January 1, 2024

Preventive Use of Instrumental Music for Wellness

LOKOGANDHAR ISSN : 2582-2705
Indigenous Art & Culture

Sayanta Ganguly, Research Scholar, Sister Nivedita University, Kolkata West Bengal

Abstract: This study delves into the multifaceted benefits of incorporating instrumental music as a preventive measure for overall health and well-being. Music has long been recognized for its therapeutic properties, but this research focuses specifically on the preventive aspects of instrumental compositions. Through a comprehensive review of existing literature and empirical studies, we examine how instrumental music, devoid of lyrics, can positively influence various aspects of mental, emotional, and physical health. From stress reduction and anxiety alleviation to cognitive enhancement and immune system support, the preventive potential of instrumental music is explored across diverse demographic groups. The study also investigates the integration of instrumental music into daily routines, highlighting its role in fostering relaxation and promoting preventive mental health practices. Findings from this research contribute to the growing body of knowledge on the preventive applications of instrumental music, offering insights that can inform lifestyle interventions and enhance overall wellness strategies.

সুস্থতার জন্য যন্ত্রসংগীতের ব্যবহার

মানসিক চাপ কমানো বা অবসাদ দূর করার জন্য সঙ্গীতের নানাবিধ ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্বন্ধে আমরা জানি। সেখানে রোগীর পছন্দের সঙ্গে মিলিয়ে সঙ্গীত ও সুর শোনানো হয়। অর্থাৎ যাঁর চিকিৎসা দরকার তাঁর যদি রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনা অভ্যাস থাকে তবে তার পছন্দের শিল্পীর গান শোনানো হবে। নজরুলের গান পছন্দের হলে তাই শুনতে চাইবেন রোগী। এইভাবেই রোগীর ইচ্ছার সঙ্গে মিলিয়ে নিরাময় ব্যবস্থার একটা রূপরেখা তৈরি করার দরকার হয়ে পড়ে।

যন্ত্রসঙ্গীতের গ্রহন যোগ্যতার পরিধি অনেক বড়ো। ফলে দেশ বিদেশের সব সীমাকে অতিক্রম করে ইতিবাচক প্রভাবের জন্য যন্ত্রসঙ্গীত ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। মানসিক চাপ কমানোর জন্য প্রায় সব ধরণের যন্ত্রসঙ্গীতই খুব সহযেই পরিস্থিতি ও পরিবেশের সঙ্গে মিলিয়ে কাজে লাগানো যেতে পারে। সাধারণভাবে খুব মৃদুভাবে যন্ত্রসঙ্গীতের প্রয়োগ দরকার। যেকোন অফিসে, কর্মক্ষেত্রে, জেলখানায়, থানাতে, যন্ত্রসঙ্গীতের সুর সাউণ্ড সিস্টেম মৃদুভাবে চালিয়ে রেখে সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলায় বেশ সাফল্য পাওয়া গেছে। বিভিন্ন অফিসে যন্ত্রসঙ্গীতের ব্যবহার বেড়েছে। 

গবেষণায় দেখা গেছে মনের ক্লান্তি, অবসাদ, দুঃখ, যন্ত্রনার অবসান ঘটিয়ে আরামদায়ক করে তোলার জন্য ধীর লয়ের ভারতীয় উচ্চাঙ্গ যন্ত্র সঙ্গীতের শান্ত সুর, শরীরে মানসিক চাপ কমানোর যথেষ্ট ক্ষমতা রাখে। এই শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া স্ট্রেস হরমোনের উৎপাদন কমাতে সাহায্য করে এবং প্রশান্তি বোধের সঞ্চার করে। যন্ত্রসঙ্গীত মানুষের চিন্তার গভীরে গিয়ে যে অনুভুতির সৃষ্টি করে তা’ মনকে চাপমুক্ত করে,  দুচিন্তা এবং উদ্বেগ থেকে সরিয়ে দেয়।

