কখন যেন
শংকর কুশারী
সবার চোখের অলক্ষ্যে, সবার অজান্তে,
কখন যেন মরে গেলো মেয়েটা
মেয়েটা অমলকান্তি হতে চেয়েছিলো,
অমলকান্তির মতো রোদ্দুর হতে চেয়েছিলো ।
মেঘেদের সাথে লড়াই করে
রোদ্দুর ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলো
এই বন্ধ্যা জমির বুকে ।
রোদ্দুরে ভরিয়ে দিতে চেয়েছিলো
আকাশের সুনীল ক্যানভাস ।
বাঁচতে চেয়েছিলো, বাঁচাতে চেয়েছিলো
এই সবুজ পৃথিবীটাকে ।
লড়াই করতে করতে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত শরীরটা
দুমড়ে মুচড়ে গেছিলো অসহ্য যন্ত্রণায়।
প্রাণপণ লড়াইয়ের শেষে
তার নিস্পন্দ শরীরটা পড়ে রইলো অনাদরে
তার বড়ো সাধের সাধনাস্থলের এক কোনে ।
মরে গেলো মেয়েটা ।
সুদূর নীহারিকা মন্ডলের গোপন কুলুঙ্গিতে
থেকে গেলো শুধু শেষ কটা কথা …
“রাতের খাওয়াটা এবারে খেয়ে নাও মা,
আর দেরি কোরো না .. বাপিকে বোলো
সুগারের ওষুধটা যেন ভুলে না যায়” …
মেয়েটা,
আমাদের মেয়েটা শেষমেশ মরেই গেলো ।
এবং
তার চিতাভস্ম থেকে জন্ম নিলো
এক অবশ্যম্ভাবী অনাবিল অনন্ত দ্রোহকাল ।