মণিপুরী নৃত্যের জগতে গুরু দেবযানী চলিহার অবদান
Ahana Chakraborty
Research scholar
Department of Rabindra Sangi ,Dance and Drama
Sangit Bhavana, Visva Bharati University
e-mail id – mouchakrabortybolpur@gmail.com
শ্রীমতী দেবযানী চলিহার জীবনযাপন সম্পর্কে জানলে স্পষ্টতই বোঝা যায় যে তাঁর মধ্যে সুন্দরভাবে লালিত হয়েছে অসমিয়া, বাংলা ও মণিপুরী সংস্কৃতি ৷ আসামের শিবসাগরে চলিহা পরিবারের বসতি স্থাপনের পর্বটি শুরু হয়েছিল শ্রীমতী চলিহার পিতামহ শ্রী কালীপ্রসাদ চলিহার হাত ধরে৷ কর্মসূত্রে যিনি ছিলেন একজন স্বনামধন্য আইনজীবী। কালীপ্রসাদ চলিহার চার পুত্র ও পাঁচ কন্যার মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান যাদবপ্রসাদ চলিহাই হলেন শ্রীমতী দেবযানী চলিহার পিতা। কর্মসূত্রে যিনি আসাম এবং কোলকাতা উভয় স্থানেই যাতায়ত করতেন৷ শ্রীমতী দেবযানী চলিহার জন্ম থেকে অর্থাৎ ১৯৩৪ সাল থেকে ১৯৪৬ প্রায় একযুগ সময়ের মধ্যে লক্ষ্য করেছি, চারটি স্থানকে কেন্দ্র করে সমস্ত ঘটনাচক্র সজ্জিত৷
১৷ শিবসাগর
২৷ করঙ্গানি চা বাগান
৩৷ কোলকাতা
৪৷ শান্তিনিকেতন
একদম প্রাথমিক ছ’টা বছরে শৈশবে শিবসাগর এবং করঙ্গানি চা-বাগানে থাকার সময় দেখা যায় মূলত দুই ধরনের নাচ দেখে তাঁর কেটেছে৷
(১) চা-বাগানের যে সাঁওতালি শ্রমিকরা ছিলেন, তারা তাদের জীবনের প্রতিটি অনুষ্ঠানকে নৃত্যের মাধ্যমে উদযাপন করতেন ৷
(২) এছাড়া বিহু নাচ তো হয়েই থাকতো৷ যদিও এখনকার মতো এতো সম্মানের চোখে তাকে দেখা হতো না।৷
অতএব একেবারে ছোট্টবেলা থেকেই শিশুমনে নৃত্য-গীত, লেখালেখি প্রভৃতি সংস্কৃতির একটা সরল আনাগোনা শুরু হয়ে গেছিল ৷ এই ভালোলাগারই প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যাশিক্ষার হাতেখড়ি ঘটলো শান্তিনিকেতনে ৷ কিছু দিন শিখলেন মণিপুরী নৃত্য ৷ তাঁর গবেষিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারের বিবৃতি থেকে বলি –“তখন পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে নাচ এবং গান এই দুটোই আমাদের শেখানো হতো৷ ….. তখন নাচ শেখাতেন মণিপুরেরই একজন মাষ্টারমশাই যিনি এসেছিলেন, সেটা ছিল ১৯৪৩-৪৪। ওই সময় কে ছিলেন আজকে আমার মনে নেই, কিন্তু তখন সেই প্রথম মণিপুরী নাচ শিখেছিলাম ৷” এই অংশটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ৷ কারণ এই সময়ই তার প্রথম পরিচয় ঘটলো মণিপুরী নৃত্যের সঙ্গে৷ যে নৃত্যকে সঙ্গী করে হাঁটলেন জীবনের এতোগুলো বছর৷ শান্তিনিকেতনে সেই যে শুরু করেছিলেন তার সাধনাই করে গেছেন।তাঁর কথায় “প্রথম আমি মণিপুরী নাচই শিখেছি এবং আমার মণিপুরী নাচটাই ভালো লেগেছে৷ পরবর্তীকালে আমি সেই মণিপুরী নাচের খোঁজেই ঘুরে বেড়িয়েছি”- (শ্রীমতী দেবযানী চলিহার গবেষিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকার)।
