ঠাকুরবাড়ি ও বাঈজি সংগীত

 অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায়  উনিশ শতকের মধ্যভাগে বাংলার সেই ইতিহাস লগ্ন৷ সাংস্কৃতিক নানা বিভাগেই সেই শতাব্দীর শেষার্ধে বিপুল প্রেরণা যুগিয়েছিল৷  কলকাতার তথা বাংলার সংগীত ক্ষেত্রেও তখন নব নব কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টিতে বিভোর৷  ভারতীয় সংগীতের মূল ধারা রাগ সঙ্গীতের চর্চায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে বাঙালি প্রতিভা৷ কলকাতায় খেয়াল ঠুংরির  সত্যিকারের চর্চা ও খানদান শুরু হয় ১৮৫৬ সালে যখন লক্ষ্মৌ থেকে নবাব ওয়াজেদ আলী শা মেটিয়াবুরুজে বন্দীজীবন কাটান  সঙ্গে আনা Read More …

ভারতীয় বাদ্যযন্ত্র ও যন্ত্রসঙ্গীতের সেকাল-একাল

ভারতীয় বাদ্যযন্ত্র ও যন্ত্রসঙ্গীতের সেকাল-একাল দেবাশিস মণ্ডল   মানুষের জীবনযাত্রা ও কর্মসূত্রে যেমন সংগীতের সৃষ্টি হয়েছিল, তেমনি মানুষের জীবন যুদ্ধের সঙ্গে যন্ত্রসংগীতের সম্পর্কেও জড়িয়ে আছে। শিকার, আত্মরক্ষা ও শিকারের প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরি করতে হয়েছিল। এইসব হাতিয়ারগুলি মানুষের প্রথম আবিষ্কার। আর এইসব হাতিয়ার থেকেই পরবর্তীকালে নানা ধরনের যন্ত্র তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে বাদ্যযন্ত্রও অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। টুকরো পাথর Read More …

আমার নৃত্যগুরু পদ্মশ্রী থিংবাইজম বাবু সিংহ

ডঃ সুমিত বসু, অধ্যাপক, সংগীত ভবন সালটা ছিল  ১৯৯১, ডিসেম্বর মাসের খুব ঠান্ডায় পৌছালাম মনিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল শহরে। অনেক রাত করে চলে এলাম প্রসিদ্ধ নাট্যব্যক্তিত্ব  পদ্মশ্রী রতন থিয়ামের বাড়িতে। সঙ্গে একটি চিঠি যেটি লিখে দিয়েছিলেন বিখ্যাত নৃত্য সমালোচক ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্য বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান ডঃ সুনীল কোঠারী জী। আমার খুব প্রিয় মানুষ। জহরলাল নেহেরু মনিপুর ডান্স আকাদেমিতে Read More …

কলকাতার শাস্ত্রীয় সঙ্গীত চর্চা

বিশ্বজিৎ নন্দী কলকাতা আমাদের প্রাণের শহর। বর্তমান ভারতের তথা সমগ্র বিশ্বের সংস্কৃতিচর্গর অন্যতম গীঠস্থান। আজকের কলকাতার এই সাংস্কৃতিক অবস্থান বহু বছরের নিরলস অধ্যাবসায়, পদ্ধতিগত তথা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শিক্ষাগ্রহণ চর্চ এবং তার বুদ্ধিদীপ্ত প্রয়োগ মাধূর্যের ফলেই সম্ভব হয়েছে। নান্দনিকতার উৎকৃষ্টতম অবস্থানে অনায়াস বিচরণকারী  শিল্পীদের সিংহভাগ কলকাতা কেন্দ্রীক। নদী কেন্দ্রিক এই শহরের সূচনাপর্ব সপ্তদশ শতাব্দীতে। ধীরে ধীরে কলেবর বৃদ্ধি হতে আনাগোনা বৃদ্ধি Read More …

গ্রাম্যসাহিত্য

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একদিন শ্রাবণের শেষে নৌকা করিয়া পাবনা রাজশাহীর মধ্যে ভ্রমণ করিতে-ছিলাম। মাঠ ঘাট সমস্ত জলে ডুবিয়াছে। ছোটো ছোটো গ্রামগুলি জলচর জীবের ভাসমান কুলায়পুঞ্জের মতো মাঝে মাঝে জাগিয়া আছে। কূলের রেখা দেখা যায় না, শুধু জল ছলছল করিতেছে। ইহার মধ্যে যখন সূর্য অস্ত যাইবে এমন সময়ে দেখা গেল প্রায় দশ-বারো জন লোক একখানি ডিঙি বাহিয়া আসিতেছে। তাহারা সকলে মিলিয়া উচ্চকণ্ঠে Read More …