May 1, 2023

Use of Music and Modernity in Rabindranath’s Plays, Stories and Poems

LOKOGANDHAR ISSN : 2582-2705
Indigenous Art & Culture

-Arunavo Roy

Abstract :

Rabindranath, as a poet, independently composed songs and set them to music. Rabindranath
relentlessly composed songs in parallel lines of poetry like love, nature, worship, homeland,
etc. In melodious poetry, he has also applied the variety of the poem while maintaining the
sense of the poetic image. In addition to this, Rabindranath’s dramatic literature is prolific,
and almost from the early stages of his life, the poet has used music sparingly to mellow the
drama. In fact, music played a prominent role in all categories of his plays: dramas, social
drama, and full-length drama. Also, the music in drama was not only applied merely for
entertainment but for the deeper needs of poetry. For example, in the play ‘Raktakarvi’ (1926)
‘Tomay Gan Shonabo’… in the voice of Bishu Pagal.
Also, the skill and modernity of his novels are refined in the readability of the reader.
Novelist Rabindranath and short-story writer Rabindranath are often side by side, so close
that ‘Nasthanir’ is a novelistic short story and ‘Chaturanga’ (1894) is a short-story novel. On
the other hand, in the poem ‘Gan Arambh’, he identified the poet’s early life as a pursuit of
music. The poet’s writing transcended the words into melody, and that melody did not follow
the conventional form of the song; it was an additional dimension of poetry reading itself. For
example, in the poem ‘Ke’, the lines
‘Amar praner pore chole gelo ke…’

রবীন্দ্রনাথের নাটক, গল্প ও কবিতায় সংগীতের প্রয়োগ ও আধুনিকতা

অরুণাভ রায়

ভূমিকা:

 গীতিকলার নিজেরই একটি বিশেষ প্রকৃতি ও বিশেষ কাজ আছে। গানে যখন কথা থাকে তখন কথার উচিত হয় না সেই সুযোগে গানকে ছাড়াইয়া যাওয়া, সেখানে সে গানেরই বাহনমাত্র। গান নিজের ঐশ্বর্যেই বড়ো, বাক্যের দাসত্ব সে কেন করিতে যাইবে। বাক্য যেখানে শেষ হইয়াছে সেইখানেই গানের আরম্ভ। যেখানে অনির্বচনীয় সেইখানেই গানের প্রভাব‌। বাক্য যাহা বলিতে পারে না গান তাহাই বলে। এইজন্য গানের কথাগুলিতে কথার উপদ্রব যতই কম থাকে ততই ভালো…( গান সম্বন্ধে প্রবন্ধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।

সংগীত জীবনের আরম্ভ:

ঠাকুরবাড়ির পরিবেশ থেকেই রবীন্দ্রনাথ গানের প্রেরণা পান খুব অল্প বয়সে। জীবনস্মৃতিতে কবি বলেছেন- সাহিত্যের শিক্ষায়, ভাবের চর্চায়, বাল্যকাল হইতে জ্যোতিদাদা আমার প্রধান সহায় ছিলেন। তিনি নিজে উৎসাহী এবং অন্যকে উৎসাহ দিতে তাঁহার আনন্দ। আমি অবাধে তাঁহার সঙ্গে ভাবের ও জ্ঞানের আলোচনায় প্রবৃত্ত হইতাম; তিনি বালক বলিয়া আমাকে অবজ্ঞা করিতেন না…তাঁর কথানুযায়ী জ্যোতিদাদা তাকে যে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন সেইরূপ স্বাধীনতা কখনো কেউ বালক রবিকে দেয় নাই, অনেকে এই নিয়ে বিরক্ত হইতেনও বটে।

নতুন দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ তাকে ইউরোপীয় সংগীতের সঙ্গে পরিচিত করেন এবং যদুভট্ট, শ্রীকণ্ঠ সিংহ প্রমূখ প্রখ্যাত গায়কের সান্নিধ্যে তিনি ধ্রুপদী সংগীত, টপ্পা অর্থাৎ শাস্ত্রীয় ধারার গানের মর্মলোকে পরবর্তীতে জমিদারি পরিদর্শন ও পূর্ববঙ্গবাসের দরুন বাংলার খাঁটি লোকসংগীত বাউল সংগীত অর্থাৎ মাটির নিজস্ব লোক ঢং এর গানের প্রতি তিনি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন।

