January 1, 2026

নববর্ষের ইতিহাস, বিশ্বাস, প্রথা ও সংকল্প ও ২০২৫ এর উল্লেখযোগ্য ঘটনা

LOKOGANDHAR ISSN : 2582-2705
Indigenous Art & Culture

নববর্ষ আশার ও আনন্দের এক নতুন ঋতু নিয়ে আসে। এটি আমাদের প্রিয় মানুষদের সঙ্গে নতুন করে শুরু করার সূচনার প্রতীক। যদিও আমরা অনেক সময় কয়েক দিনের মধ্যেই নববর্ষের সংকল্প ভেঙে ফেলি, তবু প্রতি বছর নতুন করে সংকল্প গ্রহণ করি—এই আশায় যে এবার তা স্থায়ী হবে।

আজকের দিনে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ১ জানুয়ারি নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়, যা প্রায় সারা বিশ্বেই অনুসৃত। কিন্তু সব সময় এমন ছিল না।

কীভাবে জানুয়ারি নববর্ষের দিন হয়ে উঠল?

নববর্ষ উদ্‌যাপনের ইতিহাস প্রায় চার হাজার বছরের পুরোনো—খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ২০০০ অব্দে ব্যাবিলনীয় সভ্যতা থেকেই এর সূচনা। সে সময় বসন্ত বিষুবের পরে, মার্চ মাসের মাঝামাঝি প্রথম পূর্ণিমার পর নববর্ষ পালিত হতো। তখন এটি ‘আকিতু’ নামে ১১ দিনব্যাপী উৎসব ছিল, যার প্রতিটি দিনের আলাদা আলাদা আচার-অনুষ্ঠান ছিল। এই উৎসবের মাধ্যমে আকাশদেবতা মারডুকের সমুদ্রদেবী তিয়ামতের উপর পৌরাণিক বিজয় উদ্‌যাপন করা হতো। এই উপলক্ষে নতুন রাজাকে সিংহাসনে বসানো হতো অথবা পুরোনো রাজাকে শাসন চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হতো।

বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতায় ভিন্ন ভিন্ন তারিখে নববর্ষ পালিত হতো। মিশরীয়, ফিনিশীয় ও পারসিকরা শরৎ বিষুবের (২১ সেপ্টেম্বর) দিনে নববর্ষ পালন করত, আর গ্রিকরা শীত অয়নান্তে (২১ ডিসেম্বর) নববর্ষ উদ্‌যাপন করত।

প্রাচীন রোমান ক্যালেন্ডারে মাত্র ১০টি মাস ছিল—মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর নামগুলির মধ্যেই এর প্রমাণ পাওয়া যায়। বর্তমানে আমাদের নবম থেকে দ্বাদশ মাস একসময় সপ্তম থেকে দশম মাস ছিল। লাতিন ভাষায় ‘সেপ্টেম’ মানে সাত, ‘অক্টো’ মানে আট, ‘নোভেম’ মানে নয় এবং ‘ডেসেম’ মানে দশ।

খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৭০০ অব্দে রোমের দ্বিতীয় রাজা নুমা পম্পিলিয়াস জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাস ক্যালেন্ডারে যুক্ত করেন। জানুস নামক দেবতার সম্মানে জানুয়ারি মাসের নামকরণ হয়। জানুসের দুটি মুখ—একটি অতীতের দিকে, অন্যটি ভবিষ্যতের দিকে। তিনি দ্বার ও সূচনার দেবতা।

খ্রিস্টপূর্ব ১৫৩ সালে প্রথমবার ১ জানুয়ারি নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। মার্চের বদলে জানুয়ারিকে নাগরিক বর্ষের সূচনা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে এই সিদ্ধান্ত বহুদিন সাধারণ মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্য হয়নি, ফলে দীর্ঘদিন মার্চের ১ তারিখেই নববর্ষ পালিত হতে থাকে।

খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ সালে জুলিয়াস সিজার একটি উন্নত সৌর ক্যালেন্ডার চালু করেন—যা ‘জুলিয়ান ক্যালেন্ডার’ নামে পরিচিত। এতে ১ জানুয়ারি নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি পায় এবং রোমান সাম্রাজ্যে এটি নিয়মিতভাবে অনুসৃত হতে থাকে।

