaras gharana, Ajrada gharana and Punjab gharana. The following gharana information have been compiled and presented below.

Delhi Gharana:

Ustad Sidhar Khan was the founder of Delhi Gharana. Other gharanas evolved from this gharana. Dr. Prasanta Kumar Bandyopadhyay has presented his opinion on Delhi Gharana through his book, ‘‘Tablar Sahaj Path (2nd Part)’’ in the very clear way [1]. He has described that in this gharana, the 1st and 2nd finger is generally used. In this gharana, Peshkar, Keyada, Rela, Tukra etc. are very important. Compositions like Teteye, Tereketeye, Ghenateteye etc. are mostly used in this gharana.  

Lucknow Gharana:

Lucknow gharana has been generated from the Delhi gharana. Ustad Moudu Khan and Ustad Baksu Khan were the founder of the gharana. Dr Dilip Ranjan Barthakur has commented on his opinion in his book, ‘Sangeet Bigyane Tabla’’ in a lucid manner [2]. He has mentioned that based on the style of dance composition and some compositions of Pakhawaj, the gharana has been formed. In this gharana, all fingers are generally used. Rela, Tukra, Paran, Gat etc. are very important. Compositions like Dhagiteteye, Kredheteteye, Ghentaran, Kran etc. are mostly used in this gharana. 

Farukhabad Gharana:

Ustad Vilayat Ali Khan was the founder of Farukhabad gharana. Dr. Dilip Ranjan Barthakur has described his opinion in his book, ‘Sangeet Bigyane Tabla’’ in the clear way [3]. He has mentioned that in this gharana, Keyda, Rela, Gat, Paran etc. are very important. Compositions like Dhirdhir, Gherenago, Kerenako, Ghran, Kran etc. are mostly used in this gharana. 

Banaras Gharana:

Banaras gharana evolved from the Lucknow gharana. Pandit Ram Sahay Mishra was the founder of this gharana. Dr Dilip Ranjan Barthakur has described his opinion in his book, ‘Sangeet Bigyane Tabla’’ in clear way [4]. He has mentioned that in this gharana, Uthan, Gat, Paran, Chakradar, Tukra etc. are very important. Compositions like Dhumakita, Takita, Kran, Ghran etc. are mostly used in this gharana. 

Ajrada Gharana:

Ajrada gharana was developed from Delhi gharana and it was popularised by Kollu Khan and Meru Khan. In this gharana, the use of the left hand is very prominent. Dr Prasanta Kumar Bandyopadhyay has presented his opinion on Delhi Gharana through his book, ‘‘Tablar Sahaj Path (2nd Part)’’ in a very clear way [5]. He has described that in this gharana Gat-Keyda, Keyda-Peshkar etc. are very important. Compositions like Dha, Dhinak, Dhidhinak etc. are mostly used in this gharana. 

Punjab Gharana:

Most of the bols of this gharana have been developed from the bols of Pakhawaj. Dr. Dilip Ranjan Barthakur has described his opinion in his book, ‘Sangeet Bigyane Tabla’’ in clear way [6]. He has mentioned that Punjab gharana is famous for Rela, Gat, Chakradar, Paran etc. Ustad Fakir Baksha is the developer of this gharana. In this gharana, compositions like Dhata, Tereketeye, Dhar, Nar etc. are very important.

Traditional aspect and modern aspects of Tabla playing in different forms:  

Traditional aspects:

  1. https://youtu.be/StWrVL6SHL4  
  2. https://youtu.be/lk60ObnbIOk
  3. https://youtu.be/wf79YpugtQY   
  4. https://youtu.be/ZF32UPLzHe4
  5. https://youtu.be/ZtRPB8xHP8M

The outcome of Presentations:

  1. It had been performed by Ustad Ahmedjan Thirakwa as Tabla Solo in Teentaal on1936 and from this solo performance the composition like “Ghena Dhagina Dhatereketeye Dhagina Dhatereketeye Dhagina” had been expressed clearly in the traditional way.
  2. It had been performed by Ustad Allara Khan as Tabla Accompaniment on 1967 at Monterey Pop in Drut Teentaal including Sawal Jabab with Pandit Ravi Shankar and from this performance, the traditional accompaniment was presented nicely.
  3. It was performed by Ustad Latif Ahmed Khan as a Tabla Solo in 1975 in Mehfili in Delhi based on Teentaal and from this solo performance compositions like “Dhate Dhagi Nadha Tereketeye Dhate Dhago, Dha Teteye Dha Teteye Dha Dha etc. had been expressed clearly through the presentation in traditional way.
  4. It was performed very smoothly by Pandit Swapan Chowdhury as Tabla Solo in 2005 at Sangeet Piyasi, Calcutta in Teentaal and from this solo performance compositions like “Tak Dhene Tak Tak Dhene Tak Dhene Tak” had been expressed clearly in the traditional way.   
  5. It was performed very nicely by Ustad Zakir Hussain as Tabla Solo in 2011 at Ramakrishna Mission, Kolkata in Teentaal and from this solo performance, many traditional compositions like “Dhateteye Dhateteye Dhadha Teteye, Dhatedhagi Nadha Tereketeye, Dhatereke Dheteteye Ghetreke Dheteteye, Tak Dhene Tak Tak Dhene Tak” etc. had been expressed clearly in traditional way.  

Modern aspects:

  1. https://youtu.be/DXRsl4dDxcA
  2. https://youtu.be/YN6pJiJ6uJw
  3. https://youtu.be/lLU3921W_J8
  4. https://youtu.be/KeDkXEqbDXM
  5. https://youtu.be/cieTFikl658

The outcome of Presentations:

  1. It had been performed very nicely by Pandit Samta Prasad in the film ‘Basant Bahar’ as Background Music and from this performance, the background atmosphere had been expressed based on different compositions of his tabla playing.  
  2. It was performed by Ustad Zakir Hussain in different way in 2014 at Schlossfestspielen Ludwigsburg with different patterns of vocal styles including different Western instruments and from this performance, the new pattern of Tabla playing was expressed clearly in a modern way.  
  3. It had been performed by Bikram Ghosh as an improvised performance on Tabla and Drums in the INK conference on 2015 and from this performance the different patterns of vocal form on composition (bolbani), Tabla playing and sawaljabab also had been expressed clearly in modern way.  
  4. It was presented very clearly by Ustad Zakir Hussain with Taufiq Qureshi as a Duet Performance on Tabla and Djembein Bangalore on 2016 and from this performance compositions like “Dha Tereketeyetako tere-keteye Dha Tereketeyetako tereketey Dhinaghene” had been expressed nicely through the Indian and western instruments, Tabla and Djembe.  
  5. It was performed by Satyajit Talwalkar as Fusion Music (amazing Jamming) in a completely different improvised way with Niladri Kumar on Tabla, Zitar, Drums, specially, Beat Boxing at Palava Tarang on 2016 and from this performance, the different pattern of an amazing performance of Tabla playing had been expressed clearly in a modern way.  

Conclusion:

Initially, Indian traditional music particularly focusing on Tabla by presenting different compositions have been highlighted. Finally, Tabla Playing performances in the modern form have been shown by renowned Tabla Players.

     References:

  1. Dr. Prasanta Kumar Bandyopadhya, Tablar Sahaj Path (2nd part), Supriti Bandapadhya, Kolkata, Page: 167 & 170.
  2. Dr. Dilip Ranjan Barthakur, Sangeet Bigyane Tabla, Sri Rajendra Mohon Sharma & Dr. Rabindra Mohon sharma, Guwahati, Assam, page: 79-80.
  3. Dr. Dilip Ranjan Barthakur, Sangeet Bigyane Tabla, Sri Rajendra Mohon Sharma & Dr. Rabindra Mohon sharma, Guwahati, Assam, page: 81-83.
  4. Dr. Dilip Ranjan Barthakur, Sangeet Bigyane Tabla, Sri Rajendra Mohon Sharma & Dr. Rabindra Mohon sharma, Guwahati, Assam, page: 84-87.
  5. Dr. Prasanta Kumar Bandyopadhya, Tablar Sahaj Path (2nd part), Supriti Bandapadhya, Kolkata, Page: 169-170.
  6. Dr. Dilip Ranjan Barthakur, Sangeet Bigyane Tabla, Sri Rajendra Mohon Sharma & Dr. Rabindra Mohon sharma, Guwahati, Assam, page: 88-89.

Email id: soum2008.2008@gmail.com, Mobile: 9903371423

 [dm1]

The Nomenclature of Protagonists in Detective Novels Is Not Free-A Specific Study of the Case of Byomkesh and Lupin

Ms. Suparna Nandy, Adamas University, Kolkata,

Abstract

The detective novel, or polar, is a literary genre in which the story is generally centred on a drama, intrigue, as well as on the progress of an investigation conducted by a private detective or a police officer. The research is methodical: it is a question of collecting as much evidence and clues as possible to solve the mystery. Despite a very short journey, this literary genre started to know its success from its childhood and over the days it has managed to occupy a unique place in the hearts of readers sometimes by meticulous observations, sometimes by intellectual analyses or sometimes by the logical rationalizations of the characters that distinguish this genre from all others. Here, in my research, I would like to exploit mainly the traits and characteristics of two fictional characters – Byomkesh Bakshi, by Saradindu Bandyopadhyay, the hero of the Bengali detective genre and Arsène Lupin by Maurice Leblanc, the gentleman-burglar of French literature. Both of them have been very successful with readers and have been highly appreciated since the time of their creations. This study is devoted to giving a brief sketch of the protagonists, at the same time we will try to demonstrate their actions and their journeys in the text comparatively and also the justification that the writers had when making their nomenclatures.

Keywords: Detective novel, nomenclature, fictional characters, Byomkesh, Lupin

La Nomenclature Des Protagonistes Du Roman Policier N’est Pas Gratuite-Une Etude Spécifique Au Cas De Byomkesh Et Lupin

Résumé 

Le roman policier, ou polar, est un genre littéraire dans lequel l’histoire est généralement centrée sur un drame, une intrigue, ainsi que sur le déroulement d’une enquête menée par un détective privé ou un policier. La recherche est méthodique : il est question de récolter un maximum de preuves et d’indices pour résoudre le mystère. En dépit d’un trajet très court, ce genre littéraire avait commencé à connaître son succès de son enfance et au passage des jours il a été réussi à occuper une place unique dans les cœurs des lecteurs parfois par les observations minutieuses, parfois par les analyses intellectuelles ou parfois par les rationalisations logiques des personnages qui distinguent ce genre de tous les autres. Ici, dans ma recherche, je voudrais exploiter principalement les traits et les caractéristiques de deux personnages fictifs – Byomkesh Bakshi, de Saradindu Bandyapadhyay, le héros du genre détective bengalie et Arsène Lupin de Maurice Leblanc, le gentleman-cambrioleur dela littérature française. Tous les deux, ont connu un grand succès auprès des lecteurs et ont été vivement appréciés depuis le temps de leurs créations. Cette étude est consacrée à donner une brève esquisse des protagonistes, à la fois on va essayer de démontrer leurs agissements et leurs parcours dans le texte d’une manière comparée et aussi la justification qu’avaient les écrivains lors de faire leurs nomenclatures.

Mots-clés : Roman policier, nomenclature, personnages fictifs, Byomkesh, Lupin

L’introduction de Byomkesh et sa biographie en bref

Le personnage de fiction le plus connu de Sharadindu Bandyopadhyay, Byomkesh Bakshi, est apparu pour la première fois en tant que personnage de « Satyanweshi » (L’Inquisiteur). L’histoire se déroule en 1932 au quartier de Chinabazar à Calcutta où un « détective privé »Byomkesh Bakshi, ayant la permission du commissaire de police, il commence à vivre dans une auberge de ce quartier sous le pseudonyme d’Atul Chandra Mitra pour enquêter des meurtres.