‘The findings of the present study suggest that salivary cortisol, anxiety, depression and stress levels were significantly decreased in male medical students after following music therapy with Indian classical instrumental music (raga) for a month. Moreover, a significant decrease in blood pressure, heart rate and fasting blood sugar levels were recorded after the music

therapy. Therefore, we strongly suggest music therapy for medical students suffering from stress and anxiety to decrease the stress level and enhance mental health. However, further studies on a larger population are required to make a general policy to facilitate better mental health of medical students.’[1]

আবেগ নিয়ন্ত্রণ : সঙ্গীতের সাহায্যে মানুষের আবেগ নিয়ন্ত্রিত হয় ও হৃদয়বোধ জাগ্রত হয়।  যন্ত্র সঙ্গীতের ছোট ছোট অংশগুলি আবেগের সুনিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে  কার্যকর হতে পারে। কোন একটি প্রশান্তিদায়ক বেহালা, সরোদ, সেতার বা পিয়ানোর রচনা বা একটি ধীর লয়ের বৃন্দবাদন মানুষের মানসিক অবস্থাকে বা  মেজাজকে স্থিতিশীল করতে এবং উন্নত করতে পারে৷

 উন্নত মননশীলতা: যন্ত্রসংগীত শোনা বর্তমান মুহুর্তের দিকে মনোযোগ দিয়ে মননশীলতাকে উৎসাহিত করে। এই মননশীল শ্রবণ শিথিলকরণ কৌশল বা ধ্যান অনুশীলনের অংশ হতে পারে, যা ব্যক্তির চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতি সম্পর্কে আরও সচেতন হতে সহায়তা করে।

শারীরবৃত্তীয় উত্তেজনা কমানো: যন্ত্রসংগীতে শারীরবৃত্তীয় উত্তেজনা হ্রাস করার সম্ভাবনা রয়েছে, যেমন হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ। এটি শারীরিক এবং মানসিক শিথিলতার সামগ্রিক অনুভূতিতে অবদান রাখে।

উন্নত ঘুমের গুণমান: অনেকে দেখতে পান যে ঘুমানোর আগে যন্ত্রসঙ্গীত শোনা ঘুমের গুণমান উন্নত করতে পারে। ধীরগতির, শান্ত সুরগুলি একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে, যা ব্যক্তিদের শান্ত হওয়া এবং ঘুমিয়ে পড়া সহজ করে তোলে।

কর্মক্ষেত্র, স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ মানসিক চাপ কমাতে যন্ত্রসংগীত ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি শান্ত সঙ্গীত পরিবেশ তৈরি করা সামগ্রিক পরিমণ্ডলকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে এবং চাপ কমাতে সাহায্য পারে।

এটা মনে রাখা দরকার যে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের জন্য যন্ত্রসংগীতের কার্যকারিতা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পরিবর্তিত হতে পারে। ব্যক্তিগত পছন্দগুলির জন্য কোনটি সবচেয়ে ভাল কাজ করে তা খুঁজে বের করার জন্য বিভিন্ন শৈলীর সুর সৌন্দর্যের  ব্যবহার আলাদাভাবে হতে পারে। সবার ক্ষেত্রে একই ধরণের সুরের প্রয়োগে একরকম ফলাফল পাওয়া যায় না।  স্ট্রেস কমানোর সঙ্গীতের অনুশীলন করানো যেতে পারে। অতিরিক্তভাবে, অন্যান্য স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কৌশলগুলির সাথে যন্ত্রসঙ্গীতের সংমিশ্রণ কাজে লাগবে। সঙ্গে প্রাণায়াম, অল্প শারিরীক সঞ্চালনও বেশ কাজে লাগতে পারে।