মধ্যযুগীয় ইউরোপে এই উদ্‌যাপনকে পৌত্তলিক ও অখ্রিস্টীয় বলে মনে করা হতো। ৫৬৭ খ্রিস্টাব্দে ‘কাউন্সিল অব ট্যুরস’ ১ জানুয়ারিকে নববর্ষের দিন হিসেবে বাতিল করে দেয়। তখন বড়দিন (২৫ ডিসেম্বর), ১ মার্চ, ২৫ মার্চ ও ইস্টারের দিনে নববর্ষ পালিত হতো।

অবশেষে ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করা হলে ১ জানুয়ারি আবার নববর্ষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ক্যালেন্ডারে ১২টি অসম দৈর্ঘ্যের মাস রয়েছে—কখনও ৩০, কখনও ৩১ দিন। ফেব্রুয়ারিতে ২৮ দিন এবং প্রতি চার বছরে একবার ২৯ দিন হয়, যাকে অধিবর্ষ বলা হয়।

ধীরে ধীরে বিভিন্ন দেশ এই ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে—স্কটল্যান্ড (১৬৬০), জার্মানি ও ডেনমার্ক (১৭০০ নাগাদ), ইংল্যান্ড (১৭৫২) এবং রাশিয়া (১৯১৮)। তবে যেসব সংস্কৃতি এখনও চন্দ্রভিত্তিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে, তারা জানুয়ারির ১ তারিখ ছাড়া অন্য দিন নববর্ষ পালন করে।

উদাহরণস্বরূপ—

  • ইহুদি ক্যালেন্ডারে রোশ হাশানাহ (তিশরি মাস) নববর্ষ, যা সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে পড়ে।
  • ইসলামি ক্যালেন্ডারে মুহাররম মাস দিয়ে নতুন বছর শুরু হয়।
  • চীনা নববর্ষ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এক মাস ধরে পালিত হয়।
  • দক্ষিণ ভারতে তামিলরা শীত অয়নান্তে নববর্ষ পালন করে।
  • তিব্বতে ফেব্রুয়ারিতে নববর্ষ পালিত হয়।
  • থাইল্যান্ডে মার্চ বা এপ্রিল মাসে নববর্ষ পালিত হয়।
  • ইথিওপিয়ায় সেপ্টেম্বর মাসে ‘এনকুতাতাশ’ নামে নববর্ষ পালিত হয়।
  • জাপানে ১ জানুয়ারি থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত নববর্ষ উদ্‌যাপন চলে।

বিশ্বজুড়ে নববর্ষ উদ্‌যাপন

প্রতিটি সংস্কৃতির নববর্ষ পালনের ধরন আলাদা। অনেকেই বিশ্বাস করেন, বছরের প্রথম দিনে যা করা হয়, তা পুরো বছরজুড়েই প্রভাব ফেলে। আবার কেউ কেউ মনে করেন, ওই দিনে খাওয়া খাবার বা পরা পোশাক ভবিষ্যৎ বছরকে নির্ধারণ করে।

যুক্তরাষ্ট্রে ‘হপিন জন’ নামের একটি খাবার (কালো মটর, শুয়োরের মাংস ও ভাত) সৌভাগ্যের প্রতীক। ফিলিপিন্সে মধ্যরাতে ১২টি ফল খাওয়ার প্রথা আছে। ব্রাজিলে শান্তি ও সৌভাগ্যের জন্য সবাই সাদা পোশাক পরে। ডেনমার্কে মানুষ একে অপরের দরজায় বাসন ভাঙে। স্পেনে মধ্যরাতে ১২টি আঙুর খাওয়ার রীতি আছে। গ্রিসে সৌভাগ্যের জন্য দরজায় পেঁয়াজ ঝোলানো হয়। জাপানে ‘তোশিকোশি সোবা’ খাওয়া হয় দীর্ঘায়ু ও দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে।

এইসব বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিই নববর্ষকে বিশ্বব্যাপী এক অনন্য উৎসবে পরিণত করেছে।

নববর্ষের সংকল্প কী?