La plupart des histoires sont écrites du point de vue d’Ajit Kumar Banerjee, qui rencontre Byomkesh dans l’auberge de Chinabazar. Byomkesh demande plus tard à Ajit de vivre avec lui dans son triplex loué à Harrison Road en tant que son assistant. Leur servent Putiram habitait avec eux.

Au début des histoires, Byomkesh Bakshi est décrit comme “un homme de vingt-trois ou vingt-quatre ans qui avait l’air bien instruit.”Byomkesh est hindou et est apparu principalement à la chemise blanche (kurta) avec un dhoti, se couvre occasionnellement d’un châle. Il ne vit pas dans le luxe mais possède de nombreux livres. Il voyage fréquemment, ne possède pas d’arme à feu et ne se considère pas comme une personne importante. Il fume et boit habituellement du thé avec du lait. Il parle couramment le bengali, l’hindi et l’anglais. Byomkesh n’aime pas être appelé « détective » et pense que le mot « enquêteur » est encore pire. Ainsi, il se façonne un nouveau nom qu’il inscrit sur une plaque de laiton devant sa maison, indiquait “Byomkesh Bakshi : Satyanweshi” (L’Inquisiteur).

Contrairement à d’autres personnages principaux dans des histoires fictives policières contemporaines, Byomkesh Bakshi se marie, vieillit et envisage également des choses matérielles telles que l’achat d’une voiture. Plus tard, il décide également d’acheter un terrain à Keyatala dans le sud de Calcutta et déménage dans sa nouvelle maison. Byomkesh rencontre Satyabati, sa future épouse et la sœur de l’accusé Sukumar, à « Arthamanartham ». L’histoire “Adim Ripu” fournit quelques informations de son enfance. Son père Mahadev Bakshi était professeur de mathématiques dans une école et pratiquait la philosophie « Sankhya »chez lui tandis que sa mère était la fille d’un Vaishnavite (l’une des confessions hindous). A l’âge de dix-sept ans, le jeune Byomkesh perd ses parents à cause de tuberculose. Plus tard, Byomkesh a passé l’Université avec une bourse. Pendant la Seconde Guerre mondiale et après l’indépendance de l’Inde, Byomkesh, Satyabati et Ajit vivent dans le mess de Harrison Road. Les lecteurs trouventByomkesh vieillit progressivement à travers de la série et aura un fils appelé Khoka.

L’introduction de Lupin et sa biographie en bref

Arsène Lupin est un personnage de fiction créé par Maurice Leblanc, en 1905. Maurice Leblanc est un auteur normand né en 1864 à Rouen, qui se spécialise très rapidement dans le genre policier et invente de toutes pièces le personnage d’Arsène Lupin, gentleman cambrioleur.

La première apparition du personnage d’Arsène Lupin remonte à 1905, avec la publication de « L’arrestation d’Arsène Lupin ». L’œuvre remporte dès le début un vif succès populaire, et Maurice Leblanc est très vite sommé de donner une suite à ces aventures rocambolesques de ce héros hors du commun.

Arsène Raoul Lupin naît en 1874, dont la mère, Henriette d’Andrésy, avait épousé un professeur de gymnastique, Théophraste Lupin, et ce en dépit de l’opposition de sa famille. L’enfant est confié à une jeune nourrice normande, Victoire. Après s’être séparée de Théophraste en 1880, qui s’est révélé être un voleur, Henriette s’installe avec Arsène chez de riches cousins de sa famille, les Dreux-Soubise, pour lesquels elle travaille comme femme de chambre. Afin de venger les humiliations subies par sa mère, le jeune Arsène vole le collier de la reine Marie-Antoinette, jusque-là en possession des Dreux-Soubise [“Le Collier de la Reine” dans Arsène Lupin, gentleman-cambrioleur].

Arsène étudie la magie avec le prestigiateur Dickson et l’hypnotiseur Pickmann, sous le nom de scène de Rostat ; deux ans plus tard il étudiera également la dermatologie avec le docteur Altier, à l’hôpital Saint-Louis, sous l’identité d’un étudiant russe. Lors d’un séjour sur la Côte d’Azur durant l’été 1893, à Aspremont, il séduit une jeune femme, qui aura une fille de lui, Geneviève, l’année suivante.

Le personnage d’Arsène Lupin est déroutant. Il s’agit d’un homme au bon cœur, qui ne cesse de se déguiser, de se travestir, de commettre des exactions et de solutionner des problèmes d’apparence insoluble. Il est partout où on ne l’attend pas, jamais là où on le cherche, toujours à contre-courant, et il réapparaît sans cesse sous de multiples identités. Au début de sa carrière fictive, il est cambrioleur, puis il se spécialise peu à peu dans des missions de détective privé pour lesquelles il excelle.

Son caractère est multiple, souvent surprenant. Il est charmeur autant qu’il énerve, il est parfois très enfantin et souvent très sérieux. Souvent moqueur, il est un personnage mystérieux et insaisissable, ce qui crée tout le charme de Lupin et l’attachement de ses lecteurs. Il est sportif, court vite, parvient à s’échapper de toutes sortes de situations cocasses ou dangereuses. Il n’hésite pas à utiliser des pseudonymes durant ses aventures, créant des rebondissements toujours surprenants, puis il change une nouvelle fois de nom, d’identité, d’adresse, d’apparence, entraînant le lecteur dans une course effrénée. Son parcours est hors du commun, car il maîtrise à la fois le droit et les arts, la médecine et la comédie. C’est une sorte de couteau suisse talentueux, courageux, doté d’un culot improbable. Il tourne souvent ses victimes en dérision, leur demande des rendez-vous et les séduit avant de les cambrioler quelques jours plus tard de façon innocente. Facétieux et insaisissable, Lupin énerve autant qu’il séduit.

Au cours de ses aventures, Arsène Lupin croise de nombreux personnages. En 1904, il évolue ainsi aux côtés de Sherlock Holmes (qui sera finalement appelé Herlock Sholmès), qui déjouera plusieurs de ses intrigues.

Quelques mois plus tard, c’est aux côtés d’un autre personnage haut en couleur que Arsène Lupin officiera, Théodore Béchoux, jeune brigadier de police.

La comparaison de ces deux personnages fictifs

Malgré tous les deux—Byomkesh et Lupin sont dessinés avec beaucoup de soin et chacun d’eux sont pleins d’individualités très uniques, lors d’analyser ces deux personnages fictifs, dépeints dans le cadre différent socio-politique d’occidentale et d’orientale certaines similitudes et différences sont bien-indiquées. Au cours d’étudier les textes si on songe profondément de ces protagonistes d’une vue comparative on peut souligner les similitudes et les différences énumérées ci-dessous. D’abord on va jeter le coup d’œil aux similitudes de leurs traits.

Les similitudes :

  1. Comme le phénomène très commun des caractères fictifs des romans policiers le pseudonyme est mis en usage plus ou moins par tous les deux afin de cacher son identité originale durant les aventures. Par exemple, dans « Satyanweshi » Byomkesh s’était apparu sous le pseudonyme d’Atul Chandra Mitra. A l’autre côté, Lupin aimait prendre les pseudonymes et il en avait une pléthore, on peut le trouver presque toujours en déguisement et avec les différentes identités. Par exemple, on le voit au nom de « Rostat » quand il travailla comme apprenti du prestidigitateur Dickson ( Arsène Lupin, gentleman-cambrioleur).Ensuite, sous le pseudonyme de Guillaume Berlat, Lupin, condamné par contumace, prend le train pour Rouen. « Arsène Lupin, gentleman-cambrioleur » (Le Mystérieux Voyageur).
  • La mise en usage des mots code ou dessin par tous les deux écrivains dans les œuvres pour révéler d’abord le fait implicitement afin de laisser penser les lecteurs du mystère et dans tous les cas on apprend tout ce qui s’est passé en détail au dénouement de l’histoire. Par exemple dans « Pother Kanta » on apprend d’une publicité mystérieuse intitulé Pother Kanta dans le journal « Dainik Kalketu » chaque vendredi pendant les trois mois derniers où s’est écrit :

–Pother Kanta (1934), Saradindu Bandyopadhyay

  • Pareillement, dans « L’aiguille creuse » de Leblanc on trouve Isidore, le rival de Lupin de tourner et retourner le morceau de papier, couvert de chiffres, de points et de signes.Le dessin est donné ci-dessous :

–L’aiguille creuse (1909), Maurice Leblanc

  • L’observation minutieuse et l’intellect extrême sont les armes principales de tous les deux protagonistes. En plusieurs reprises on peut indiquer les raisonnements logiques de Byomkesh et Lupin, en déguisant, maitrisé de résoudre des problèmes d’apparence insoluble. Tous les cas ils laissent les lecteurs bouche-bée par leurs traitements uniques.

On peut souligner autant de différences que les similitudes entre ces deux personnages.  Maintenant, on va exploiter les différences remarquables :

  1. La carrière fictive de Lupin est principalement basée sur le déguisement qui se cache sous les pseudonymes pour réussir le but, contrairement, Byomkesh, àson tour, joue son rôle par l’observation, du raisonnement logique et de la science médico-légale.
  • Au commencement de la série (« L’arrestation d’Arène Lupin », « L’aiguille creuse »), Lupin s’est apparu comme le gentleman-cambrioleur c’est-à-dire celle du cambrioleur qui se distingue par une double vie : mondaine et respectable le jour, faite d’activités illicites la nuit. L’un des traits du gentleman cambrioleur est d’effectuer, paradoxalement, ses forfaits avec l’élégance et le raffinement propres à son rang social. En effet, ses bonnes manières impliquent qu’il ne fonde pas ses activités de cambrioleur sur la violence. Arsène Lupin, à qui le meurtre fait horreur, éprouve à cet égard, une violente répulsion à tuer mais plus tard il se transforme et joue son rôle en tant qu’un détective, tandis que Byomkesh aime toujours se présenter comme « Satyanweshi », pour lui, le mot « détective » est encore pire.
  • Le personnage de Byomkesh s’incarne un jeune homme courageux, intelligent d’une famille modeste bengalie qui se marie et devient le père de Khoka, en un mot il est une personne très familiale, représentation des hommes de la société bengalie du XIX siècle. Au contraire, Lupin, a principalement pour cadre la France de la Belle Époque et des Années folles. On le trouve partager la relation amoureuse avec beaucoup de femmes qui le rencontrent dans les plusieurs reprises dela vie mais en gardant toujours une âme respectueuse envers les femmes.

La justification de la nomenclature de ces protagonistes

Si on songe de l’aspect de la nomenclature de ces deux héros fictionnels, on peut indiquer les certains éléments dont les écrivains avaient considéré lors de leurs créations uniques. Ce chapitre est dédié pour jeter un coup d’œil à ces éléments importants.  

D’après la littérature bengalie le mot « BYOMKESH » veut dire le dieu du ciel, c’est le soleil. Donc, comme le nom indique, les caractéristiques du soleil ont été bien reflété dans la personnalité de Byomkesh.