শান্তিনিকেতনে দুবছর থাকার পর চতুর্থ শ্রেণী অবধি পড়া শেষ করে ফিরলেন কোলকাতায়৷ পড়শোনার পাশাপাশি নাচ-গানের প্রতি ঝোঁক থাকায় মায়ের হাত ধরে ভর্তি হলেন ‘বাণী বিদ্যাবীথি’ নামক একটি নৃত্য-গীতের স্কুলে৷ তাঁর কথায় “…কোলকাতাতে এসে, এখানে, নাচের প্রতি আমার যে আগ্রহ সেটা আমার মা খুব উপলব্ধি করতেন এবং আমাকে একটা নাচের স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিলেন৷ সেই স্কুল ছিল বানী বিদ্যাবীথি৷ সেখানে তখন কিন্তু স্পেশালাইজেশন ছিল না৷ নাচ শেখা মানে সবরকম নাচ শেখা৷ একটু মণিপুরী, একটু ভরতনাট্যম, একটু কথাকলি – সেরকম করেই নাচ শেখানো হতো৷ তো সেখানে মণিপুরী নাচ শিখেছিলাম, রাজেন বসুর কাছে৷ প্রহ্লাদ দাসের কাছে ভরতনাট্যম শিখেছিলাম, কথাকলি শিখেছিলাম”- (শ্রীমতী দেবযানী চলিহার গবেষিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকার)।
ম্যাট্রিক (১৯৫০) পাশ করার পর আশুতোষ কলেজে পড়ার সময় সহপাঠী হিসেবে পেলেন ভানু সিংহ নামের একটি মেয়েকে। তাই বারংবার কাকতালীয় ভাবে সমস্ত যোগসূত্র সৃষ্টি হয়েছে। জন্মসূত্রে ভানু সিংহ ছিলেন প্রখ্যাত মণিপুরী নৃত্যগুরু ব্রজবাসী সিংহের কন্যা। তাই বন্ধুর বাড়ি যাতায়াতের সূত্র ধরেই আবার শুরু হলো নৃত্যচর্চা, রানি শঙ্করী লেনে তাদের বাড়িতে ‘নৃত্যবিতান’ নামক প্রতিষ্ঠানে।
১৯৫৫ সালে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ পড়ার সময় দিল্লিতে একটি ‘ইন্টার ইউনিভার্সিটি ইয়ুথ ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজিত হয়েছিল। সেখানে মণিপুরী নৃত্যের প্রতিনিধিত্ব করেন শ্রীমতী দেবযানী চলিহা। সেখানেই গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মণিপুরী নৃত্যে প্রতিনিধিত্ব করেন একটি মেয়ে। দর্শকাসনে তার নাচ দেখে শ্রীমতী চলিহা অনুভব করেন ইতিমধ্যে তিনি মণিপুরী নৃত্যের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন ঠিকই তবে এর আসল রূপটি এখনো তাঁর কাছে অধরাই থেকে গেছে। এই স্থান থেকেই যেনো তাঁর মনে এই নৃত্যের আসল রুপটিকে খোঁজার, চেনার, জানার এক অদম্য ইচ্ছার সূত্রপাত ঘটলো।
১৯৫৬ সালে এম এ পরীক্ষা হবার পর রেজাল্ট বেরোনোর আগেই সদ্য শুরু হওয়া ‘আকাদেমি অফ ডান্স ড্রামা অ্যান্ড মিউজিক’ নামক যে সরকারী সংগঠন ললিতকলার চর্চায় উন্মোচিত হয়েছিল শ্রীমতী চলিহা সেখানে যোগদান করলেন। সেখানে তখন নৃত্য বিভাগের ডিন ছিলেন শ্রী উদয়শংকর। নৃত্যলোকের রাজপুত্রের সঙ্গে এখানেই যেন স্থাপিত হলো এক মধুর সম্পর্ক। শ্রীমতী চলিহা তাঁকে ‘দাদা’ সম্বোধন করেন। মণিপুরী নৃত্যের প্রতি শ্রীমতী চলিহার ঝোঁক লক্ষ্য করেই যেনো একটি বিশেষ প্রস্তাব দিলেন তিনি। বললেন – মা বাবার অনুমতি থাকলে মণিপুরে গিয়ে মণিপুরী নৃত্য শিখে আসতে। তবেই এই নাচের আসল বা মূল রূপটি শেখা যাবে যথাযথ ভাবে। কীভাবে ও কোথায় শিখলে ভালো হবে তাও বলে দিলেন। উদয়শংকর যেনো তাঁর মানসচক্ষে দেখেছিলেন কীভাবে সেদিনের মিনাক্ষী ভবিষ্যতের ‘দেবযানী’ মণিপুরী নৃত্য জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র রূপে নিজেকে বিকশিত করবে।