বিশ্বজুড়ে বহু মানুষ ১ জানুয়ারি নতুন সংকল্প গ্রহণ করে। মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটি ‘ফ্রেশ-স্টার্ট ইফেক্ট’-এর সঙ্গে যুক্ত। নতুন বছর মানে নতুন অধ্যায়—এই ভাবনাই মানুষকে পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে নেয়।

সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রায় ৩৫% মানুষ তাদের সব সংকল্প পালন করতে সক্ষম হয় এবং ৫০% মানুষ আংশিকভাবে সফল হয়। সঠিকভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করলে এবং ইতিবাচক অভ্যাসের দিকে মনোযোগ দিলে সংকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব।

নববর্ষ মানেই সম্পূর্ণ বদলে যাওয়া নয়; এটি এক নতুন সূচনা, এক পরিষ্কার খাতা। নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার সুযোগ।

নববর্ষ বিশ্বজুড়ে কেবল একটি দিন নয়, বরং সংস্কৃতি, বিশ্বাস লোকাচারের মিলনস্থল। ভিন্ন ভিন্ন আচার থাকলেও সব দেশের মূল ভাবনা এক—নতুন সূচনা, আশা ও আনন্দ।

বিশ্বে নববর্ষ উদ্‌যাপনের ভিন্নধর্মী অনুষ্ঠান হয়ে থাকে

যুক্তরাষ্ট্র (নিউ ইয়র্ক)
টাইমস স্কোয়ারে মধ্যরাতে বিশাল আলোকিত বল ধীরে ধীরে নামানো হয় (Ball Drop)। আতশবাজি, সঙ্গীত ও কাউন্টডাউন এই অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ।

স্পেন
মধ্যরাতে ঘড়ির ১২টি ঘণ্টাধ্বনির সঙ্গে সঙ্গে ১২টি আঙুর খাওয়ার প্রথা আছে। এটি সৌভাগ্যের প্রতীক।

ডেনমার্ক
মানুষ একে অপরের বাড়ির দরজার সামনে পুরোনো বাসনপত্র ভেঙে দেয়। যত বেশি ভাঙা বাসন, তত বেশি সৌভাগ্য ও বন্ধুত্বের প্রতীক।

ব্রাজিল
মানুষ সাদা পোশাক পরে সমুদ্রতীরে সমবেত হয়। শান্তি ও সৌভাগ্যের আশায় সমুদ্রে ফুল ও মোমবাতি ভাসানো হয়।

ফিলিপাইন
মধ্যরাতে ১২ ধরনের গোলাকৃতি ফল খাওয়া হয়—১২ মাসে সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে।

জাপান
নববর্ষে মন্দিরে ঘণ্টা ১০৮ বার বাজানো হয় (জোয়া নো কানেনে), যা মানবিক লোভ ও দোষ দূর করার প্রতীক। ‘তোশিকোশি সোবা’ খাওয়ার প্রথাও রয়েছে।

চীন
চন্দ্র নববর্ষে ড্রাগন নৃত্য, সিংহ নৃত্য, লাল লণ্ঠন, আতশবাজি ও পারিবারিক ভোজ হয়। উৎসবটি প্রায় ১৫ দিন স্থায়ী।

রাশিয়া
ক্রিসমাস নিষিদ্ধ থাকার সময় থেকেই নববর্ষ উপহার বিনিময়ের প্রধান উৎসব হয়ে ওঠে। পরিবারকেন্দ্রিক আনন্দ ও উপহার দেওয়া হয়।

গ্রিস
বাড়ির দরজায় পেঁয়াজ ঝোলানো হয়—সমৃদ্ধি ও নতুন জীবনের প্রতীক হিসেবে।

আয়ারল্যান্ড
লোকজন রুটির লাঠি বা রুটি দিয়ে দরজায় আঘাত করে—অশুভ শক্তি দূর করার প্রতীক।