Tout d’abord lors d’étudier les caractéristiques de Byomkesh les lectures peuvent bien indiquer que c’est un personnage très intelligent et à la fois énormément consciencieux quand il s’agit d’enquêter les événements mystérieux qui n’aimait pas de s’appeler comme détective plutôt il désirait d’être connu comme le chercheur de la vérité, en bengalie « Satyanweshi ». Il est célèbre pour son habileté d’observer, raisonnement logique et criminalistique qu’il applique lors de résoudre l’intrique mystérieux. Autrement dit, le principal dieu d’hindoue « Shiva » s’est appelé comme « BYOMKESH », en étudiant la caractéristique de Byomkesh on peut trouver les certaines similitudes avec le dieu Shiva et même la femme à qui il s’est marié s’appelle Satyabati, autrement s’appelle Parvati, la Déesse, l’épouse de Shiva selon l’hindouisme.

A l’autre côté,ARSÈNE LUPIN, comme le nom indique, LUPIN est dérivé de « loup », une sorte d’animal sauvage, dont le caractère principal est d’être agressive et violent. Les lecteurs trouvent Lupin de devenir sauvage à plusieurs reprises lors de cambrioler le collier de la reine de Louvre et la caractéristique unique de Lupin est de voler, il vole pour lui-même, mais aussi pour ceux qui ont le plus besoin et toujours et seulement aux riches.

Si on analyse la justification du prénom, ARSÈNE, dérivé apparemment d’arsenic dont l’élément empoisonné chimiquea une vraie ressemblance avec la férocité et la brutalitéde la personnalité de Lupin.

Conclusion 

Par une étude profonde et l’analyse intensive de ces deux personnages fictifs on peut conclure que malgré ils ont beaucoup de dissimilitudesdans leurs mœurs, soiten raison de leurs généalogies, leurs existences sociales, soit dans leurs manières de résoudre l’énigme, dans leurs agissements uniques,mais les traitements distincts dans tous les deux sont bien-soulignées. La personnalité de Byomkesh s’incarne un homme de qualitédu cadre social bengali du XXe siècle et qui s’est apparu au moment de la coalition de diviser le Bengale tandis que Lupin, une réflexion du période de la Belle Époque et Les Années follesde France. Le sens de l’individualité est vivement évoquéà la fois la nomenclature des protagonistes est assez justifiable considérant les aspects de leursapparences célèbres.

Références

“Alloprof.” Alloprof Aide Aux Devoirs, www.alloprof.qc.ca/fr/eleves/bv/francais/les-themes-f1056. Accessed 18 Aug. 2023. Récupéré le 10 juillet’2023

“Arsène Lupin – Résumé, Personnages Et Thèmes.” Pimido.com, www.pimido.com/blog/nos-astuces/arsene-lupin-resume-personnages-themes-24-11-2021.html.

“Arsène Lupin, Gentleman Burglar by Maurice Leblanc – Free Ebook.” Global Grey Ebooks,www.globalgreyebooks.com/extraordinary-adventures-of-arsene-lupin-gentleman-burglar-ebook.html.

Balan, Sridhar. “Book Review | Arsene Lupin Versus Sherlock Holmes.” The Asian Age, www.asianage.com/books/251221/book-review-arsene-lupin-versus-sherlock-holmes.html.

Bandyopadhyay, S. (2020). Byomkesh Samagra. Éditions Ananda, Kolkata,

Bussi, Michel. “« L’étrange Voyage ! ».” Géographie Et Cultures, no. 61, Mar. 2007, pp. 7–23. https://doi.org/10.4000/gc.2576.

F, Hopkins. “Maurice Leblanc, &Amp;Quot;Ars&Amp;Egrave;Ne Lupin, Gentleman Cambrioleur&Amp;Quot; :…” Pimido.com, 25 June 2010, www.pimido.com/philosophie-et-litterature/litterature/fiche-de-lecture/leblanc-arsene-lupin-resume-analyse-583235.html?utm_source=blog&utm_medium=internal.

Georges, S. (1987). L’Âge du roman, Print Book, French

Giansante, Gabriella. “Vêtement : Au Chic Parisien Arsène Lupin Et Son Entourage.” Ledizioni eBooks, 2015, pp. 265–73. https://doi.org/10.4000/books.ledizioni.6987.

Kshetra, G. (2021). Sharadindur Rahasyabhed, Patra Bharati, Kolkata

Leblanc, M. (1907). Arsène Lupin, Gentleman-Cambrioleur, Romans Policier & Mystère Édition, Paris

Leblanc, M. (1907). Les Dents du tigre – Romans Policier & Mystère, Paris

Leblanc, M. (1909). L’Aiguille Creuse, Romans Policier & Mystère Édition, Paris

L, Thibault. “Maurice Leblanc, &Quot;L’aiguille Creuse&Quot;” Pimido.com, 19 Mar. 2010, www.pimido.com/philosophie-et-litterature/litterature/fiche-de-lecture/leblanc-aiguille-creuse-resume-personnages-580936.html?utm_source=blog&utm_medium=internal.

Leterrier, Étienne. “Cagliostro (1743-1795) Inventeur D’Arsène Lupin.” [Cahiers D’études Romanes], no. 34, June 2017, pp. 85–99. https://doi.org/10.4000/etudesromanes.5377.

literature.org. www.literature.org/authors/leblanc-maurice/the-extraordinary-adventures-of-arsene-lupin-gentleman-burglar/chapter-01.html.

Prolongeau, Hubert. “« Arsène Lupin a Les Qualités Du Héros De Roman Populaire… Sans Être Monolithique ».” Le Monde.fr, 8 Apr. 2021, www.lemonde.fr/culture/article/2021/04/08/arsene-lupin-a-les-qualites-du-heros-de-roman-populaire-sans-etre-monolithique_6075973_3246.html.

The Project Gutenberg eBook of the Extraordinary Adventures of Arsène Lupin, Gentleman-burglar, by Maurice Leblanc. www.gutenberg.org/files/6133/6133-h/6133-h.htm.

Discovering French Culture Through Diplomatic Gifts

Sujatha Swamy, Centre for Global Languages, Bengaluru City University

Abstract

India and France are two countries that share strategic and friendly bilateral relations.  In 2023, when the Indian Prime Minister Narendra Modi visited France as the Guest of Honour for the National Day celebrations, French President Emmanuel Macron offered him some interesting diplomatic gifts:  a photograph entitled A Parisian offers flowers to a Sikh, a unique replica of the Charlemagne chessmen and a series of novels by Marcel Proust In Search of Lost Time.  Moreover, on July 13, 2023, Narendra Modi was awarded the Grand Cross of the Legion of Honour by Emmanuel Macron.

The gifts offered by Macron were a diplomatic tool for which the objective was to promote friendship between the two countries.  However, in the didactic context of learning about the language and culture of France, these gifts could be considered specifically as tools of cultural diplomacy. Our research proposes the discovery of French historical, literary and cultural aspects by the students of intermediate-level French through a study of diplomatic gifts.

Keywords:  diplomatic gifts, bilateral relations, Charlemagne, Legion of Honour, cultural diplomacy

LA DÉCOUVERTE DE LA CULTURE FRANÇAISE À TRAVERS DES CADEAUX DIPLOMATIQUES

Résumé

L’Inde et la France sont deux pays qui partagent des relations bilatérales stratégiques et amicales.  En 2023, lorsque le Premier Ministre indien Narendra Modi a visité la France comme invité d’honneur des cérémonies de la Fête Nationale, le Président français Emmanuel Macron lui a offert des cadeaux diplomatiques intéressants : une photographe intitulée Une Parisienne offre des fleurs à un sikh, une reproduction unique de l’Échiquier de Charlemagne et une série des romans À la recherche du temps perdu de Marcel Proust.  De plus, le 13 juillet 2023 Narendra Modi a été décerné la grand-croix de la Légion d’honneur par Emmanuel Macron. 

Les cadeaux offerts par Macron étaient un outil de la diplomatie dont l’objectif était de promouvoir l’amitié entre les deux pays.  Cependant, dans le contexte didactique de la langue et culture française, ces cadeaux peuvent être considérés uniquement comme des outils de la diplomatie culturelle.     Notre recherche propose la découverte des aspects historiques, littéraires et culturelles françaises par les apprenants de français au niveau intermédiaire à travers une étude des cadeaux diplomatiques. 

Mots clés :  cadeaux diplomatiques, relations bilatérales, Charlemagne, Légion d’honneur, diplomatie culturelle

Introduction

L’Inde et la France sont des partenaires stratégiques depuis 25 ans.  Afin de célébrer cette alliance forte, le Président de la République française Emmanuel Macron a invité le Premier ministre indien Narendra Modi comme invité d’honneur des cérémonies de la Fête Nationaledu 14 juillet 2023.Pendant sa visite, Macron a offert des cadeaux uniques à Modi.  Ces cadeaux font partie de l’étiquette diplomatiqueentre les deux pays.Au même temps, du point de vue didactique, des cadeaux diplomatiques peuvent être le sujet d’une étude intéressante.  Nous proposons la découverte des aspects historiques, littéraires et culturelles françaises dans la classe de français au niveau intermédiaire à travers une étude des cadeaux diplomatiques.

Méthodologie 

Nous avons lu des articles de journal en ligne pour ramasser des informations sur les cadeaux diplomatiques offerts par Emmanuel Macron à Narendra Modià l’occasion de la Fête Nationale française de 2023 et ceux offerts par Narendra Modi à Emmanuel Macron en 2024 à l’occasion du 75eJour de la République en Inde.Les articles érudits ont fourni des précisions à propos de l’échange des cadeaux diplomatiques par les anciens chefs d’Étatindiens et français.Nous avons aussi consulté plusieurs sites web pour comprendre le concept de la diplomatie de cadeau et pour déduire la signifiance de ces cadeaux dans le contexte de la diplomatie culturelle.

La Diplomatie de cadeau 

La diplomatie de cadeauest une pratique dans les relations internationales où les cadeaux sont offerts avec l’objectif de maintenir ou de renforcer des relations.  Les cadeaux jouent un rôle important, donnant une dimension matérielle à la diplomatie.  Les objets choisis sont souvent de grande valeur comme des articles en or ou en argent avec des bijoux précieux.Les cadeaux diplomatiques apportent une valeur symbolique aussi.  Par exemple, pendant la visite de Macron en Inde comme invité d’honneur à l’occasion du 75eJour de la République en Inde, Modi lui a offert une réplique unique d’un sitar en bois du santal.  C’était un instrument musical indien.  Il avait des gravures de la déesse Saraswati (représentant la connaissance et la musique) et du dieu Ganesha (représentant celui qui enlevait des obstacles).  Le sitar avaitaussi des motifs comme le paon (l’oiseau national de l’Inde) et des autres motifs de la culture indienne.  Ce cadeau a mis en valeur le patrimoine artisanal de l’Inde.  Il a également servi de symbole d’un échange des cultures et de l’amitié entre l’Inde et la France.

     La diplomatie de cadeau n’est pas un concept moderne.  Au XVIIIe siècle,Tipu Sultan de Mysore en Inde avait offert des cadeaux au roi de la France Louis XVI pour ouvrir la possibilité d’un commercefructueux.Il lui avait envoyé des robes en mousseline de cotondiverses et des bijoux en diamants et perles.  Malheureusement, la monarchie faisait face à des problèmes internes comme des soulèvements de la Révolution française et l’Affaire du collier de la reine Marie-Antoinette et Louis XVI a choisi de ne pas forger ce lien.

Les cadeaux offerts par le Président de la France Emmanuel Macron au Premier Ministre de l’Inde Narendra Modi 

La France et l’Inde ont des relations bilatérales stratégiques et amicales.  Le lien d’amitié et de confiance entre les deux pays est vu dans leur coopération économique, culturelle, scientifique et technique, en matière de protection de l’environnement et en matière de santé.