মণিপুরে শ্রীমতী চলিহা ছিলেন প্রায় আড়াই বছর মতো। ১৯৫৭ তে যান এবং ১৯৫৯ এ ফিরে আসেন। খুব ধরে ধরে প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সঠিক চালনা ও তাদের অবস্থান ঠিক হবার পরই শুরু হয়েছিল আসল নৃত্যশিক্ষা। দাঁড়ানোর ভঙ্গি, স্বাভাবিক চলাফেরা, শরীর থেকে হাতের দূরত্ব, হাতের অবস্থান, হাতের আঙুলের অবস্থান, থুতনি ও ঘাড়ের অবস্থান ইত্যাদি প্রতিটি সূক্ষ্ম বিষয় গুরু অমুবির নজর এড়াতো না। অতএব নৃত্যের ভঙ্গি সম্পর্কেও তার প্রতিটি খুঁটিনাটি সম্পর্কে তাঁর যে চুলচেরা বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা এটিই বোধ হয় পরবর্তীতে শ্রীমতি চলিহাকে সাহায্য করেছিল তার ছাত্রছাত্রীদের প্রতিটি ক্ষুদ্র ধাপের মাধ্যমে এই নৃত্যের শিক্ষা দানের ক্ষেত্রে।
তাঁর প্রতিষ্ঠিত নৃত্যপ্রতিষ্ঠান ‘মৈতৈ জগোই’ মণিপুরী নৃত্যের প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে মণিপুরের বাইরে তথা বাংলায় একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান। নৃত্যশিক্ষক হিসেবে তিনি নিজ গুরু মাইস্নাম অমুবী সিং এর ঘরানাকেই অনুসরণ করেছেন এবং প্রথাগত মণিপুরী নৃত্যকে পরবর্তী প্রজন্মের হাতে অবিকৃত অবস্থায় পৌঁছে দেবার গুরু দায়িত্বটি পালন করেছেন।‘মৈতৈ জগোই’ এর সূচনা হয়েছিল ১৯৭১ সালে। এখানে ‘মৈতৈ জগোই’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কোলকাতায় বা সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে বাংলায় মণিপুরী নৃত্য চর্চা, প্রচার ও প্রসারের একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন হলো। গুরু অমুবির নৃত্য ঘরানার ধাঁচে শ্রীমতী চলিহার হাত ধরে তৈরী হতে লাগলো প্রচুর ছাত্রী।
এইবার আসা যাক নাচ শেখানোর বৈশিষ্ট্য প্রসঙ্গে। শ্রী অমুবি সিং এর নৃত্যশিক্ষাদান পদ্ধতি যেমন নিশ্ছিদ্র ছিল তাঁর যোগ্য শিষ্যা রূপে শ্রীমতী চলিহাও তৈরী করেছিলেন একটি পঞ্চস্তর বিশিষ্ট প্রণালী যার মধ্য দিয়ে গিয়ে প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর শরীর ও মন মণিপুরী নৃত্যপযোগী হয়ে উঠতো সহজেই। এই স্তরগুলি হল –
১। ব্যায়াম অভ্যাস (এর ধারণা পেয়েছিলেন কুলদা ভট্টাচার্যের কাছে। এর মধ্যে একটি শিখেছিলেন শ্রী তরুণ কুমারের কাছে, বাকি গুলি নিজে সংযোজন করেন )।
২। যোগাসন অভ্যাস।
৩। রিদিমিক্স স্তর বা তালের এক্সারসাইজ।
৪। ছোট ছোট স্টেপ অভ্যেস
৫। তালের প্র্যাকটিস।
এই পাঁচটি স্তর অতিক্রম করে একটি ছাত্র/ছাত্রী চালি নাচ (বেসিক মণিপুরী নাচ) শেখার উপযুক্ত পর্যায়ে উপনীত হয়। ‘মৈতৈ জগোই’ একটি বৈতনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই গড়ে উঠেছিল তবে ‘মৈতৈ জগোই’ মুক্ত শিক্ষালয় হিসেবে পথচলা শুরু করেছিল ১৯৭৯ এ। শ্রীমতী রেখা বসু অর্থাৎ শ্রীমতী দেবযানী চলিহার দিদি ‘সর্বহারা শিশুতীর্থ’ নামের একটি নন ফরমাল অবৈতানিক স্কুল শুরু করেছিলেন পথ শিশুদের ও বস্তির বাচ্চাদের নিয়ে। সেই বাচ্চাদের শ্রীমতী চলিহা অবৈতনিক ভাবে নৃত্যশিক্ষা দানের মহৎ কর্মযজ্ঞ শুরু করেন।