চিলি
কবরস্থানে নববর্ষ উদ্‌যাপন করা হয়, প্রয়াত আত্মীয়দের স্মরণে।

পুয়ের্তো রিকো
বাড়ির বাইরে বালতি ভরা জল ছুড়ে অশুভ শক্তি তাড়ানোর রীতি আছে।

সিঙ্গাপুর
সিঙ্গাপুর নদীতে ‘উইশিং স্ফিয়ার’ ভাসানো হয়—ইচ্ছা ও স্বপ্নের প্রতীক হিসেবে।

থাইল্যান্ড
এপ্রিল মাসে ‘সঙ্‌ক্রান’ জল উৎসবের মাধ্যমে নববর্ষ পালিত হয়।

ভারত
ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন নামে নববর্ষ পালিত হয়—
পয়লা বৈশাখ (বাংলা), উগাদি (অন্ধ্র–কর্ণাটক), বিশু (কেরল), বৈশাখী (পাঞ্জাব), গুড়ি পাড়োয়া (মহারাষ্ট্র) ইত্যাদি।

বিভিন্ন দেশে নববর্ষ উদ্‌যাপনের তারিখ

দেশ / অঞ্চলনববর্ষের নামউদ্‌যাপনের তারিখ
আন্তর্জাতিক (বেশিরভাগ দেশ)New Year’s Day১ জানুয়ারি
চীনচীনা নববর্ষজানুয়ারি শেষ / ফেব্রুয়ারি শুরু
জাপানশোগাতসু১ জানুয়ারি
কোরিয়াসেওল্লালজানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি
ভিয়েতনামতেতজানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি
তিব্বতলোসারফেব্রুয়ারি
ইসরায়েল (ইহুদি)রোশ হাশানাহসেপ্টেম্বর–অক্টোবর
ইসলামি দেশসমূহহিজরি নববর্ষমুহাররম মাসের ১ তারিখ
ইথিওপিয়াএনকুতাতাশ১১ বা ১২ সেপ্টেম্বর
থাইল্যান্ডসঙ্‌ক্রানএপ্রিল
মিয়ানমারথিংয়ানএপ্রিল
কম্বোডিয়াখমের নববর্ষএপ্রিল
লাওসপি মাইএপ্রিল
ভারত (পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ)পয়লা বৈশাখ১৪ / ১৫ এপ্রিল
তামিলনাড়ুপুথান্ডু১৪ এপ্রিল
কেরলবিশু১৪ এপ্রিল
পাঞ্জাববৈশাখী১৩ / ১৪ এপ্রিল
মহারাষ্ট্রগুড়ি পাড়োয়ামার্চ–এপ্রিল
অন্ধ্রপ্রদেশ / কর্ণাটকউগাদিমার্চ–এপ্রিল
নেপালবিক্রম সংবৎ নববর্ষ১৪ এপ্রিল
শ্রীলঙ্কাআলুথ আভুরুড্দা১৩ / ১৪ এপ্রিল
গ্রিস (ঐতিহ্যগত)ঐতিহ্যবাহী নববর্ষ১ জানুয়ারি

আন্তর্জাতিক বিশ্বব্যাপী ঘটনা

  1. Gaza যুদ্ধ শরণার্থী সংকট — দুই বছরের সংঘর্ষের পর ইসরাইল–হামাস যুদ্ধমানবিক সংকট বছরের বড় বিষয় ছিল, বিশ্ব নেতৃত্বের প্রচেষ্টা শান্তি পরিকল্পনার দিকে যায়।
  2. ইসরাইল–ইরান উত্তেজনা (Operation Rising Lion) — জুনে ইসরায়েল কর্তৃক ইরানের পারমাণবিক সুবিধা ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা, মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি তীব্র করে।
  3. COP30 জলবায়ু সম্মেলন, ব্রাজিল — নভেম্বরে অ্যামাজন-এগ্রিন এলাকায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলন, বিশ্ব গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাস লক্ষ্য নিয়ে আলোচনায় গুরুত্ব পায়।
  4. G20 শীর্ষ সম্মেলন, দক্ষিণ আফ্রিকা — নভেম্বরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক শীর্ষ বৈঠক বিষমতা, ঋণ সমস্যা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনায় গুরুত্ব পায়।
  5. 47তম ASEAN শীর্ষ সম্মেলন, মালয়েশিয়া — অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে আয়োজিত এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে অঞ্চলের নানা কৌশলগত ইস্যু ও পরিবেশ–সততা আলোচ্য ছিল।