Le 14 juillet 2023, le Président de la France Emmanuel Macron a offert des cadeaux au Premier Ministre de l’Inde Narendra Modi afin de célébrer les 25 ans du partenariat stratégique entre la France et l’Inde.  Les cadeaux sont décrits ci-dessous :

1.  Une photographe intitulée Une Parisienne offre des fleurs à un sikh 

C’est un fac-similé encadré d’une photographe prise le 14 juillet 1916.  La photographe était prise par un photoreporter de l’agence de presse Meurissesur les Champs-Élysées pendant un défilé militaire en l’honneur des troupes alliées de la Première Guerre Mondiale.Elle montre une personne quioffraitdes fleurs à un soldat sikh commissionné du corps expéditionnaire indien et déployé en France. Lorsque cette photo était prise, la Bataille de la Somme se déroulait, dans laquelle les soldats indiens se battaient.

La photographe originale est conservée à la Bibliothèque nationale de France.  Elle rend hommage aux soldats indiens qui avaient combattu aux côtés des Français pendant la guerre.De plus, elle suscite la notion du combat commun et ancien des deux pays.Nous pouvons dire que ce cadeau est un symbole de leur coopération étroite et de la défense des valeurs universelles.

2.  Une reproduction unique de l’Échiquier de Charlemagne 

Macron a offert une reproduction unique de l’Échiquier dit « de Charlemagne ».Charlemagne était le roi des Francs et l’Empereur Romain de l’époque médiéval.  Cependant, il n’a jamais joué aux échecs.

C’est intéressant de remarquer quel jeu de Chaturanga de l’Inde au 7e siècle était à l’origine dejeu d’échecs européen et chinois.  Une légende raconte que les pièces de jeu d’échecs étaient offertes par le calife arabe Harun al-Rashid, à Charlemagne.  Ainsi, le nom l’Échiquier de Charlemagne a été adopté.

En réalité, les pièces de jeu d’échecs étaient fabriquées peut-être au 11e siècleau sud de l’Italie.  Au 13e siècle, elles faisaient partie du trésor de la basilique Saint-Denis.  En 1598, il y avait 30 pièces de jeu gravées dans l’ivoire, mais en 1794 il restait 16 en raison de la crise de la Révolution.  Quatre des pièces étaient en forme d’éléphant indiquant qu’elles étaient originaires de l’Indedu IXe ou Xe siècle.Aujourd’hui, les pièces d’échecs sont conservées au Cabinet des Médailles, Bibliothèque nationale de Paris.

La reproduction offerte à Modi était une impression 3D des 16 pièces d’échecs réalisée par la start-up française Cosmyx 3D.Ce cadeau diplomatique est unique parce que la pièce de l’éléphant rappelle les origines indiennes du jeu d’échecs.  Il représente aussi des échanges commerciauxentre l’Inde et la France à travers des siècles.  De plus, le cadeau met en valeur le savoir-faire, l’innovation et les nouvelles technologies des entreprises françaises, un champ de coopération stratégique mutuelle.

3.Une série des romans À la recherche du temps perdu de Marcel Proust 

Macron a remis à Modi le volume IV de l’éditionÀ la recherche du temps perdu de Marcel Proust qui fait partie de la Bibliothèque de la Pleiade, une collection des œuvres littéraires françaises excellentes.  À la recherche du temps perduest un chef d’œuvre littéraire du 20e siècledans lequel l’écrivain fait une réflexion sur la mémoire et sur le temps.  Le volume IV comporte les deux derniers tomes intitulés Albertine disparue et Le temps retrouvé, quelques brouillons et esquisses de Proust et de nombreux commentaires académiques. 

Puisque Modi n’est pas francophone, l’ouvrage est accompagné d’une édition anglophone.  La traduction en anglais était faite par C K Scott Moncrieff, écrivain contemporain de Proust, et revisée par Terence Kilmartin plus tard.  Cette dernière version est considérée la meilleure traduction des œuvres de Proust.

4.  En outre d’offrir des cadeaux diplomatiques, le Président de la France Emmanuel Macron a décerné au Premier ministre de l’Inde Narendra Modi la grand-croix de la Légion d’honneur.

Le soir du 13 juillet 2023, le Premier ministre de l’Inde Narendra Modi était décerné la grand-croix de la Légion d’honneurpar le Président de la France, Emmanuel Macron. Lors de la cérémonie, Modi a reçu un ruban rouge auquel était attachée une croix et il a reçu également une plaque en vermeil sur le côté gauche de la poitrine.

Selon la présidence française, « Cette décoration vient saluer le rôle du Premier ministre dans l’excellente relation d’amitié et de confiance qui unit la France et l’Inde. »(‘‘Narendra Modi reçoit’’, 2023).

Le Premier ministre Modi a réagi sur Twitter : « C’est avec beaucoup d’humilité que j’accepte la grand-croix de la Légion d’honneur.  Je remercie le président Emmanuel Macron, le gouvernement et le peuple français pour ce geste.  Cela montre leur profonde affection pour l’Inde et leur détermination à promouvoir l’amitié avec notre nation. »(‘‘Narendra Modi reçoit’’, 2023).

     Cette décoration était créée en 1805 par Napoléon 1erqui voulait honorer les citoyens selonle mérite. Aujourd’hui la grand-croix de la Légion d’honneur est la plus haute décoration honorifique française.  C’est aussi la plus rare.  Narendra Modi a été attribué le grade à titre diplomatique.  On peut dire que Macron voulait honorerModi pour avoir forgé une coopération solidaire exceptionnelle avec les Français.

Le Contexte Didactique

Les cadeaux offerts par Macron à Modi étaient un outil de la diplomatie.  Dans un contexte politique, le but était de promouvoir l’amitié et la coopération stratégique dans plusieurs domaines entre les deux pays. Cependant, dans un contexte didactique, nous pouvons considérer ces cadeaux comme un outil de la diplomatie culturelle qui peuvent être exploités dans la classe de français.

Les apprenants de niveau intermédiaire ont un niveau de langue assez avancé, cequi leur permet de faire des découvertes langagières et culturelles. 

Nous proposons une technique intéressantequi encourage l’apprenantà participer et à découvrir la culture française.  D’abord, l’enseignantidentifie des aspects historiques, littéraires et culturels qui sont associés à chaque cadeau diplomatique.  Nous avons choisi quelques aspects mentionnés dans la description des cadeaux diplomatiques déjà abordés :

1.  Une photographe intitulée Une Parisienne offre des fleurs à un sikh 

  • Aspects historiques : la Fête Nationale française, la Première Guerre Mondiale, la Bataille de la Somme
  • Aspects culturels : les valeurs universelles (valeurs morales et éthiques), les Champs-Élysées, offrir des fleurs

2.  Une reproduction unique de l’Échiquier de Charlemagne 

  • Aspects historiques : Charlemagne, les Francs, l’Empire Romain, l’époque médiéval, le trésor de la basilique Saint-Denis du 13e siècle, les champs de coopération mutuelle entre la France et l’Inde depuis les siècles passés
  • Aspects littéraires : les légendes françaises
  • Aspects culturels : le jeu d’échecs

3.  Une série des romans À la recherche du temps perdu de Marcel Proust :

  • Aspects littéraires : À la recherche du temps perdu (spécifiquement Un univers dans une tasse de thé) de Marcel Proust, la traduction
  • Aspects culturels : la madeleine

4.  La grand-croix de la Légion d’honneur :

  • Aspects historiques : Napoléon I et la Légion d’honneur

Après avoir choisi les aspects, l’enseignanteffectueune recherche à l’avance, surtout sur les aspects littéraires.Il expliqueles aspects littéraires d’une façon intéressante aux apprenants.  Il donnede petits projets de rechercheconcernant des aspects historiques et culturels aux groupes d’apprenants ou aux paires.  Lecours prochain, les apprenants présentent leurs projets.  Ainsi les apprenants sont motivés à découvrir petit à petit plusieurs aspects de la culture française et ils comprennent mieux à propos du cadeau qui sert à l’instrument de la diplomatie culturelle.

Conclusion 

Des cadeaux diplomatiquesont été offerts par le Président de la France Emmanuel Macron au Premier ministre de l’Inde Narendra Modi à l’occasion de la Fête Nationale le 14 juillet 2023.  Les cadeaux diplomatiques signifient une relation amicale et forte entre les deux pays la France et l’Inde.  Au-delà du contexte politique, ces cadeaux font partie d’une diplomatie culturelle.

La diplomatie culturelle peut être utilisée dans le champdidactique.  Une étude des cadeaux fournitaux apprenants de français au niveau intermédiaire une opportunité de découvrir les aspects divers de la culture française d’une façon innovante.

Références

Arora, S. (2024). What did PM Modi gift to French President Macron and other France     leaders? Adda247. https://currentaffairs.adda247.com/what-did-pm-modi-gift-to-          french-president-macron-and-other-france-leaders/

Barcelonne, P. (2023, July 14). 14-Juillet : ces cadeaux diplomatiques offerts à Narendra

Modi par la France. France infohttps://www.francetvinfo.fr/france/14-juillet/info-  franceinfo-14-juillet-ces-cadeaux-protocolaires-qu-emmanuel-macron-a-offert-a-narendra-modi_5949821.html

French President Macron gifts Modi Proust’s novels, replica of Charlemagne. (2023, July 14).

            The Telegraph. https://www.telegraphindia.com/amp/world/french-president-      macrongifts-modi-prousts-novels-replica-of-charlemagne-chessmen/cid/1952084

Martin, M. (2014). Tipu Sultan’s Ambassadors at Saint-Cloud: Indomania and Anglophobia in

             Pre-Revolutionary Paris. JSTOR.https://www.jstor.org/stable/10.1086/677868

Ministère de l’Europe et des Affaires Etrangères. (n.d.). Relations bilatérales.

https://www.diplomatie.gouv.fr/fr/dossiers-pays/inde/relations-bilaterales/

Narendra Modi reçoit la grand’croix de la Légion d’honneur : quelle est cette distinction ?

            (2023, July 14).Ouest-France. https://www.ouest-france.fr/politique/institutions/legion-            dhonneur/narendra-modi-recoit-la-grandcroix-de-la-legion-dhonneur-quelle-est-cette-        distinction-be13c0fc-221d-11ee-993a-21e63e51577a

Cultural Diplomacy Between India and France Through the Films and Visual Arts of Satyajit Ray

Suchandra Ghosh (Basu), Amity University Maharashtra, Prajesh Kumar Basu, Amity University Maharashtra

Abstract

 Diplomacy between France and India, particularly with regard to cinema and the arts, could include collaboration in the promotion and dissemination of the works of Satyajit Ray. Ray was one of India’s most acclaimed directors, recognized for his humanism, realism and artistic depth. He was particularly interested in French New Wave directors, such as François Truffaut and Jean-Luc Godard.

His works have been widely shown at French film festivals, and he received the prestigious International Critics’ Prize at the Cannes Film Festival for his film “Pather Panchali” in 1956. Ray’s aesthetic and visual style have influenced many French artists, particularly in the fields of cinema, painting and illustration. Satyajit Ray received an honorary Oscar in 1992 for his entire film work. This prestigious award was given to him for his exceptional contribution to cinema and for having enriched the world’s cinematographic heritage.

The objectives of this article are to provide an in-depth analysis of how the films and visual arts of Satyajit Ray have contributed to cultural diplomacy between France and India, as well as the broader implications of this collaboration artistic for international relations and intercultural understanding.