প্রথম পর্বে পাশ্চাত্য সংগীত ও ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীত (রাগ রাগিনী) ভেঙে নিজস্ব ধরনের নীতি প্রয়োগ করে গান রচনা করেন কবি, পরবর্তীতে অগ্রসর করলেন পাশ্চাত্য- প্রাদেশিক গান রচনায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের মোট সংখ্যা আনুমানিক প্রায় ২২০০ কাছাকাছি প্রাচ্য-পাশ্চাত্যে মেলবন্ধন ও লোক-লৌকিক সব ধরনের মিশ্র বা অবিমিশ্র রূপকে অবলম্বন করে তিনি তার গান রচনা শুরু করেন কিন্তু পরবর্তীতে ধীরে ধীরে আমরা দেখতে পাই তাদের প্রভাবকে আত্মস্থ করে তিনি নিজস্ব একটি সুরবিন্যাসের রীতিকে বিকশিত করে তোলেন, এই নীতি সম্পূর্ণভাবেই একটা স্বয়ংপ্রভ সংগীতধারায় পরিণতি পায়।

মূল বিষয়বস্তু:

রবীন্দ্রনাথের গীতিকাব্য এবং কাব্যগীতি, অর্থাৎ সুরহীন কবিতা ও সুরাশ্রিত গান একই পল্লবের যুগ্মকিশলয়, যেন অনাদি- প্রতিভার একই উৎস থেকে যুগলমিলন স্রোতে ভেসে এসেছে। তাই কবির কাব্যগ্রন্থের মধ্যেও গানের অবিরাম যাতায়াত, গানের গ্রন্থেও কবিতার স্থায়ী বাসা।

নাটকে সংগীতের প্রয়োগ:

রবীন্দ্রনাথের নাট্যসাহিত্য বিপুল এবং জীবনের প্রায় প্রথমপর্ব থেকেই কবি নাটককে গীতস্নিগ্ধ করার জন্য সংগীতের অকৃপণ ব্যবহার করেছেন। বস্তুত সংগীত তাঁর নাটকে একটি বিশিষ্ট মাত্রা যোজনা করেছে। শেষ জীবনে সংগীতের দ্বৈতাদ্বৈতেই নাট্যরীতির প্রতিষ্ঠার দ্বারা রবীন্দ্রনাথ তাঁর নাট্যপ্রতিভার পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছেন।

রবীন্দ্রনাথের নাট্যসংগীতগুলিকে সাধারণত দুই শ্রেণীতে স্থূল ভাবে ভাগ করা যায়। প্রথম, নাটকের প্রয়োজনে রচিত এবং দ্বিতীয়, পূর্বে অন্য কোন উপলক্ষে রচিত পরে প্রাসঙ্গিক সূত্রে নাটকের সংযোজিত।

রবীন্দ্রনাথের নাট্য সৃষ্টির তথা প্রচলিত বিভাগ বহুতর- গীতিনাট্য, কাব্যনাট্য, নৃত্যনাট্য, রূপকসাংকেতিক বা তত্ত্বনাট্য, প্রহসনাত্মক নাট্য, সামাজিক নাট্য রূপে শব্দগুলি প্রথাগত আলোচনা গ্রন্থে নির্দেশিত হয়েছে।রবীন্দ্রনাথ তাঁর এই সকল শ্রেণির নাটকেই কিন্তু সংগীত ব্যবহার করেছেন- দুই একটি ব্যতিক্রম ছাড়া।