গুরুত্বপূর্ণ দেশ-উপস্থাপিত ঘটনা

  1. ভারতের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস — ১৫ আগস্ট ২০২৫-এ উদ্‌যাপিত স্বাধীনতার ৭৯ তম বার্ষিকী।
  2. ভারতের বৈজ্ঞানিক-প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আন্তর্জাতিক প্রভাব — প্রধানমন্ত্রী মোদির বক্তব্য অনুযায়ী ২০২৫ সালে ভারতের বৈজ্ঞানিক, নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক প্রভাব আরও দৃঢ় হয়েছে।

বিজ্ঞান, মহাকাশ প্রযুক্তি

  1. চাঁদে সফল ল্যান্ডিং মহাকাশ গবেষণা
    Blue Ghost Mission 1 এবং Intuitive Machines IM-2 অনেক তথ্য সংগ্রহ করে সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করে।
    Lucy মহাকাশযান অ্যাস্টেরয়েডের ছবি সংগ্রহ করে।
    NASA-ISRO NISARSentinel প্রজেক্টগুলো পৃথিবীর পর্যবেক্ষণে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখে।
    • নভেম্বরে ESCAPADE মহাকাশযান মঙ্গল গ্রহের পরিবেশ গবেষণায় চালু হয়।

🇧🇩 বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক সামাজিক ঘটনা

  1. July Revolution সম্পর্কিত আনুষ্ঠানিকতা পালিত দিন — জুন–জুলাই মাসে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্মৃতিকেন্দ্রিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্ব ছিল।
  2. Hefazat-e-Islam গ্র্যান্ড র‍্যালি, ঢাকা — ৩ মে ২০২৫ সালে সুহরাওয়ার্দী উদ্যান অনুষ্ঠিত একটি বিশাল রাজনৈতিক মিছিল ও ঘোষণা।
  3. ডিসেম্বর ২০২৫ এর গণআন্দোলন সহিংসতা — ১২–২১ ডিসেম্বর ঢাকায় একটি যুবার হত্যাকাণ্ডের পর ব্যাপক বিক্ষোভ ও অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে পার্লামেন্ট পাড় পর্যন্ত আন্দোলন পৌঁছায়।

প্রকৃতি দুর্যোগ

  1. বাংলাদেশে ভূমিকম্প (২১ নভে ২০২৫) — নরসিংদীর কাছে ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্প, এতে বহু মানুষ আহত ও কিছু প্রাণহানি ঘটে।

প্রযুক্তি সামাজিক ঘটনা

  1. বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট টেক সার্ভিস বিভ্রাট — AWS, PlayStation Network, Cloudflare এবং Vodafone–এর সেবা ব্যাহত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল পরিষেবায় সমস্যা হয়।
  2. Capgemini-বিশাল কর্মী নিয়োগ ঘোষণা — প্রযুক্তি খাতে বড় একটি নিয়োগ ঘোষণা যা বৈশ্বিক চাকরির বাজারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

২০২৫-এর উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার

ক্ষেত্রউল্লেখযোগ্য আবিষ্কার
মহাকাশMoM-z14 গ্যালাক্সি, নতুন ব্ল্যাক হোল তথ্য, এক্সোপ্ল্যানেট/মহাকাশ বস্তু
চিকিৎসাব্যক্তিগত CRISPR থেরাপি, ল্যাব-এ তৈরি টিস্যু/অঙ্গ, AI-ডায়গনোসটিক
প্রযুক্তিউন্নত কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, AI-চালিত ল্যাব কাজ
শক্তিফিউশন শক্তি অগ্রগতি, কোয়ান্টাম ব্যাটারি
প্রাকৃতিক বিজ্ঞানডাইনোসর আঙুলছাপ – প্রাচীন জীবাশ্ম আবিষ্কার