Keywords: Diplomacy, Visual Arts, Films, Culture, Collaboration

La Diplomatie Culturelle Entre L’Inde Et La France A Travers Les Films Et Les Arts Visuels De Satyajit Ray

Résumé

La diplomatie entre la France et l’Inde, notamment en ce qui concerne le cinéma et les arts, pourrait inclure une collaboration dans la promotion et la diffusion des œuvres de Satyajit Ray. Ray était l’un des réalisateurs les plus acclamés de l’Inde, reconnu pour son humanisme, son réalisme et sa profondeur artistique. Il était particulièrement intéressé par les réalisateurs français de la Nouvelle Vague, tels que François Truffaut et Jean-Luc Godard.

Ses œuvres ont été largement diffusées dans les festivals de cinéma français, et il a reçu le prestigieux Prix de la critique internationale au Festival de Cannes pour son film “Pather Panchali” en 1956.L’esthétique et le style visuel de Ray ont influencé de nombreux artistes français, notamment dans le domaine du cinéma, de la peinture et de l’illustration. Satyajit Ray a reçu un Oscar d’honneur en 1992, pour l’ensemble de son œuvre cinématographique. Cette récompense prestigieuse lui a été décernée pour sa contribution exceptionnelle au cinéma et pour avoir enrichi le patrimoine cinématographique Mondial.

Les objectifs de cet article est de fournir une analyse approfondie de la manière dont les films et les arts visuels de Satyajit Ray ont contribué à la diplomatie culturelle entre la France et l’Inde, ainsi que des implications plus larges de cette collaboration artistique pour les relations internationales et la compréhension interculturelle.

Mots clés: Diplomatie, Arts visuels, Films, Culture, Collaboration

Cultural Diplomacy between India and France through the films and visual arts of Satyajit Ray

Qu’est-ce que c’est la Diplomatie Culturelle?

La diplomatie culturelle est une forme de diplomatie qui se concentre sur la promotion de la culture d’un pays à l’étranger dans le but de renforcer les relations internationales, de favoriser la compréhension mutuelle et de promouvoir la coopération entre les nations.la diplomatie culturelle met l’accent sur la diffusion de la langue, des arts, de la littérature, de la musique, du cinéma, de la cuisine et d’autres aspects culturels d’un pays. Les gouvernements utilisent la diplomatie culturelle pour améliorer leur image à l’étranger, renforcer leurs liens avec d’autres pays, attirer des investissements étrangers, promouvoir le tourisme et faciliter les échanges académiques et culturels. Les institutions culturelles, telles que les instituts culturels nationaux, les alliances françaises, les instituts Goethe et les centres culturels britanniques, sont souvent chargées de mettre en œuvre des programmes de diplomatie culturelle au nom de leur gouvernement.la diplomatie culturelle vise à utiliser la culture comme un moyen de rapprochement entre les peuples et les nations, favorisant ainsi la coopération et la compréhension mutuelle à l’échelle internationale.

L’Introduction à Satyajit Ray et à son héritage artistique

Satyajit Ray était un cinéaste, scénariste, écrivain, compositeur et peintre indien, surtout connu pour ses contributions au cinéma bengali. Son héritage artistique est immense et a eu une influence durable sur le cinéma indien et mondial, ainsi que sur d’autres domaines artistiques.

Cinéma: Ray est surtout célèbre pour sa trilogie “Apu”, composée des films “Pather Panchali” (La Complainte du sentier), “Aparajito” (L’Invaincu) et “Apur Sansar” (Le Monde d’Apu), qui racontent l’histoire de la vie d’un jeune homme nommé Apu dans la campagne bengalie. Ces films ont reçu une reconnaissance internationale et ont établi Ray comme l’un des plus grands réalisateurs de l’histoire du cinéma.

Style: Ray était connu pour sa sensibilité artistique et sa capacité à capturer la vie quotidienne avec une profondeur émotionnelle. Son style cinématographique était souvent caractérisé par des plans séquences longs, un réalisme poétique et une attention minutieuse aux détails.

Littérature: En plus de sa carrière cinématographique, Ray était également un écrivain prolifique. Il a écrit de nombreux essais, articles et romans en bengali et en anglais. Ses écrits reflètent souvent ses observations sur la société, la culture et la politique.

Musique: Ray était également un musicien accompli et a composé la musique pour la plupart de ses films. Sa collaboration avec le célèbre joueur de sitar Ravi Shankar dans “Pather Panchali” est particulièrement remarquable.

Peinture: Avant de devenir cinéaste, Ray était un peintre talentueux. Son œuvre picturale reflète souvent son intérêt pour la vie quotidienne, la nature et les paysages.

Le Cinéste bengali Satyajit Ray est considéré l’un des héritiers de la “Renaissance du Bengale”. L’héritage artistique de Satyajit Ray réside dans sa capacité à transcender les frontières culturelles et à capturer l’essence de l’expérience humaine à travers une variété de formes artistiques. Son travail continue d’inspirer et d’influencer des générations d’artistes et de cinéastes à travers le monde.

L’Influence des films et des arts français sur Satyajit Ray

Satyajit Ray, le légendaire réalisateur indien, a été fortement influencé par le cinéma et les arts français. Son travail reflète cette influence à travers les divers aspects de sa mise en scène, de son style narratif et de ses choix esthétiques.

Ray était particulièrement intéressé par les réalisateurs français de la Nouvelle Vague, tels que François Truffaut et Jean-Luc Godard, dont les films ont révolutionné le langage cinématographique dans les années 1950 et 1960. Il admirait leur approche réaliste, leur utilisation innovante de la caméra et leur exploration des thèmes sociaux et psychologiques.

De plus, Ray était également un grand amateur de littérature française, notamment les œuvres de Balzac, Maupassant et Flaubert. Cette passion pour la littérature française a certainement nourri sa sensibilité artistique et son sens de la narration.

Dans ses propres films, Ray a souvent adopté des techniques cinématographiques françaises, telles que le réalisme poétique, caractérisé par une attention particulière portée à la vie quotidienne et aux détails visuels. Il a également été influencé par l’utilisation de la lumière naturelle et les compositions artistiques de la peinture française.

L’influence des films et des arts français sur Satyajit Ray se manifeste à travers son style cinématographique, ses choix esthétiques et sa vision artistique, contribuant ainsi à enrichir le paysage cinématographique indien et mondial.

La Filmographie de Satyajit Ray

La filmographie de Satyajit Ray offre plusieurs œuvres qui ont joué un rôle important dans l’échange de la diplomatie culturelle entre l’Inde et la France.

“Pather Panchali” (1955) : Ce film marque le début de la trilogie d’Apu et est largement considéré comme l’un des chefs-d’œuvre du cinéma indien. Son exploration sensible de la vie rurale bengalie a été saluée dans le monde entier, y compris en France, où il a été largement diffusé dans les cercles cinéphiles.

“Charulata” (1964) : Ce film, basé sur une nouvelle de Rabindranath Tagore, est une méditation subtile sur le mariage, l’indépendance féminine et les aspirations artistiques. Son esthétique raffinée et son exploration des tensions sociales et personnelles en ont fait un succès critique qui a trouvé un écho en France.

“La trilogie d’Apu” (1955-1959) : Composée de “Pather Panchali”, “Aparajito” et “Apur Sansar”, cette trilogie suit la vie d’Apu, de son enfance à sa vie d’adulte. Ces films ont capturé les nuances de la condition humaine et ont été largement diffusés dans les festivals de cinéma internationaux, y compris en France, contribuant ainsi à l’échange culturel entre les deux pays.

“Jalsaghar” (1958) : Ce film explore les thèmes de la décadence de la noblesse terrienne et de la passion pour la musique classique. Son esthétique somptueuse et son exploration des conflits sociaux et personnels en font un autre exemple de l’œuvre de Ray qui a été bien reçu en France.

“Agantuk” (1991) : Ce dernier film de Ray explore les thèmes de l’identité, de la vérité et de la perception. Bien que ce soit l’un de ses films moins connus, il a été présenté en France et a contribué à maintenir l’intérêt pour l’œuvre de Ray même à la fin de sa carrière.

Ces films de Satyajit Ray ont tous été des catalyseurs importants dans l’échange culturel entre l’Inde et la France, faisant découvrir au public français la richesse et la profondeur du cinéma indien et ouvrant la voie à des collaborations artistiques et culturelles plus larges entre les deux pays.

La Réception des films de Satyajit Ray en France

Satyajit Ray, l’un des plus grands cinéastes indiens, a joué un rôle important dans la diplomatie culturelle entre la France et l’Inde. Sa renommée internationale et son influence dans le monde du cinéma ont été des atouts essentiels dans le rapprochement culturel entre les deux pays.

Ray a été fortement influencé par le cinéma français, notamment par les œuvres de Jean Renoir et François Truffaut. Cette influence est visible dans son style de réalisation, caractérisé par un réalisme subtil et une profonde humanité.

En retour, la France a accueilli favorablement les films de Ray. Ses œuvres ont été largement diffusées dans les festivals de cinéma français, et il a reçu de nombreuses distinctions, notamment le prestigieux Prix de la critique internationale au Festival de Cannes pour son film “Pather Panchali” en 1956.

Cet échange culturel a contribué à renforcer les liens entre la France et l’Inde, non seulement dans le domaine du cinéma, mais aussi dans d’autres aspects de la culture. Ray a également été impliqué dans des collaborations artistiques et des échanges culturels entre les deux pays, ce qui a favorisé une compréhension mutuelle plus profonde.

La Promotion et la diffusion des films de Satyajit Ray en France

La promotion et la diffusion des films de Satyajit Ray en France ont été principalement assurées par des festivals de cinéma, des cinémathèques, des salles de cinéma spécialisées dans les films étrangers, ainsi que par des éditeurs vidéo et des diffuseurs télévisuels. Des festivals de cinéma internationaux et des rétrospectives ont souvent inclus des œuvres de Satyajit Ray dans leur programmation. Par exemple, le Festival de Cannes et le Festival de cinéma asiatique de Deauville ont régulièrement présenté des films de Ray. Les cinémathèques, les ciné-clubs et les salles de cinéma spécialisées dans les films étrangers ont programmé les films de Ray pour les cinéphiles français. Ces lieux offrent souvent une plateforme pour la diffusion de films classiques et d’œuvres d’auteurs renommés. Des événements culturels et des manifestations mettant en avant la culture indienne ont parfois inclus des projections de films de Satyajit Ray pour promouvoir la diversité culturelle et cinématographique.

L’Art Visuel de Satyajit Ray dans la diplomatie Culturelle

 L’art visuel de Satyajit Ray a certainement joué un rôle significatif dans la diplomatie culturelle entre l’Inde et la France. Les films de Ray ont été largement diffusés en France, notamment dans le cadre de festivals de cinéma, de rétrospectives et de projections spéciales. Cette diffusion a permis aux Français de découvrir la culture indienne à travers le prisme cinématographique de Ray, offrant ainsi un moyen puissant d’échange culturel entre les deux pays. Le travail de Ray a été largement apprécié en France pour sa profondeur artistique, son humanisme et sa sensibilité universelle. Les Français ont souvent salué Ray comme l’un des plus grands cinéastes de tous les temps, ce qui a contribué à renforcer les liens d’amitié et de compréhension mutuelle entre les deux nations. Les réalisateurs, artistes et cinéphiles français ont été inspirés et influencés par le travail de Ray. Les films de Ray ont contribué à promouvoir la culture indienne en France, en mettant en lumière des aspects de la vie quotidienne, de l’histoire et de la société indiennes. Cette représentation authentique et nuancée de l’Inde a contribué à élargir la compréhension et l’appréciation de la culture indienne par le public français. L’art visuel de Satyajit Ray a été un vecteur important de diplomatie culturelle entre l’Inde et la France, favorisant la compréhension mutuelle, l’appréciation artistique et le renforcement des liens entre les deux nations. Les œuvres visuelles de Satyajit Ray ont été exposées dans divers lieux à travers le monde, y compris en France. Ces expositions ont permis au public français de découvrir la diversité et la profondeur de son talent artistique au-delà de ses films. Ray a illustré de nombreux livres, notamment des ouvrages pour enfants, des romans et des recueils de contes. Ses illustrations distinctives et évocatrices ont attiré l’attention des éditeurs français et ont contribué à populariser son travail auprès du public francophone. L’esthétique et le style visuel de Ray ont influencé de nombreux artistes français, notamment dans le domaine du cinéma, de la peinture et de l’illustration. Son approche novatrice et son engagement envers l’expérimentation ont inspiré une nouvelle génération d’artistes en France et ont contribué à enrichir le paysage artistique français.