গুরুর কাছে শেখা বিদ্যার যথাযথ প্রয়োগ ও চর্চার দ্বারা নৃত্য শিক্ষাদান ছাড়াও নিজেকে ও দর্শক তথা অন্যদের সমৃদ্ধ করার কাজটি তিনি করেছেন দায়িত্ব সহকারে। এই ব্যাপারে ‘অন্তরঙ্গ দেবযানী’ বইতে অধ্যাপক শ্রী আবুল আহসান চৌধুরীকে জানিয়েছেন, ১১৩ ও ১১৫ নং পৃষ্ঠা থেকে পাই –“কলকাতায় কলামন্দিরে নৃত্য পরিবেশনার পরে, কলকাতাতেই ম্যাক্সমুলার ভবনে এবং বিভিন্ন জায়গায় আমাদের নিমন্ত্রণ করা হয় নৃত্য পরিবেশনের জন্য। তারপরে আমরা নিজেরা একটা আসাম ট্যুর organize করেছিলাম। অসম ও মেঘালয় থেকে আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। শিলং, গৌহাটি, ডিব্রগড়, তেজপুর তারপরে ডিগবয়, নলবাড়ি অনেক জায়গাতে আমরা ট্যুর করেছিলাম। … ৭৪ এর একেবারে গোড়ার দিকে হবে। ফখরুদ্দিন আলি আহমদ যখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন …. তখন দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে মানে ওনার রাষ্ট্রীয় বাসভবনে নৃত্যপরিবেশন করার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম।” আরও বলেছেন “…. তখন মাদ্রাজই বলতো …. তারপরে বোম্বে – আমি এগুলোতে গিয়েছি, কিন্তু দল নিয়ে আমি যাইনি। তখন দল নিয়ে যাওয়ার প্রশ্ন উঠতো না, কেননা আমি যখন শুরু করেছিলাম তখন আমি ছাড়া কেউই নাচতে জানতো না। তারপরে আমার ছাত্রীরা যখন নাচ শিখলো তখন তাদেরকে নিয়ে আমি অনুষ্ঠান করতাম – তার আগে আমি একক নৃত্যই পরিবেশন করতাম।”
এতো গেলো কলকাতা, বাংলা তথা ভারতবর্ষের কথা। তবে শুধু এখানেই তিনি থেমে থাকেননি মণিপুরী নৃত্যকে দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে প্রচারের কাজটিও করেছেন যত্ন সহকারে। ১৯৭৪ সালে আমেরিকায় ওয়াশিংটন ডিসিতে এছাড়া সুইজারল্যান্ড এর জুরিখে, ২০০০ সালে শ্রীলঙ্কায় এলফিনস্টোন হলে, এছাড়া বাংলাদেশের মতো জায়গাগুলিতে তিনি তাঁর নৃত্যের জাদুতে মাতিয়েছেন দর্শকহৃদয়।
১৯৯২ থেকে ১৯৯৪ এই দুই বছর রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মণিপুরী নৃত্য বিভাগের অধ্যাপিকা হিসেবে যুক্ত হন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়েও সঙ্গীত ভবনে রবীন্দ্র সঙ্গীত নৃত্য ও নাট্য বিভাগে পাঠসমিতি, মডারেশেন কমিটিতে পরীক্ষা সংক্রান্ত ও শিক্ষা সম্বন্ধীয় কাজে যুক্ত থেকেছেন বহুদিন। আজও পর্যন্ত এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যবিভাগের সঙ্গে অবিচ্ছিন্নভাবে যুক্ত রয়েছেন। ১৯৩৪ থেকে ২০২১ সাল জীবনের দীর্ঘ সাতাশিটি বছরের মধ্যে প্রায় চৌষট্টি বছর যাবৎ তাঁর শাস্ত্রীয় মণিপুরী নৃত্যচর্চা ও পঞ্চাশ বছরের নৃত্য শিক্ষকতার জীবনে তাঁর এই নৃত্যের জগতে অবদান সত্যিই অনস্বীকার্য৷ মণিপুরী নাচকে মণিপুরের বাইরে বাংলায়, ভারতে তথা বর্হিবিশ্বে প্রচার ও প্রসারের কাজে দেবযানী চলিহা একটি উজ্জ্বল নাম৷
Bibliography :-
1.Choudhury Abul Ahsan. Antaranga Devjani: published by- Mohammad
mizanur Rahman, Shova prakash,38/4 Banglabazar, Mannan market, Dhaka 1100, Bangladesh. lSBN- 984 70084 04178.
2. Documentary on Guru Shrimati Devjani Chaliha “Nrityer Tale Tale” by Indrajit Narayan and Sudip Mirdha.
3.Chowdhurie Tapati.(18 oct 2016) The Hindu Friday Review. ‘Mould it like Manipuri.
4.Chaliha Devjani.(2015) Maisnam Amubi Singh, (Jawaharlal Nehru Manipur Dance Academy). Printed at Iboyaima printers, Moirangkhom Loklaobung Imphal.
5. Interview of shrimati Devjani Chaliha by Miss Ahana Chakraborty. (11/04/2021)