রবীন্দ্রনাথের নাটকের সংগীতগুলির সুর প্রয়োগেও বহু বিচিত্রতা লক্ষ্য করা যায়।

এরমধ্যে গীতিনাট্য বাল্মিকী প্রতিভা’ সম্পর্কে দু একটি কথা বলা যাক। প্রথমবার বিলাত থেকে এসে প্রত্যাবর্তনের পর স্পেন্সারের এক প্রবন্ধ The origin and function of music হাতে এসে পড়ায় রবীন্দ্রনাথের মনে সংগীত ও অভিনয় সম্পর্কে এক নবতর ভাবনার উদয় হয় এই ভাবনা থেকেই বাল্মিকী প্রতিভার’ জন্ম। এই নাটকটিতে বিলাতী সুরের প্রাধান্য দেখা যায়। বাল্মিকী প্রতিভার সুর সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ নিজে যদিও বলেছেন যে তার মধ্যে মাত্র তিনটি গান বিদেশি সুর অবলম্বনে রচিত কিন্তু মনে হয় এই গীতিনাট্যের অত্যন্ত পরিচিত ১০ টি আরো গান যা ইংরেজি গানের চিহ্ন বহন করেন।

তবে আয় সবে আয় সুর অজ্ঞাত

কালী কালী বল রে আজ – Nancy lee.

মরি ও কাহার বাছা – Go where glory Waits thee.

 এগুলি ছাড়াও আরো কয়েকটি গানে বিদেশি সুর ও ছন্দের অনুকরণ লক্ষনীয়।

১. এক ডোরে বাধা আছে

২. গহনে গহনে যারে তোরে

৩. আর না আর না

৪. এনেছি মোরা এনেছি মোরা

তেমনি রক্তকরবী (১৯২৬) নাটকের প্রথম গান পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে’ গানটিতে যেমন বাংলার নিজস্ব মাটির সুর অর্থাৎ লোকসুরের এর ছায়া দেখতে পাওয়া যায় অপরদিকে এই নাটকেই আরেকটি উল্লেখযোগ্য গান বিশু পাগলের কন্ঠে-তোমায় গান শোনাবো’ গানটিতে কবির নিজস্ব সুরের স্বতন্ত্রতা কথার ভাবাবেগকে নাটকের প্লটে এক অনন্য মাত্রায় উন্নীত করে। রক্তকরবীর নন্দিনীর কানে একদিন বাহির হতে বেজেছিল বাঁশির ডাক- ভালোবাসি ভালোবাসি, এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায় বাঁশি’ গানটির স্বতন্ত্র রাবীন্দ্রিক সুর যেন জীবনের বাঁকে বাঁকে সেই একটি বাঁশি যে চঞ্চলচপলার চকিত ইশারা হয়ে হাতছানি দিয়েছেন।

তবে, কবি রচিত নাট্যগীতির সকল ক্ষেত্রেই নাট্যসংগীত গুলি পূর্বযুগের নাটকের মতো কেবল অবকারঞ্জনের জন্য প্রয়োগ হয়নি, হয়েছে কাব্যের গভীর প্রয়োজনে।

গল্পে সংগীতের প্রয়োগ:

রবীন্দ্রনাথ গল্পকার তো ছিলেন বটেই তবে আমাদের বাংলা সাহিত্যে প্রথম ছোটগল্পকার তিনি। সঙ্গে তার উপন্যাসের দক্ষতা ও আধুনিকতা পাঠককূলের পাঠনসুধারসে পরিপ্লুত। সংগীতের সরাসরি প্রয়োগ উপন্যাস, গল্প, ছোটগল্পে না থাকলেও যে প্রেমবিচিত্ররসে গল্পগাঁথা তা পাঠকমনকে কল্পনার জারক রসে নিষিক্ত করে সুরসঞ্চার করে।

পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথের বহু ছোটগল্প, গল্প, উপন্যাস নিয়ে মিডিয়া অর্থাৎ চলচ্চিত্র জগতে বহু প্রশংসনীয় কাজ হয়েছে এবং মনোরঞ্জন ও আধুনিকতার কথা মাথায় রেখে ব্যবহৃত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই গান যা উপন্যাসের গল্প থেকে চলচ্চিত্রের প্লট দুইয়েই প্রাসঙ্গিকতার সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। যা সমগ্র পাঠক, দর্শক সহ নেটিজেনদেরও মন জয় করে নিয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প সহ উপন্যাস যেন বাংলা সাহিত্যে এক নতুন দিক সূচনা ঘটায়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় গল্প- উপন্যাস গুলির গ্রাহ্যতা বর্তমানেও কোন অংশে কম হয়নি। বউ ঠাকুরানীর হাট থেকে গোরা,  চোখের বালি’  থেকে নৌকাডুবি, পরবর্তীতে একটি  সুনির্দিষ্ট প্রেমতত্ত্বকে সামনে রেখে কাব্যময় প্রণয় রোমান্স শেষের কবিতা’ উপন্যাসরূপে অত্যন্ত উপাদেয় ও সুখপাঠ্য।

উপন্যাসিক রবীন্দ্রনাথ এবং ছোট গল্পকার রবীন্দ্রনাথ অনেক সময় পাশাপাশি কাছাকাছি তাইনষ্টনীর উপন্যাসধর্মী ছোটগল্প আরচতুরঙ্গ’ ছোটগল্পধর্মী উপন্যাস।

কবিতায় সংগীতের প্রয়োগ:

কবিচিত্ত কাব্যস্ফুরণের উষালগ্ন থেকেই গীতসুধারসে পরিপ্লুত। কবিজীবনের প্রথম পর্ব থেকেই দেখা যায়, স্বতন্ত্রভাবে যেমন তিনি গান রচনা করেছেন, তেমনি কাব্যগ্রন্থভুক্ত কবিতার উপরও সুরারোপ করে তাদের সংগীত করে তুলেছেন অথবা সুরাশ্রিত কাব্যগীতিকে গীতকবিতাররূপে কাব্যগ্রন্থে স্থান দিয়েছেন। সাধারণত সুরের সহযোগিতায় কাব্যের বাণী অনির্বচনীয়তা লাভ করে বলে গানের ভাষা পঠনীয় কবিতারূপে আপনার দৈন্যকে গোপন করতে পারে না। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে সুরব্যতিরিক্ত কাব্যগীতিগুলির মধ্যেই গীতধর্মিতার নীরব আবেদন পুঞ্জিভূত হয়ে থাকে। তাঁর‌ প্রথম জীবনের কাব্যগ্রন্থগুলিতে সংগীতগান শব্দদয়ের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষণীয়। সংগীত শব্দটি যেনো তাঁর কবিজীবনের উষালগ্নের ধ্রুবপদরূপে বারবার ঘুরে এসেছে।

কবিতার সমান্তরাল ধারায় রবীন্দ্রনাথ নিরলস ভাবে গান বেঁধেছেন। কবিতায় যেমন প্রেম, প্রকৃতি, পূজা, স্বদেশ, প্রভৃতির অনুধ্যান তেমনি সুরারোপিত কবিতায়ও সেই কাব্যমূর্তির ভাব বজায় রেখে প্রয়োগ করেছেন সুরবৈচিত্র্য। কবির প্রথম জীবনের কাব্যসাধনা তার কাছে কিশোর কণ্ঠের গীতচর্চার প্রতিমান বলেই গৃহীত হয়েছে। কবিতা ও গানের এই সুবিশাল পর্বে সুক্ষ্ম শিল্পগত প্রভেদ নেই তা বোঝাই যাচ্ছে। গান আরম্ভ’ কবিতায় কবির প্রথম জীবনের কাব্যসূচনাকে সংগীত সাধনা বলেই তিনি চিহ্নিত করেছেন। কারণ ‘টলোমল মেঘের মাঝারে’ ঘর বেঁধে অনন্ত আকাশের কোলে কবি যে কবিতা শুরু করেছেন, তারই নাম ‘গান আরম্ভ’। ‘হৃদয়ের গীতধ্বনি’ কবিতার সূচনাতেও সেই একই গানের অনুষঙ্গ:

ও কী সুরে গান গাস হৃদয় আমার?