L’Oscar : Un Honneur prestigieuse pour l’Inde

Satyajit Ray a reçu un Oscar d’honneur en 1992, pour l’ensemble de son œuvre cinématographique. Cette récompense prestigieuse lui a été décernée pour sa contribution exceptionnelle au cinéma, en reconnaissance de son influence majeure sur l’art du cinéma et pour avoir enrichi le patrimoine cinématographique mondial.

Ray est surtout connu pour sa trilogie légendaire, “Apu”, qui comprend les films “Pather Panchali” (1955), “Aparajito” (1956) et “Apur Sansar” (1959). Ces films ont été salués pour leur réalisme poétique, leur profondeur émotionnelle et leur représentation authentique de la vie en Inde.

En plus de la trilogie “Apu”, Satyajit Ray a réalisé de nombreux autres films acclamés par la critique, explorant une gamme diversifiée de sujets et de styles. Son œuvre a été saluée pour sa sensibilité artistique, son humanisme et son engagement à capturer les nuances de la condition humaine.

L’Oscar d’honneur décerné à Satyajit Ray en 1992 a été un moment de fierté pour l’Inde et pour le monde du cinéma, reconnaissant ainsi son talent exceptionnel et son impact durable sur l’art cinématographique.

Conclusion

La contribution de Satyajit Ray à la diplomatie culturelle entre l’Inde et la France à travers ses films et ses arts est indéniablement significative. Son œuvre cinématographique et artistique a agi comme un pont entre ces deux cultures, favorisant la compréhension mutuelle, l’appréciation artistique et le renforcement des liens bilatéraux.

À travers ses films, Ray a offert au public français et international une fenêtre sur la réalité indienne, dépeignant avec authenticité et sensibilité les aspects de la vie quotidienne, de la culture et de la société indienne. Cette représentation nuancée a contribué à élargir les horizons culturels des spectateurs français, tout en suscitant un intérêt renouvelé pour l’Inde en tant que source de richesse artistique et culturelle.

De plus, l’art visuel de Ray, qu’il s’agisse de ses affiches de films, de ses illustrations ou de son design graphique, a également joué un rôle important dans la promotion de la culture indienne en France. Ses créations ont captivé l’imagination des spectateurs français, attirant leur attention sur l’esthétique et la diversité de l’art indien.

En fin de compte, l’héritage de Satyajit Ray en tant que cinéaste et artiste transcende les frontières nationales, illustrant le pouvoir universel de l’art pour faciliter le dialogue interculturel et renforcer les liens entre les nations. Son œuvre continue d’inspirer et de rapprocher les peuples, témoignant de l’importance de la diplomatie culturelle dans la construction d’un monde plus inclusif et harmonieux. Satyajit Ray a été un véritable ambassadeur culturel entre la France et l’Inde, contribuant à enrichir le dialogue interculturel et à promouvoir une meilleure appréciation des arts et de la culture des deux nations.

Références

https://www.eoibrazzaville.gov.in/docs/1625048765India%20Perspective.pdf

bac_session2017.pdf (ac-versailles.fr)

L’humanisme et l’espoir : l’héritage du réalisateur Satyajit Ray | Nations Unies

Rétrospective Satyajit Ray – La Cinémathèque française (cinematheque.fr)

Charulata et le cinéma de Satyajit Ray | Ciclic

Du Brésil à l’Atlantique – La diplomatie culturelle, spécificité française – Presses universitaires de Rennes (openedition.org)

Satyajit Ray ou la mémoire perdue de la Renaissance bengalie (radiofrance.fr)

Satyajit Ray, cinéaste du Bengale et du monde : une sélection des meilleurs podcasts à écouter | Radio France

The Representation of Indian Cultures in Selected Works Written by Foreign Authors

Subrata Pal, Department of Foreign Languages, Amity University,  Kolkata, India,

Abstract

India is a country where we find variety and diversity of cultures. Each state is well characterized by their cultures. All cultures are alive, and they attract many people. Not only Indians but also there are several foreigners who are well attracted and influenced by Indian cultures. These varieties of cultures place India first in the entire world. This is a reason why foreign authors and writers are passionate about composing their works in India especially to show the rich culture. My research is based on four works that reflect Indian culture well. The works are above: – “The Land of the Buddha” by Jean Luc Toula Breysse, “A Shocked Missionary” by Jean Antoine Dubois, “A New Babel” by Abharam Anquetil Duperron and “Par la Virtue des Plantes” by Pierre Sonnerat . These works show us how Buddhism gives us an idea of reincarnation and how we can achieve the goal, Nirvana. How the funeral of high caste brahmin take place. Linguistic diversity plays an important role in India. The importance of Ayurvedic medicine in the lives of men are the subjects of this research. But in the end, we know that India is well known for Unity in Diversity.

La Représentation Des Cultures Indiennes Dans Les Œuvres Choisies Ecrites Par Les Auteurs Etrangers

Résumé

L’Inde est un pays où on trouve la variété et la diversité des cultures. Chaque état est bien caractérisé par leurs cultures. Toutes les cultures sont vivantes et elles attirent plusieurs hommes. Non seulement les Indiens mais aussi il y en a plusieurs étrangers qui ont bien attirés et aussi influencés par les cultures indiennes. Ces variétés des cultures se placent Inde au premier rang dans le monde entier. C’est une raison que les auteurs et les écrivains étrangers se passionnent de composer leurs œuvres sur Inde surtout de montrer la riche culture. Ma recherche est basé sur quatre œuvres qui reflètent bien la culture indienne. Les œuvres sont ci-dessus :-« Le Pays du Buddha » par Jean Luc Toula Breysse, « Un Missionnaire Choqué » par Jean Antoine Dubois, « Une Nouvelle Babel » par Abharam Anquetil Duperron et « Par la Vertu des Plantes » par Pierre Sonnerat. Ces œuvres nous montrent comment le bouddhisme nous donnent une idée de réincarnation et commet on pourra avoir le but ultime, Nirvana. Comment se passent les rites funéraires de brahmine de haute caste. La diversité linguistique joue un rôle important en Inde. L’importance de médicine ayurvédique dans la vie des hommes sont les sujets de cette recherche. Mais à la fin on sait bien que Inde est bien connue pour L’unité en diversité.

Mots Clés : la réincarnation, le Nirvana, rites funéraires, variation linguistique, ayurvéda.

Quand on entend le mot « L’Inde » il y en a plusieurs choses qui arrivent dans notre esprit. Soit on est Indien soit on est étranger, tout le monde tremble avec joie quand on écoute « L’Inde ». Ce pays a une puissance inévitable d’attirer tout le monde vers elle. Pour créer cette attraction ce pays utilise beaucoup d’éléments. Parmi eux il y en a un aspect qui attire presque tous du monde entier c’est sa culture. La culture indienne est vraiment riche et variée. Chaque état possède sa propre culture qui est différente des autres. Quelques fois la même fête est appelée en noms divers dans les états différents.Cette diversité inspire non seulement les écrivains indiens mais aussi les écrivains étrangers. L’objectif de cette étude est de montrer comment les écrivains étrangers ont influencé par les cultures indiennes et quels types d’œuvre ils ont composé de montrer cette diversité. J’ai choisi quatre œuvres pour ma recherche sur ce sujet. Ce sont :-« Le Pays du Buddha » par Jean Luc Toula Breysse, « Un Missionnaire Choqué » par Jean Antoine Dubois, « Une Nouvelle Babel » par Abharam Anquetil Duperron et « Par la Vertu des Plantes » par Pierre Sonnerat.

Dans « Le Pays du Buddha » par Jean Luc Toula Breysse on trouve il y a le karma et aussi la notion d’réincarnation. Force motrice de l’existence le karma selon le canon bouddhique régit les manifestations du monde entier. Karma en sanskrit signifie « action ». Nul ne peut éviter les conséquences de ses actes. Les actions accomplies conditionnent le futur. Nous ne sommes pas ce que nous avons fait. L’avenir est derrière nous. Le karma repose sur le principe que toute cause produit en effet. L’acte volontaire positif ou négatif que ce soit une parole, une pensée, une émotion ou une action physique engendre un résultat. Il ne s’agit pour les bouddhistes ni de récompenses ni de punitions, mais plutôt d’une loi naturelle à la valeur pragmatique, indépendante du divin et du destin d’une rétribution inexorable qui entraine l’homme de vie en vie dans la ronde des existence successives appelée le samsara. Ce cycle de renaissances présuppose la croyance en la transmigration. Il n’est pas une question d’un voyage de l’âme d’un corps à un autre comme l’entendait Pythagore, ou de l’atman principe cher aux religieux hindous d’un moi éternel de l’homme. Dans la conception bouddhique l’âme n’est pas une entité permanente. Il n’y a pas de survivance du moi, car par définition il est composé d’un agrégat provisoire et donc change sans cesse. Instable, évanescent l’ego ne subsiste pas d’une vie à l’autre. Seuls le désir et la soif de l’existence lient les êtres au cycle des renaissances générées par le flux des actes. Le but ultime est de s’y soustraire pour atteindre le nirvana.

En lisant l’histoire « Un Missionnaire Choqué » par Jean Antoine Dubois on a eu une connaissance sur les rites et les coutumes religieuses hindoues. On remarque ici les rites funéraires d’unbrahman.Il y a une grande différence de funéraire entre un homme commun et un brahman. Leurs derniers moments sont accompagnés et suivis d’une foule de pratiques ridicules. En effet les Indiens observent beaucoup moins de formalités lors du décès de leurs proches. Dѐs que les symptômes de l’agonie se manifestent chez un brahme on choisit par terre une place qu’on enduit de fiente de vache. On y répand de l’herbe et par-dessus le tout o étale une toile neuve et pure sur laquelle on transporte le mourant. Là on lui ceint les reins d’une autre toile pure et après lui en avoir demande la permission. On lui fait la cérémonie appelée sarva- prayaschita. Ou expiation totale à laquelle président le pourohita et le chef des funérailles c’est-à-dire la personne qui par la proximité du sang ou les usages du pays a le droit de remplir cette fonction. On amène une vache avec son veau. Elle a les cornes garnies d’anneaux d’or ou de cuivre, sur le cou une guirlande de fleur, une pièce de toile neuve lui couvre le corps et l’on y joint divers autres ornements. On fait approcher la vache du malade qui lui prend par la queue et en même temps le pourohita récite un mantram afin qu’elle le conduise par un bon chemin dans l’autre monde. Le don d’une vache appelé godana est indispensable si l’on veut arriver sans accident au Yoma-loca où séjour le Yama, roi de l’enfer. Prѐs de ce lieu où se trouve un fleuve de feu que tous les hommes doivent traverser après qu’ils ont cessé de vivre ce qui arrivé à leur dernière demeure. Après le godana on distribue aux brahmes les pièces de monnaie contenue dans le plat de métal et dont la somme totale doit égaler le prixde la vache.On prépare ensuite dix dons ou dassa-dana pour être distribués aux funérailles qu’on suppose n’être pas éloignées. Ces dons consistent en vaches, terres, grainesde sésame, or, beurre liquide, toile, diverse sortes de grains, sucre, argent et sel. Ces dix articles offerts aux brahmes, étant fort agréables aux dieux procurent à celui qui les fait un séjour fortuné après sa mort. Dѐs que le malade a rendu le dernier soupir, il est convenu que tous les assistants doivent pleurer ensemble à l’unisson et sur un ton approprié à la circonstance. Le chef des funérailles va se baigner sans ôter ses vêtements et se fait ensuite raser la tête, le visage et la moustache. Il va au bain pour la seconde fois pour se purifier de la souillure que lui a imprimé l’attouchement impur du barbier. Lorsqu’ils sont terminés celui qui y préside apporte une pièce de toile neuve et pure dans laquelle il enveloppe le défunt. Il déchire une bande de cette toile et ploie dans un des bouts un morceau de fer sur lequel il verse un peu d’huile de sésame. Ayant ensuite roulé cette bande de toile en forme de triple cordon il doit la conserver durant douze jours pour servir à diverses cérémonies dont il sera question plus loin.

