উচ্চাঙ্গ সংগীত : সেতার সরোদে নতুন প্রজন্ম
মৌসুমি ঘোষ
হাততালির শব্দে সৌনকের ঘুমটা ভাঙতেই ধড়পড় করে উঠে বসে। গ্রিনরুমের ভিতরে পাশাপাশি দুটো চেয়ারে পা তুলে সে বেশ এক ঘুম দিয়ে নিয়েছে। রাত জাগার অভ্যেস নেই। তার মধ্যে খুব শীত।
আবার হাততালির শব্দে ঘোর কাটে। চমকে তাকায় চার দিকে।
যাঃ! পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণের বাজানো হয়ে গেল না তো!
সৌনক রায়
তাড়াতাড়ি চেয়ার থেকে নেমে স্টেজের দিকে দু’পা যেতেই দ্যাখে পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ দর্শকদের দিকে হাতদুটো নমস্কারের ভঙ্গিতে স্টেজ থেকে নামছেন। দর্শক আসন থেকে তখনো ভেসে আসছে হাততালির বন্যা।
এমনটাই হয়েছিল গেলবার ‘ডোভার লেন উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত সম্মেলনে’র তৃতীয় দিনে।
সৌনক রায় শিশু সরোদ শিল্পী। বয়স নয় কি দশ। ছোটবেলা থেকেই পন্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের কাছে সরোদের তালিম নিচ্ছে। সৌনকের বাবা-মা দুজনেই সরোদ বাজান। তাঁরাও শিখেছেন পন্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর কাছেই। বাবা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। আর মা সংসারের সব ভার নিয়ে, সন্তানের দেখাশোনা করেন। ছোট সৌনক বেশ কিছু পুরস্কার পেয়েছে সঙ্গীত প্রতিযোগিতায়। ‘ভিস্তার’ থেকে পেয়েছে সর্বভারতীয় সাফল্যের পুরস্কার।
সারারাত ধরে সঙ্গীত সম্মেলন। এতটুকু সৌনককে ছাড়তে মায়ের একদমই ইচ্ছে ছিল না। কয়েকদিন বাদেই স্কুলে ফাইনাল পরীক্ষা। অঙ্কের দুটো চ্যাপ্টার এখনো রিভাইজড হয়নি। ছেলে কী শোনে?
সৌনকের বায়না, একা রাত জেগে সঙ্গীত সম্মেলনে গান শুনবে। রিয়া, আহির, সোমলতা, অনুষ্টুপ দাদা এরাও তো সারারাত থাকবে। অগত্যা সুপর্ণা বিকেল পাঁচটায় ছেলেকে পৌঁছে দিয়ে গেছে সম্মেলনের মাঠে। সকালে এসে নিয়ে যাবে।
শুধু সৌনক নয়। এরকম একগুচ্ছ কিশোর- কিশোরী স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা ঘুরা বেড়াচ্ছে সম্মেলনের মাঠে। কেউ
পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর
খেয়াল শুনতে শুনতে চোখ কচলাচ্ছে। কেউ আবার ভোরের দিকে ঘুমে ঢুলে পড়েছে সম্মেলনের
মাঠেই।
উঠতি শিল্পী সোহিনী কোলে যখন ফুলের তোড়া হাতে
মঞ্চের একদিকে দাঁড়িয়ে উস্তাদ শাহিদ পারভেজকে বরণ করে নেবার জন্যে। অডিয়েন্সের
একেবারে সামনের দিকে তখন স্বর্ণেন্দু ক্যামেরা হাতে তৈরি। সোহিনীর ছবি ক্যামেরা বন্দী করবে উস্তাদের হাতে ফুলের
তোড়া সমেত।
কলকাতারই ছেলে স্বর্ণেন্দু। এবার জিওলজিতে
বি.এসসি.অনার্সে ফার্স্ট ইয়ার যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে। ডাক্তারি না ইঞ্জিনিয়ারিং
কোন্ স্টিমে পড়লে ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হবে, এ নিয়ে যখন ঘরময় তোলপাড়। স্বর্ণেন্দুর মা তখন ওকে ভর্তি করে দিল
সরোদের ক্লাসে। গান শেখানোর সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় মাএর এই সিদ্ধান্ত। দশ বছর
স্বর্ণেন্দু মণ্ডল
বয়সে স্বর্ণেন্দুর হাতে খড়ি গুরু প্রণব নাহার কাছে। তারপর পন্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের কাছে তালিম। এখন স্বর্ণেন্দুর গুরু আবির হোসেন। পরম স্নেহে গুরু আবির হোসেনের কাছে অহ-রহ তালিম পায় সে।
সেই ছোটবেলা থেকেই যন্ত্র নিয়ে বসার জন্য কোনো
দিন তিরস্কার করতে হয়নি স্বর্ণেন্দুকে। বরং অংক, ফিজিক্সের মতো কঠিন পরীক্ষার আগের দিনেও রুদ্ধ দ্বারে স্বর্ণেন্দু এক দু’ঘন্টা সরোদ নিয়ে বসে। মা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ছেলেটা এবার পাশ করবে তো?