মানসিক চাপ জীবনে আসবেই। সৃজনশীলতা, শিক্ষা ও জ্ঞান লাভের জন্য এবং বেঁচে থাকার জন্য প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু মানসিক চাপ আসে। সেই মানসিক চাপ তখনই ক্ষতিকর যখন এটি অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে এবং স্নায়ুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ভারসাম্যের সুস্থ অবস্থাকে বাধা দেয়। যখন মানসিক চাপ স্নায়ুতন্ত্রকে ভারসাম্যের বাইরে ঠেলে দেয়, তখন শারিরীক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় এবং এই মানসিক চাপকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করে। যখন স্ট্রেস স্নায়ুতন্ত্রকে আচ্ছন্ন করে ফেলে তখন আপনার শরীর রাসায়নিক পদার্থে প্লাবিত হয় যা “লড়াই ” এর জন্য আমাদের শরীরকে এক অসুস্থতার দিকে নিয়ে যায়। এর জন্য নানা রকমের ওষুধ রয়েছে। কিন্তু অনেক সময় সে সব ওষুধ ঠিকমতো কার্যকর হয় না। তখন যন্ত্র সঙ্গীতের সুর অসাধারণ বিকল্প হয় ওঠে। বা, পাশাপাশি সঙ্গীতের ব্যবহার রোগীকে দ্রুত নিরাপদ অবস্থায় নিয়ে যায়।    

বহিঃ প্রকৃতির ধ্বনি তরঙ্গই সঙ্গীত। তাঁরই অনুরনন হয় অন্তরে। সৃষ্টি হয় বিচিত্র ভাব এবং রসের। এই রসের সঙ্গেই সংযোগ আমাদের মানব দেহের। বহিঃ প্রকৃতির প্রকাশে মানবদেহে বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হয়। কখনো বা কর্মকাণ্ডের মধ্যে আবার কখনো বা মানসিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে।

মানবদেহে গঠিত হয়েছে বিভিন্ন অঙ্গ বা কোষের সমন্বয়ে এবং তার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ও শক্তি উৎপন্নের প্রধান বিষয় গুলি হল- ১) শ্বাস ২) খাদ্য ৩) নিদ্রা এবং ৪) শান্ত মন। মানব দেহের শক্তি উৎপন্ন হয় বিশেষ কিছু কোষের সংযোগস্থলে। এই সংযোগস্থল গুলিকে গ্রন্থি বা চক্র বলা হয়। চক্র মানে চাকা অর্থাৎ যে স্থান থেকে মানব শরীরে শক্তি উৎপন্ন হয়। মানবদেহে প্রায় শতাধিক চক্র আছে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বা প্রধান হল ৭ টি। এই চক্র থেকে যে শক্তি উৎপন্ন হয়, Even যখন ঊর্ধ্বমুখী হয় তখন তাকে আমরা “Positive Energy” বলে থাকি।  যখন তা নিম্নমুখী হয় তখন তাকে আমরা “Negative  Energy” বলে থাকি। উল্লেখযোগ্যভাবে মানবদেহের এই শক্তি উৎপন্নের ক্ষেত্রে নাদ বা শব্দের প্রয়োগ বিশেষভাবে কার্যকরী। ‘From focusing on the overall well-being to feeling relaxed and grounded, each of the 7 main chakras is of unique importance. They start from the very end of your spinal cord and go all the way to the pinnacle of your head.

Chakra balancing is the process of reaching a place of balance between the spirit, body and health. It ensures that there is a harmonious flow of energy throughout the body.
From focusing on the overall well-being to feeling relaxed and grounded, each of the 7 main chakras is of unique importance. They start from the very end of your spinal cord and go all the way to the pinnacle of your head.’[2]

অন্যদিকে রোগ হল কোন প্রাণী বা উদ্ভিদের কাঠামো অথবা কার্যকারিতার বাধা বিশেষত এমন একটি নির্দিষ্ট লক্ষণ তৈরি করে কিন্তু শারীরিক আঘাতের সরাসরি ফলাফল নাও হতে পারে অর্থাৎ  জীবের দেহের কোন শক্তির অস্বাভাবিকতা বা অক্ষমতা বোঝার।