« Un Missionnaire Choqué » par Jean Antoine Dubois dans cette histoire on trouve la présence de diversité linguistique en Inde. Ce phénomène est beaucoup plus commun dans notre pays. Chaque état a sa langue officielle bien vivante, parlée et écrite à quoi il convientd’ajouter l’anglais devenu une véritable langue indienne et l’hindi la langue administrative. Sans compter d’innombrables dialectes tout lettré indien possède le sanskrit- la langue mère, l’anglais, l’hindi et une ou plusieurs langues vernaculaires. Le samskretam passe dans cette contrée pour l’ancienne langue du pays. C’est une langue morte qui a son alphabet particulier dont les lettres reçoivent quelques changements selon la classe des brahmes qui l’écrivent. La plus généralement répandue en quelque sorte la langue universelle dans l’Inde est le persan moderne. Il n’y a pas de princes avec lesquels on ne puisse traiter par le moyen de cette langue parlée ou écrite. Avec le persan l’Hindoustan est la langue d’usage dans le nord de la presqu’île dans tout le Dekan et en bien des endroits de deux côtes. Cette langue s’écrit en caractère nagris altérés du samskretam et en caractère persans. Alors on ajoute des points à plusieurs lettres persans pour marquer les caractères que l’alphabet persan ne fournit pas.Cette langue reçoit dans la prononciation des réflexions différentes et est pur ou mêlé d’arabe, de persan, de bengali, de marathiselon les peuples qui parlent. Au nord de la province les langues utilisées sont le tibétain, l’hindoustan et le persan. Au Bengal le bengali tient par les lettres et les mots du tibétain et de l’hindoustan, le persan et l’hindoustan. Remontant le côté smalabare le tamoul pur avec des caractères différents de ceux de la côte de Coromandel a cours de coëlan au mont Delhi au-dessus de Mahe. Le samskretam à cette partie de la côte s’écrit avec des caractères différents du reste de l’inde. Après le tamoul, le kannada avec des caractères particulier. Ainsi pour traiter avec les peuples de l’Inde, il faut savoir neuf langues qui ont des alphabets particuliers, sans parler des jargons ou idiomes locaux. L’esprit est effrayé à la vue du travail que demande la connaissance de ces langues. Ce sont des montagnes bien autrement difficiles à franchir. On sait que les Portugais sont les premiers européens qui aient fait des établissements dans l’Inde. Cette nation ne s’étant point donné la peine d’apprendre les langues. En quelques sortes obligé les naturels à parler la sienne. Comme la plupart des domestiques au service des Français, Anglais, Hollandais, Danois sont issus de ces premiers Indiens des Portugais les étrangers en arrivant se trouvent dans la nécessité d’apprendre le Portugais.

En analysant « Par la Vertu des Plantes » par Pierre Sonnerat on remarque que les plantes médicinales jouent toujours un grand rôle dans la vie des peuples. Le pouvoir médicinal est mentionné dans les épopées de l’Inde. Son existence est beaucoup plus en avant. Aujourd’hui encore on reconnait sans bien les comprendre les vertus de la médicine ayurvédique qui rencontre une faveur croissante y compris en Occident. Il n’y a pas de médecins plus savants que les autres et qui obtiennent une réputation marquée. Dѐs leur enfance on leur apprend à connaitre quelques simples et différentes recettes qui se transmettent de père en fils. C’est pour eux une ressource contre la misère. Ils sont persuadés que toutes les maladies viennent de chaud ou de froid ou qu’elles sont occasionnées par des vents qui se glissent entre cuir et chair. Si la maladie vient de la peau ils croient qu’elle est produite par des vers et pour les faire mourir ils appliquent des caustiques qui dessèchent la peau et la font excorier. Le lendemain le médecin enlève quelques morceaux de cette peau brûlée et les montre au malade et lui-même le croit aveuglément. Selon l’auteur les Indiens ne connaissent pas l’usage des lavements. Jamais ils ne se saignent. Si un médecin européen voulait les saigner la peur qu’ils ont de cette opération produirait un effet contraire à celui qu’on en attendrait.Tout ce qui a rapport à la chirurgie est inconnu aux Indiens semblables en cela aux Egyptiens jamais ils n’ont ouvert de cadavre pour étudier le corps humain et pour y découvrir les causes des maladies. Ils meurent tranquilles entre les mains de leurs médecins mais entre celles d’un européen. Ils seraient tourmentés jusqu’à la mort ou jusqu’à leur parfaite guérison parce qu’ils croient qu’il est impossible à un étranger de connaitre leurs véritables maux.Il y règne de plus une maladie épidémique qui en vingt-quatre heures et quelques fois moins enlève ceux qui en sont attaqués. Elle ne se manifeste que dans les temps froids. Les Indiens ont encore quelques remèdes particuliers selon les maladies. Pour les fièvres ils emploient avec succès des tisanes de racine de margosier pilées. Pour la goutte ils usent pendant un mois d’une poudre dont la base est le soufre. Il est très pernicieux et fait remonter la goutte.

Pour conclure je voudrais dire que c’est vraiment difficile à décrire toutes les cultures et les coutumes indiennes dans seulement un projet. On doit faire une énorme thèse pour en décrire en détail. Il y en a plusieurs recherches existent et aussi beaucoup de recherches sont en train de faire sur les cultures indiennes. C’est vraiment intéressant de savoir que les auteurs étrangers ont écrit à propos de l’Inde.Ils ont passé plusieurs années en Inde. Ils ont observé minutieusement tous les détails. Ils ont aussi assisté quelques coutumes et puis ils ont partagé leurs expériences sur les cultures différentes qui ont marqué un profond impact sur leur vie. Donc on comprend comment la richesse de la culture indienne met son importance dans notre société. On considère quelques cultures comme les superstitions mais elles existent depuis la création. C’est une partie intégrale de notre vie et on ne peut pas les éviter étant demeuré dans la société.

Référence

Les piliers d’une civilisation

The role of creative industries in promoting cultural cooperation between France and India.

Satyasree Balijepally, Asst. Prof & Head of the Department of French, St. Joseph’s University, Bengaluru.

Abstract:

The creative industries like Cinema, music, art and fashion are instruments of promoting understanding and cultural cooperation between two nations which highlight le exchange of knowledge between communities, societies and cultures. They have the power to affect human beings and bring about change as they demand their participation and their empathy thus the participant can understand what the artist wants to express. on a national scale, the products of these industries constitute the potential for cultural diplomacy, `allowing the participant to better understand the country and its culture.

There are many franco-indian organisations that promote cultural exchanges such as the French Institute in India, Kalsetu, Villa Swagatam, and the different agreements signed by the two countries like the « Indo-French Bilateral Film Co-Production Agreement », the MOU between the Ministry of cultural affairs India and the Louvre Museum.

This paper analyses the role of these organisations in promoting bilateral indo-french cultural cooperation.

Key words: creative industries, bilateral cooperation, cultural diplomacy, changes, empathy

Le Rôle Des Industries Créatives À Promouvoir La Coopération Culturelle Entre La France Et L’inde.

Résumé :

Les industries créatives comme celles du cinéma, de la musique, de l’art et de la mode sont les instruments de promouvoir l’entente et la coopération culturelle entre deux nations, et qui mettent en valeur l’échange de connaissances entre les communautés, les sociétés et les cultures. Ils ont le pouvoir de convaincre et d’émouvoir les êtres humains, véhiculant des changements puisqu’ils exigent leur participation, leur empathie, ainsi, le participant peut ressentir ce que l’artiste voulait exprimer. À l’échelle nationale, les produits de ces industries représentent le potentiel de la diplomatie culturelle permettant au participant  de mieux comprendre le pays et sa culture.

Il existe de différentes organisations franco-indiennes qui promeuvent les échanges culturels telles que L’Institut Français en Inde, Kalasetu, Vila Swagatam, les différents accords signés par les deux pays comme « Indo-French Bilateral Film Co-production Agreement », le protocole d’accord entre la Ministère des affaires culturelles d’Inde et le Musée du Louvre.

Cet article analyse le rôle de ces organisations à promouvoir la coopération bilatérale.

Mots clés : industries créatives, coopération bilatérale, la diplomatie culturelle, changements, empathie.

The role of creative industries in promoting indo-french cultural cooperation

Introduction 

Les échanges culturels entre l’Inde et la France remontent aux 17e et 18e siècles quand la France avec les autres pouvoirs européens étaient engagées dans une forte concurrence pour le contrôle de routes commerciales importantes dans l’océan indien. Même si les français y sont arrivés bien tard dominé par les anglais, les portugais et les hollandais, ils ont réussi à établir des comptoirs à Chandernagor, Pondichéry, Mahé, Kârikâl et Yanaon. Au cours de la dernière partie de 19e siècle, les élites francophiles et francophones du Bengale et de la communauté parsie, se sont trouvés au premier plan de l’influence française en Inde. Les intellectuels de l’époque étaient à la recherche d’une alternative à la dominance britannique. L’histoire de la famille Tagore et son attachement à la culture française ont influencé les élites bengalies. Cette influence s’est manifestée dans le domaine d’art et du cinéma à l’avenir. Les lycées établis dans des différents comptoirs ont agi comme agents de diffusion de la culture française. La manifestation de cette influence sur les artistes indiens et le Cinéma indien est le sujet d’étude intéressante. Nous proposons la découverte des aspects historiques, culturels et artistiques français dans la classe de français au niveau avancé ou de Master à travers l’étude de quelques initiatives franco-indiens de cinéma ainsi que des artistes indiens formés en France et leurs œuvres.

Méthodologie 

Nous avons ramassé l’information en lisant les différents articles de journal sur l’internet, les sites gouvernementaux officiels de France Diplomatie et d’Unesco. Les informations publiées par Le Ministère de L’Europe et des Affaires étrangères étaient utiles et celles sur le site web d’UNESCO et la thèse Master de Maria  Meshcherskaya (Sotheby’s Institute of Art) intitulé « Role of art in international relations : analysis of the Key operational patterns on example of French Cultural Cluster » a offert beaucoup d’information. Le podcast de Simon Anholt and Nick Cull de l’Université de Southern California « Culture : Decorative or useful ? », le siteweb de Visva Bahrathi et nous a beaucoup aidé de comprendre comment la culture est un élément essentiel pour construire l’image nationale. Les articles de journaux « Times of India » et « Hindu » ont fourni l’information sur le festival de Cannes et le livre, « Post-impressionistes » de Linda Bolton.