না! সবার উদ্বেগকে নস্যাৎ করে দিয়ে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক দুটো
গন্ডীতেই দারুণ রেজাল্ট করে বেরিয়ে এসেছে স্বর্ণেন্দু।
স্বর্ণেন্দুর সঙ্গীতের দিকে ঝোঁক পারিবারিক সূত্রেই। মা-বাবা দুজনেই সঙ্গীতের অধ্যাপক। স্বর্ণেন্দু এখন সঙ্গীত রিসার্চ আকাদেমির স্কলার। রেডিওতে যুববাণীর প্যানেল আর্টিস্ট। আর বাংলাদেশকে যদি বিদেশ বলি, তবে সেই বিদেশের মাটিতেও সরোদ বাজিয়ে এসেছে কয়েকবার।
ফটোগ্রাফিরও ঝোঁক আছে স্বর্ণেন্দুর। ইতি উতি ছবির প্রদর্শনী তে
স্বর্ণেন্দুর তোলা ছবিও বের হয় মাঝে
মাঝে। বাঁশি
বাজায়, তবলা বাজায়। গিটারেও সুর তোলে যখন মন চায়। কলকাতার এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্ত
পায়ে পায়ে হেঁটে বেড়ায়।
ছবি তোলায় খুব নাম ডাক কলকাতারই আর এক মেয়ে শ্রুতির। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স নিয়ে এম এসসি পড়ছে। খুব ভালো সরোদ বাজায়
শ্রুতি। শ্রুতির সাত বছর বয়সে সরোদে হাতে খড়ি পন্ডিত অনিল
রায়চৌধুরীর নাতি ইন্দ্রজিৎ রায়চৌধুরীর কাছে। বাবা সুবীর দে একজন সেতারের শিল্পী।
তিনি সেতারের নাড়া বাঁধেন উস্তাদ আমজাদ আলি খাঁনের কাছে। পিতৃসূত্রে পাওয়া সেতারে না গিয়ে সরোদ শেখার পরামর্শ দেন উস্তাদ আমজাদ আলি খাঁ। তাঁর কথাকেই ধ্রুবতারা মেনেছে শ্রুতি ও ওর মা-বাবা। এখন শ্রুতির সঙ্গীত গুরু পন্ডিত সমরেন্দ্রনাথ সিকদার।
ফিজিক্সের মতো কঠিন বিষয়ের পাশাপাশি সরোদের চর্চা করতে একটুও সমস্যা হয়নি শ্রুতির। এই ইন্টারনেট আর মোবাইলের যুগেও আরো কত কিছুর চর্চা চালিয়ে যায় শ্রুতি। কবিতা লেখার শখও আছে। পরম্পরা প্রকাশনী
থেকে ওর কবিতার বই বেরিয়েছে। এবছর অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস এ ফটোগ্রাফির প্রদর্শনীতে শ্রুতির ফটো প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
শ্রুতি দে
শ্রুতির সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় প্রাপ্ত শিরোপার সংখ্যাও কম নয়। যন্ত্র সংগীত প্রতিযোগিতায় ২০১২ পেয়েছে ‘মুরারী স্মৃতি’ পুরস্কার। ২০১৪ ‘সংগীত পিয়াসী’পুরস্কার। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে জুনিয়র স্কলার হয়েছিল সাত বছর বয়স থেকে ষোলো বছর বয়স পর্যন্ত।
সম্প্রতি দক্ষিণবঙ্গ বালুরঘাটের ‘উত্তরের রোববার’এর পক্ষ থেকে কবি ও শিল্পী
হিসেবে পেয়েছে ‘বর্ণালী স্মৃতি’পুরস্কার।
ছোট্ট বন্ধন বেশ তবলা বাজায়। মাঝে মাঝে দিদির সঙ্গে সেতারে ঠেকাও দেয়
চমৎকার। হলে কি হবে। সরোদের সুর যে টানে বন্ধনকে। তবলার সঙ্গে সরোদও শিখতে চায় বন্ধন আদক। একথা একদিন গুরুকে জানালো বন্ধন। গুরু পণ্ডিত সিদ্ধার্থ রায়
চৌধুরীই সরোদের পাশাপাশি তবলার তালিম দিতে শুরু করলেন। অবশ্য তবলা আর সরোদ পাশাপাশি বেশ দুটোই চলছিল। কিন্তু
উঁচু ক্লাসে উঠতেই দুটোই সামাল দেওয়া বেশ ঝক্কির। পাল্লাটা ভারি সরোদের দিকেই।
বন্ধন আদক