রোগ বা ব্যাধি আমরা দুই ভাগে বিভক্ত করতে পারি :-

 ১) শারীরিক এবং ২) মানসিক

মানসিক অবসাদ থেকে মানসিক রোগের সৃষ্টি হয়। কোভিড ১৯ ২র সময় ভারতবর্ষে ৮৮% মানুষ মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হয়েছিল বলে একটি রেপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। বর্তমানে তার সংখ্যা অনেকটা কমেছে। সেই সংখ্যাটাও আমাদের বেশ ভাবিয়ে তোলে। এত পরিমান মানুষ প্রতিদিন সামাজিক জটিলতার কারনে অবসাদে আক্রান্ত হচ্ছেন। ‘ccording to the report, current workplace environment and financial instability are the major factors affecting stress levels in Indians. A staggering 24 per cent of Indians are struggling with stress of various kinds, according to the GOQii, a smart-tech-enabled healthcare platform that brings together the entire preventive healthcare ecosystem. According to the GOQii India Fit Report 22-23’s Stress & Mental Health Study conducted among 10,000+ Indians, the current workplace environment and financial instability have become the top 2 major factors affecting stress levels among Indians.’[3] নিয়মিত সঙ্গীত চর্চা, সঙ্গীত শোনা বা সঙ্গীতের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ মানসিক যেকোন ধরণের চাপকে প্রশমিত করতে সাহায্য করে। তবে প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে তার পরিস্থিত ভিন্ন হতে পারে। সঙ্গীতের প্রয়োগও ভিন্ন হওয়া স্বাভাবিক। তবে কিছু সাধারণ দিক প্রত্যেকের মধ্যেই থাকে। সাধারণভাবে সব ভারটিয়দের মধ্যেই ভারতীয় যন্ত্রসঙ্গীতের বিশেষ করে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের মৃদু সুর মনকে শান্ত করার ক্ষমতা রাখে। প্রাথমিকভাবে এটা প্রয়োগ করার পরে মন বা ব্যক্তির অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সুরের প্রয়োগ করা যায়। আর যন্ত্র সঙ্গীত তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছন্দেই সকলের মধ্যেই ব্যবহার করা যায়।    

মানসিক অবসাদ বা হতাশা থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন “মন”কে শান্ত ও আয়ত্বে রাখাই মূল উদ্দেশ্য। সঙ্গীত সৃষ্টিতে শব্দ বা নাদ হচ্ছে প্রধান এবং সঙ্গীত হলো গীত, বাদ্য এবং নৃত্যের সমন্বয়ে গঠিত। প্রধানত বাদ্য যন্ত্রের ক্ষেত্রে “শব্দ” বা “নাদই” হলো প্রধান ।

ভারতীয় সঙ্গীতের  ইতিহাসে মুনি ভরতের নাট্যশাস্ত্রের (বাদ্যাধ্যয়ে) আমরা বাদ্যযন্ত্রের চারটি শ্রেণীবিভাগ দেখতে পাই। যথা- ১) ঘনবাদ্য, ২) সুষীরবাদ্য, ৩) ততবাদ্য এবং ৪) আনদ্ধবাদ্য।

এই প্রত্যেক শ্রেণীর বাদ্যযন্ত্রের তরঙ্গ ও কম্পনের প্রভাব মানব দেহের বিভিন্ন চক্রের উপর প্রভাব ফেলে। শারঙ্গদেবের সঙ্গীত রত্নাকরে এই চক্র এবং তার বর্ণনা পাওয়া যায় সেইগুলি হল যথাক্রমে –

১) মূলাধার চক্র

২) স্বাধিষ্ঠান চক্র

৩) মণিপুর চক্র

৪) অনাহত চক্র

৫) বিশুদ্ধ চক্র

৬) আজ্ঞা চক্র

৭) সহস্রার চক্র

শারঙ্গদেবের সঙ্গীত রত্নাকরে এই চক্রগুলি বর্ণনা করা হয়েছে, যা হিন্দু সাহিত্যে প্রচুরভাবে প্রচলিত:

মূলাধার চক্র (Muladhara Chakra): এটি শরীরের নিচের অংশে অবস্থিত হয়ে থাকে এবং এটির সাথে সম্পর্কিত বৈশিষ্ট্য সঞ্চিত থাকে।

স্বাধিষ্ঠান চক্র (Svadhishthana Chakra): এটি নাভির কাছে অবস্থিত এবং সঙ্গীতের সাধনায় এই চক্রটির মহত্ত্ব বর্তমান থাকে।

মণিপুর চক্র (Manipura Chakra): এটি নাভি এবং হৃদয়ের মাঝে অবস্থিত এবং শক্তিশালী গানের সাধনায় এই চক্রটি গুরুত্বপূর্ণ।

অনাহত চক্র (Anahata Chakra): এটি হৃদয়ের কাছে অবস্থিত এবং ভালোবাসার, করুণার এবং সহানুভূতির বাসস্থান।

বিশুদ্ধ চক্র (Vishuddha Chakra): এটি কন্ঠের কাছে অবস্থিত এবং শক্তিশালী বক্তৃতা এবং গানের ক্ষেত্রে এই চক্রটি গুরুত্বপূর্ণ।

আজ্ঞা চক্র (Ajna Chakra): এটি মাথার মধ্যে অবস্থিত এবং বুদ্ধি এবং অতীন্দ্রিয় জ্ঞানের ক্ষেত্রে এই চক্রটি গুরুত্বপূর্ণ।

সহস্রার চক্র (Sahasrara Chakra): এটি শিরের শীর্ষে অবস্থিত এবং অনন্ত বোধ এবং দৈব বৈচিত্র্যের সাথে সম্পর্কিত।[4]

এই চক্রগুলি যোগাযোগ করে একটি ব্যক্তি তার আত্মা এবং সম্পূর্ণ বিশ্ব সংসারে আত্মা বা ব্রহ্মর সাথে। শারঙ্গদেব মনে করেন এই চক্রগুলির মাধ্যমে সঙ্গীত এবং ধ্যানের মাধ্যমে আত্মার সামগ্রিক উন্নতি ও পরমাত্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ সম্ভব। শার্ঙ্গদেব এর বিশ্লেষনে জানা যায়, ঘন বাদ্য মানবদেহে আজ্ঞা চক্রকে প্রভাবিত করে। তত বাদ্য মানবদেহে মনিপুর চক্রকে প্রভাবিত করে। সুষির বাদ্য মানবদেহে অনাহত চক্রকে প্রভাবিত করে। আনদ্ধ বাদ্য মানবদেহে মূলাধার চক্রকে প্রভাবিত করে।

বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শক্তি বিভিন্ন ভাবে মানবদেহে প্রভাব ফেলছে। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট বাদ্যযন্ত্রের শব্দ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মানবদেহে শক্তি উৎপন্ন করছে এবং বাদ্যযন্ত্রের ছন্দ ও তাল মনের উপর প্রভাব ফেলছে। এই সমগ্র শব্দ শক্তি বিভিন্ন মানসিক চাপ ও প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করছে, ফলে মানষিক অবসাদ ও মানসিক রোগের প্রবনতা হ্রাস পায়। সঙ্গীতের এই  ক্ষমতাই প্রমাণ করে সঙ্গীত রোগ মুক্তিতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন নকারাত্মাক ক্ষমতাকে সকারাত্মক ক্ষমতায় পরিবর্তন ঘটাতে পারে।


তথ্যসূত্র

[1] https://www.ijop.net/index.php/ijop/article/download/1331/1220#:~:text=Conclusion%3A%20The%20findings%20of%20the,anxiety%20in%20male%20medical%20students.

[2] https://timesofindia.indiatimes.com/life-style/health-fitness/home-remedies/what-are-the-7-chakras-in-our-body-here-is-a-complete-breakdown/articleshow/70605207.cms

[3] https://www.deccanherald.com/business/24-of-indians-are-struggling-with-stress-report-1197723.html

[4] https://yogainternational.com/article/view/what-are-the-7-chakras/