Débuts de l’art franco-indien 

La connexion artistique entre les deux pays a commencé pendant les 17e et 18e siècles quand les navires français sont arrivés aux côtes indiennes pour établir les centres commerciaux à Mauslipatnam (Pondichéry) et Surat. Face à la dominance des Anglais, les français n’ont pas pu gagner assez de contrôle afin de la coloniser. Ils ont dû quitter l’Inde après la bataille de Plassey  en 1757. Cela signifie que les peintres anglais qui ont poursuivi leur métier en Inde ont appartenu à l’école de compagnie, un style mélangé des styles indiens et anglais. En Inde, pour les artistes indiens, la seule opportunité de se former était dans les écoles d’art établi par les anglais à Bombay et à Calcutta où l’enseignement était à partir des principes de classicisme européen. Il y avait des artistes ou groupes d’artistes qui étaient à la recherche des alternatives car la conservation des traditions artistiques indiennes leur a intéressé. Les élites indiennes commençaient à tourner vers la France comme un centre culturel autre que Londres. 

Abanindranath Tagore, le neveu de Rabindarnath Tagore, membre de la famille la plus influente dans le milieu social au Bengale, était un des premiers artistes qui a encouragé l’art ancré en Inde. Alors, les jeunes artistes de l’époque sont allés à Paris, un centre d’Art Moderne au lieu de Londres. Suite à la Révolution, la France est devenue un pays plus démocratique que les autres pays européens et le cœur de la culture, de l’art et de la littérature. Les différents mouvements artistiques tels que le postimpressionnisme, l’Art Nouveau etc. sont nés à Paris. Les étudiants indiens d’art comme Amrita Shergil, S H Raza, Akbar Padamsee, Anjali Ela Menon ont choisi de se former aux écoles parisiennes.

Amrita Shergil 

Amrita Shergil  s’est inscrite à l’école supérieure des Beaux-Artsà Paris en 1929 et sa formation s’est terminée à Paris où  son style était influencé par les artistes post-impressionnistes comme Paul Gauguin et Paul Cézanne. Elle a exploré la féminité et la sexualité à travers ses peintures. Elle a gagné un tel renom qu’elle a été décernée une médaille d’or par son école et ensuite est devenue membre du Grand Salon. Elle était la seule artiste d’Asie à la gagner.  Après son retour en Inde, elle a incorporé un style artistique plus indien. Sa mère était hongrienne et son père Indien, ainsi son style unique était une réflexion de ses racines orientales-occidentales. Les tableaux de Shergil avaient la même richesse de couleurs comme ceux de Cézanne et Gauguin.

Un auto-portrait 7 d’Amrita Shergil, 1930

Toilette d’une mariée, tableau fait après le retour de Shergil en Inde

Les auto-portraits d’Amrita Shergil montrent l’influence des courants artistiques post-impressionnistes surtout la composition audacieuse et l’usage des couleurs vives. Sa réalisation de silhouette, de cheveux  et de tenue indique qu’elle commençait à adapter une forme d’expression novatrice et moderne. Toilette d’une mariée est le résultat de son intérêt aux fresques dans les grottes d’Ajanta et aux traditions et aux coutumes des gens au sud de l’Inde.

Jehangir Sabavala

En tant qu’étudiant d’art dans les années après la 2e Guerre Mondiale en France, Jehangir Sabavala a saisi tôt l’importance du ligne, a interprété librement les principes de cubisme. Il a produit plusieurs dessins en charbon et en crayon qui montrent le processus de construire des figures humaines. Grâce à sa formation avec André Lhote, un peintre cubiste français, son style artistique a progressivement évolué et par la suite, son œuvre s’est caractérisée par les principes de cubisme où les objets sont représentés pas comme ils ont apparu (aux yeux) mais en relation avec les autres entités. Au début, sa palette de couleurs était restreinte : noir, gris, bruns et ocres. Plus tard, il a développé un style unique qui était un mélange de cubisme et d’impressionnisme, ainsi plus adapté aux défis de peindre les paysages indiens et ses couleurs vives.

The Causaurina Line – 1, 2011

The Bangle sellers, 1954

Syed Haider (S H) Raza:

Il était un des artistes plus connus de la première partie du 20 e siècle en Inde. Il s’est inscrit à l’école supérieure des Beaux-Arts à Paris entre 1950 et 1953. Il a passé sa vie à Gorbio en France et en Inde. Il a utilisé les techniques innovatrices dans ses œuvres abstraites comme l’usage des motifs géométriques et des cercles concentriques afin d’y représenter des idéologies tantriques d’Hindouisme et Budéisme. Les thèmes de ses tableaux étaient souvent les paysages urbains français et indiens. Avec le développement de son art, il a rejeté le style académique qui a dominé l’art indien de l’époque et a adapté une vision artistique plus indienne appelée « Antar Gyan ».

L’église du village, 1958

Kundalini, 2011

Le Contexte Didactique :

Les tableaux réalisés par les artistes formés en France étaient le résultat de la coopération culturelle. Dans le contexte historique, l’objectif était d’adapter une culture plus attirante et moins exigeante qui est progressivement devenue l’aspect plus important des relations culturelles entre la France et l’Inde. En effet, du côté didactique, on peut considérer ces peintures comme un outil de la diplomatie culturelle et en profiter dans la classe de français.

Les étudiants de niveau avancé ou celui de Master ont la capacité de saisir les concepts complexes, qui leur permettra de décortiquer les aspects culturels et langagiers. On propose une technique intéressante qui incite l’apprenant à participer et à découvrir des aspects historiques, culturels liés à chaque œuvre artistique. On a choisi quelques aspects donnés dans la description des tableaux artistiques déjà introduits :

1. Un auto-portrait d’Amrita Shergil 

  • Aspects historiques : la France entre les deux guerres mondiales, Paris, les musées
  • Aspects culturels : la naissance des courants artistiques et leurs particularités,

2. Toilette d’une mariée 

  • Aspects historiques : les grottes d’Ajanta,
  • Aspects sociologiques : les traditions socio-culturelles indiennes

3. Jehangir Sabavala : La Causurina Line -1

  • Aspects culturels : Influence de l’impressionnisme, du cubisme sur l’artiste et l’Art Moderne
  • Aspects artistiques : l’expérimentation des couleurs d’artiste

4. Bangle sellers

  • Aspects culturels : Adaptation de l’artiste aux thèmes indiens

5. L’église du village

  • Aspects culturels : influence culturelle franco-indienne, Paris comme un centre culturel, le sud de France – destination estivale des artistes
  • Aspects géographiques : La région de Provence-Alpes
  • Aspects socio-historiques : Idéologies de Budéisme et d’Hindouisme

Organisations d’échanges culturels actuels

Villa Swagatam: Ce programme lancé par l’Institut de France en Inde en mars 2023, est au cœur un réseau dynamique des stages pour encourager les échanges culturels entre La France, L’Inde et la région de l’Asie du sud. Ce réseau a 16 partenaires indiens de stage et fête les réussites des 17 stagiaires distingués. Une gamme variée des disciplines artistiques sont offerts surtout ceux d’artisanat et de littérature et il facilite les échanges vers La France et vers l’Inde et le Bangladesh. Le mot « Swagatam » signifie Bienvenue et reflète la volonté d’organisation d’accueillir le dialogue, la collaboration et l’échange.

Kalasetu : C’est une organisation franco-indienne des Arts de la scène et traditions musicales établie par les anthropologistes sociales et musicales de France. Elle fait du conseil artistique et réalise des projets sur mesure pour diverse structures et festivals de musique.

Le Cinéma indien en France :

La présence de faims indiennes était régulière pendant les années récentes. Mais le premier rendez-vous du Festival avec le Cinéma Indien a commencé en 1946 quand « Necha Nagar » de Chetan Anand est devenu le premier film indien à remporter la Palme d’Or (auparavant Grand Prix du Festival International du Film), la plus haute récompense du cinéma. En 1954, « Do Bigha Zameen » de Bimal Roy a été honoré au Prix International de Cannes suive se « Pather Panchali » de Satyajit Ray en 1956. Au cours des décennies les films « Devdas », « Salam Bombay », « Udaan » ont été projeté au Palias des cinéphiles.

2023 : Agra, Kennedy (séances de Minuit), Ishanou (section Classique), le Néhémich

La 77e édition du festival de Cannes deux films indiens ont été sélectionnées dans des différents sections : à la sectionHors compétition, « All we imagine light » de Payal Kapadia, à la section Un certain regard, « Santosh » de Sandhya Suri.

Au delà du Festival de Cannes 

Une rétrospective de la vedette légendaire du Cinéma Indien, Amitabh Bachchan a été organisée au « Festival des 3 continents » à Nantes, en Novembre, 2023.  La rétrospective, du titre, « Amitabh Bachchan, Big B Forever » a projeté neuf films ont été choisi pour présenter les différents aspects de l’œuvre d’acteur comme « le jeune homme en colère » crée par les scénaristes Salim Khan et Javed Akthar, et les autres d’action, de drame, d’amour. Les films choisis étaient « Sholay », « Deewar », « Don », « Kabie Kabhie », « Amar, Akbar, Anthony » des différents réalisateurs comme Yash Chopra, Ramesh Sippy, Manmohan Desai et Hrishikesh Mujkherjee.

Les accords 

En 2013, un accord « Indo-French Bilateral Film co-production » pour augmenter la coopération au domaine de cinéma a été signée entre les deux pays. Le protocole d’accord entre la Ministère des affaires culturelles d’Inde et le Musée du Louvre afin d’établir un partenariat pour faciliter l’échange des compétences et expertises au domaine de muséologie et expositions provisoires. Ces accords ont donné lieu aux trois films de coopération franco-indienne : The Lunch box en 2013, Sir en 2018 et Manto en 2022 ont été décerné les différents prix et ont projeté au Festival de Cannes.

Le Contexte Didactique 

Les films cités sont le résultat d’échange et de coopération culturelle dans le domaine de Cinéma. L’industrie de Cinéma dans les deux pays a des spécificités : La France est le lieu de naissance du cinéma et l’Inde produit le plus grand nombre de films par an mondialement. Dans le contexte historique, l’objectif était de faire découvrir les débuts du cinéma et l’histoire du cinéma Français.  Les étudiants de tous niveaux sont intéressés au cinéma. Les rétrospectives out la projection des films dans des festivals de films aident non seulement à leur diffusion mais aussi attirent l’attention des étudiants et leur encouragent de découvrir les débuts, le parcours et l’évolution d’œuvres des différentes artistes de Cinéma de France et d’Inde.

Conclusion 

L’objectif des organisations d’échanges culturels actuels comme Villa Swagatam et Kalasetu consolident les initiatives mises en place par les accords ou les mesures gouvernementales en fournissant les opportunités de stage et d’apprentissage de la longue durée.

La diplomatie culturelle peut être très utile au domaine didactique. Une étude de Cinéma et la peinture d’Inde et de France  munit les étudiants de découvrir les différents aspects culturels de manière engageante.

Références 

  1. Linda Bolton : Artists in profile – Poat’impressionists (Heinemann Library Books)
  2. https://www.diplomatie.gouv.fr/
  3. https://uis.unesco.org/sites/default/files/documents/2013-creative-economy-report-widening-local-development-pathways-en_1.pdf
  4. https://digitalcommons.sia.edu/cgi/viewcontent.cgi?article=1080&context=stu_theses
  5. https://uscpublicdiplomacy.org/blog/people-places-power-episode-9-culture-decorative-or-useful
  6. https://www.visvabharati.ac.in/
  7. https://www.ifindia.in/
  8. https://www.festival-cannes.com/en/