বন্ধনের সঙ্গীতে হাতে খড়ি ন’বছর বয়সে। এখনো পণ্ডিত সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরীই তার গুরু। বন্ধন এখন স্কুলের ছাত্র। কমার্স নিয়ে টুয়েল্ভ ক্লাসে পড়ে। পড়ার ভীষণ চাপ। তাতে কী? সরোদ নিয়ে বসতে কোনদিন ভুল হয় না। মা-র গাওয়া গানই বন্ধনের সুরের জগতের অনুপ্রেরণা।
২০১৭ সালে সুতানুটি মিউজিক কম্পিটিশনে যন্ত্রসঙ্গীত প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছে বন্ধন। রেডিওর যুববানীতে সরোদ বাজায়। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে জুনিয়র স্কলারশিপও পেয়ে চলেছে বন্ধন।
সৌভাগ্যর অবশ্য কলকাতায় থাকার সৌভাগ্য এখনো হয়নি। সৌভাগ্যর মা কাঁধে করে
সেতার বয়ে সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে চলেছেন কলকাতায় গুরুর কাছে। তাই মায়ের সঙ্গে ভিড় ট্রেনে
সেতার নিয়ে উঠলেই সৌভাগ্য আর ওর মাকে শুনতে হয়—
সৌভাগ্য কর্মকার
-উঃ এত ভিড় ট্রেনে এরকম একটা গামবাট যন্ত্র নিয়ে কেউ ওঠে নাকি? এসব যন্ত্র নিয়ে তো বিকেলের
ট্রেনে গেলেই পারেন!
সৌভাগ্যর মা তখন কাচুমাচু মুখে বলেন, কি করা যায়
ছেলের ক্লাস যে সকালে ১১টা থেকে।
তা আপনার ছেলে স্কুলে যায় না?
নিশ্চয়ই যায়! স্কুলের অনুমতি নিয়েই সেতারের ক্লাসে
যায় ও।
কি জানি বাবা! কেমন স্কুল! আর কেমন সব বাবা মা!
স্কুল কামাই করে বাজনা শেখানো!
ট্রেনে-বাসে এরকম একরাশ বিরক্তির কথা প্রায়শই
শুনতে হয় সৌভাগ্যর মাকে।
সৌভাগ্যর এবার ক্লাস সেভেন। পাঁচ বছর বয়স থেকে কয়েক বছর সৌভাগ্য সেতার শিখেছে শ্রী অসীম চৌধুরীর কাছে। এখন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সুভাষ গ্রাম থেকে সেতারের তালিম নিতে আসে কলকাতায়
পন্ডিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।
সেতারের প্রতি সৌভাগ্যর ভালোবাসা বাবা-মায়ের কাছ
থেকে পাওয়া। বাবা সুমন কর্মকার একসময় সেতার বাজাতেন। বর্তমানে একজন সুদক্ষ সেতারের
কারিগর।
অনুষ্টুপ অবশ্য সৌভাগ্যর মতো ট্রেনে বাসে যন্ত্র বয়ে আনার করুণ দিনগুলো
পার করে এসেছে। একসময় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ভাটপাড়া থেকে সেতার কাঁধে নিয়ে কলকাতা
আসা ছিল নিত্যদিনের ছবি। নিরিবিলিতে সাধনা করার জন্য আই টি সি সংগীত রিসার্চ আকাদেমি-র ছাত্র নিবাসে একটি কক্ষ পেয়েছে অনুষ্টুপ। এখান থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে এম.এ ক্লাসে
পড়ে অনুষ্টুপ ভট্টাচার্য।
অনুষ্টুপ ভট্টাচার্য
সাত কি আট বছর বয়সে অনুষ্টুপ সেতার শিখতে শুরু করে রবি চক্রবর্তীর কাছে। এখন গুরু পন্ডিত পার্থ
চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তালিম নেয়।
গুরুর পাশাপাশি থেকে শেখে সে।
অনুষ্টুপের সেতার শেখার অনুপ্রেরণা তার মা। অনুষ্টুপের মা সেতার বাজান। ঘরোয়া অনুষ্ঠানে মা ও
ছেলের যুগলবন্দী পরবারে ফুরফুরে আমেজ এনে দেয়।
গেলবার ডোভার লেন সংগীত প্রতিযোগিতায় যন্ত্র