শীত নাই গ্রীষ্ম নাই বসন্ত শরৎ নাই,

দিন নাই রাত্রি নাই- অবিরাম অনিবার

ও কী সুরে গান গাস হৃদয় আমার?

বসিয়া বসিয়া সেথা বিশীর্ণ মলিন প্রাণ

গাহিতেছে একই গান একই গান একই গান

পারিনি শুনিতে আর একই গান একই গান।

সংগীত-সংক্রান্ত এবং সংগীত-অনুষঙ্গবাহী অজস্র শব্দ কবির প্রথম জীবনের প্রায় প্রতিটি কাব্যেই ছড়িয়ে আছে। রবীন্দ্রনাথের কাব্যসঙ্গীত যেমন সুরের অরূপ লোক থেকে গীতকবিতার বাঙ্ময় রূপলোকে নেমে এসেছে, রবীন্দ্রনাথের গীতকবিতা তেমনি বাকসাম্রাজ্য থেকে সুরের অসীম অনন্তের দিকে অভিসারী। একটিতে গান থেকে কবিতা আরেকটিতে কবিতা থেকে গান।

কবির লেখনি কেবল কথায় সীমাবদ্ধ থাকতে পারেনি, তাই কথাকে অতিক্রম করে সে সুর হয়ে উঠেছে আর সে সুর গানের প্রচলিত আঙ্গিকে অনুসরণ করেনি, তা যেন ছিল কবিতাপাঠেরই একটি অতিরিক্ত মাত্রা।

ছবি ও গান’ (১২৯০) থেকেই রবীন্দ্রনাথের কাব্যগ্রন্থের সংগীতের অবিচল প্রতিষ্ঠা দেখা যায়। কেবল শব্দ বা অনুষঙ্গে নয়, এক একটি গোটা কবিতাকেই সুর এসে গ্রাস করেছে। এবং রবীন্দ্রনাথের শেষ জীবন পর্যন্ত আমরা লক্ষ্য করব কিভাবে তাঁর কাব্যগ্রন্থগুলির বহু কবিতায় যুগপৎ কবিতা এবং স্বতন্ত্রভাবে রবীন্দ্রসংগীত হয়ে উঠেছে। ছবি ও গানের উল্লেখযোগ্য কে?’ কবিতাটিতে সুর সংযোজিত হয়েছে এবং যথাযথভাবে অথবা পরিবর্তিত আকারে রবীন্দ্রসঙ্গীত রূপে পরিচিত হয়েছে।

আমার প্রাণের পরে চলে গেল কে (কে?)

বসন্তের বাতাস টুকুর মত!

সে যে ছুঁয়ে গেল নুয়ে গেল রে,

ফুল ফুটিয়ে গেল শত শত

উপসংহার:

আধুনিকতার দিক থেকে আমাদের ভারতীয় সংগীতকারদের পরম্পরায় রবীন্দ্রনাথ একটি বিশেষ দিক থেকে অনন্য মর্যাদার অধিকারী কারণ এত বিপুলসংখ্যক গান এমন বিচিত্র প্রকরণের সুরবিন্যাস এবং সুর ও কথায় এরকম সুনিবিড় সম্পর্ক তাঁর আগে বা পরে দেখা যায়নি।

আধুনিকতার সংজ্ঞায় স্বয়ং কবি তার লেখনীতেই বার্তা দিয়ে গেছেন –

আজি হতে শতবর্ষ পরে

কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি কৌতূহলভরে

আজি হতে শতবর্ষ পরে।

আমার বসন্তগান তোমার বসন্তদিনে ধ্বনিত হউক ক্ষণতরে

হৃদয়স্পন্দনে তব ভ্রমরগুঞ্জনে নব পল্লবমর্মরে

 আজি হতে শতবর্ষ পরে। (চিত্রা ১৮৯৬)

সহায়ক গ্রন্থ:

  • সংগীতচিন্তা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
  • জীবনস্মৃতি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
  • বাংলা কাব্যসঙ্গীত ও রবীন্দ্রসংগীত, ড. অরুণকুমার বসু
  • রবিরশ্মি, চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।