সংগীতে প্রথম হয় অনুষ্টুপ। যার আর্থিক মূল্য পঞ্চাশ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে সে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে পেয়েছে সিনিয়র স্কলারশিপ। খেলা ধুলাতেও অনুষ্টুপ এর
বেজায় ঝোঁক। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরেই হোক বা
ছুটির দিন। বিকেলে মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলা চাইই চাই।
সৃজনীর অবশ্য ইউনিভার্সিটি থেকে ফিরে খেলার মাঠের দিকে ঝোঁক নেই। সৃজনী
এবার ইতিহাস নিয়ে এম. এ. ক্লাসে
পড়ছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরে একটু বিশ্রাম। সন্ধের পর ক্লাসের পড়াগুলো একটু
উল্টে পাল্টে দেখা। তারপর সেতার নিয়ে বসা।
সৃজনী ব্যানার্জি
সৃজনীর বাড়ি দমদমে। ভোরবেলা সৃজনীর সেতারে ভৈরবীর সুরে ঘুম ভাঙে পাড়াপড়শির।
সৃজনীর সেতারে হাতে খড়ি ছ-সাত বছর বয়সে বাবা চন্দন
ব্যানার্জির কাছে। চন্দন ব্যানার্জি সেতারে তালিম নিয়েছেন পন্ডিত দেবীপ্রসাদ
চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। তারপর রবি সেনের পুত্র নীলাদ্রি সেনের কাছে। এখন গুরু পন্ডিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তালিম নেয় সৃজনী।
এর মধ্যে সৃজনী পেয়েছে ‘সংগীত পিয়াসী’ পুরস্কার। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত পরপর তিন বছরই ‘মুরারি মোহন স্মৃতি পুরস্কার’ এ প্রথম। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের জুনিয়ার স্কলারশিপ সহ বেশ কিছু পুরস্কারও পেয়েছে এর মধ্যে।
ফুলবাগানের ছেলে কল্যানের যখন সবে তিন বছর বয়স, সুর শুনেই বলে দিতে
পারত তার নোটেশন। চার বছর বয়সে বাবা সেতার শিল্পী পন্ডিত শুভজিৎ মজুমদারের কাছে
সেতারে হাতেখড়ি কল্যানের। ছ-বছর বয়স থেকেই অনুষ্ঠানে তার সেতার বাদন দর্শকের মন
কেড়ে নেয়।
এরপর ২০১৫ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিওর যন্ত্র
সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে পায় রাষ্ট্রপতি পুরস্কার।
কল্যাণের পুরস্কারের ঝুলিটি একটু ভারী ই বটে। এছাড়াও কল্যাণ পেয়েছে
যন্ত্রসংগীতে ন্যাশনাল স্কলারশিপ, রবি কোপিকর মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড, দ্য টেলিগ্রাফ অ্যাওয়ার্ড এর মত আরো অনেক নামি দামি পুরস্কার।
কল্যাণ শুধু ভারতেই নয়, বিদেশেও সম্মোহিত করেছে অসংখ্য
দর্শককে তার সেতারের সুরের মূর্ছনায়। ছাত্র হিসেবেও কল্যাণ মেধাবী। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে অনার্স
পাশ করে মাস্টার্স অফ কম্পিউটার সায়েন্স পড়ছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
কল্যান মজুমদার
এরকম বহু অভিভাবকেরা সন্তানদের ইঁদুর দৌড়ের প্রতিযোগিতায় না নামিয়ে তাদের হাত
ধরে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন নতুন পথের দিকে। একটাই ইচ্ছে। পড়াশুনার ভার লাঘব হওয়ার সঙ্গে হবে সুস্থ
সংস্কৃতির মনের মানুষ। হয়তো এখান থেকেই উঠে আসবে আলি আকবর-রবি শংকরেরা। তারই
প্রস্তুতি ….।