নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভি. বালসারা — দুই কিংবদন্তির সান্নিধ্যে- ভবানীশঙ্কর দাশগুপ্ত
সঙ্গীতের আবহাওয়ায় জন্মেছি ও বড় হয়েছি। আমার জীবনের প্রায় প্রতিটি দিনই সংগীতের সুরে, তাল-লয়ে ও রাগ-রাগিণীতে ভরপুর। শৈশব থেকেই অসংখ্য বিখ্যাত গায়ক ও বাদককে দেখেছি—কখনও ছবিতে, কখনও বাস্তব জীবনে। ছয়-সাত বছর বয়স থেকেই রাগের নাম শুনলেই কোনো না কোনো স্বর মনে আসত, আর গলায় তুলতে পারতাম তার আভাস।
আমার বাবা, পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, ছিলেন স্বনামধন্য সরোদবাদক ও আলাউদ্দিন খাঁর মাইহার ঘরানার বিশিষ্ট শিষ্য। তিনি যখন রেওয়াজ করতেন, আমি পাশে বসে ব্যাডমিন্টন র্যাকেট হাতে তাঁর অনুকরণ করতাম। বাবার গুরুজনদের মধ্যে জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ, ধ্রুবতারা যোশী প্রমুখের সঙ্গে আমি শৈশবেই পরিচিত হয়েছিলাম। তাঁরা মাঝে মাঝে গানের কলি গেয়ে রাগের নাম জিজ্ঞেস করতেন—কিছু ঠিক ধরতে পারতাম, কিছু আবার নয়। এখন ফিরে দেখি, সেসব ছিল একান্তই ছেলেমানুষি; কিন্তু সংগীতের সঙ্গে আমার আত্মিক বন্ধনের সূচনা তখনই ঘটে।
প্রথম সাক্ষাৎ: নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়
১৯৭৫ সালের কথা। নবম শ্রেণিতে পড়ি, ইমন রাগের বিলম্বিত গৎ শিখছি। হঠাৎ একদিন বাবা নিয়ে গেলেন রবীন্দ্রসদনে এক অনুষ্ঠানে, যেখানে প্রধান শিল্পী ছিলেন কিংবদন্তি সেতারবাদক পণ্ডিত নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯৩১–১৯৮৬)।
তিনি সেদিন বাজালেন এক অপ্রচলিত রাগ—হেমন্ত। তাঁর সেতারের প্রথম আলাপেই যেন পুরো হল নিস্তব্ধ হয়ে গেল। সেই সুরধ্বনি, সেই রাগের ব্যঞ্জনা যেন অন্য জগতের কোনো ভাষা—“সেতার যে শুধু যন্ত্র নয়, এক জীবন্ত আত্মা, তা সেদিনই প্রথম উপলব্ধি করলাম।”
নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাজনা নিয়ে অনেকেই বলতেন- “He plays with devotion, not ambition. That is why his sitar sings, not shouts.”এই উক্তিটি নিখিলকাকার ব্যক্তিত্ব ও সঙ্গীতদর্শনের সবচেয়ে যথার্থ সংজ্ঞা।
কিছুদিন পরেই নিখিলকাকা আমাদের কেয়াতলার বাড়িতে বেড়াতে এলেন। বসার ঘরে বাবা ও ঠাকুর্দার সঙ্গে ঘন্টার পর ঘন্টা গল্প করলেন। তিনি ছিলেন ‘মাইহার ঘরানা’র এক জীবন্ত প্রতীক। তাঁর মুখে শুনলাম গুরু আলাউদ্দিন খাঁ-এর কঠোর শৃঙ্খলার কাহিনি—
“গাধা পিটিয়ে ঘোড়া বানানো একটা কথা আছে,” বলেছিলেন নিখিলকাকা হাসতে হাসতে।
তিনি স্মৃতিচারণ করছিলেন কিভাবে আলাউদ্দিন খাঁ ছাত্রের বাঁ হাতে রক্ত ঝরিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই মীড়টাই অবশেষে বেরিয়ে এসেছিল যন্ত্র থেকে। বাবা হেসে বলেছিলেন, “আজকাল এরকম করলে ছাত্রের মা-বাবা গুরুর নামে পুলিশে ডায়েরি করবে!”
এই রসবোধ, এই প্রখর মানবিকতা—নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গীতচিন্তার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য। তাঁর বাজনায় যেমন ছিল গভীর তপস্যা, তেমনি ছিল হৃদয়ের কোমলতা। রাগ রাগেশ্রী-তে তাঁর দক্ষতা ছিল অনন্য। আমি আজও মনে করি, “ওস্তাদ বিলায়েত খাঁ সাহেবের পর রাগেশ্রীর প্রকৃত মর্ম একমাত্র নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ই ধরতে পেরেছিলেন।” বিলায়েত খাঁ নিজেও এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন,
“Among the younger ones, Nikhil has the soul of our gharana. He doesn’t copy, he converses.”
১৯৮৬ সালের জানুয়ারিতে নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের আকস্মিক প্রয়াণে ভারতীয় সেতার যেন তার সুর হারাল। সত্যিই, আমরা এক প্রাণবন্ত রসিক মানুষকে অকালেই হারালাম—এ আমাদের সংগীত-ইতিহাসের গভীরতম বেদনা।
পণ্ডিত নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন ভারতের এক অনন্য সেতারবাদক। তিনি ১৯৩১ সালে কলকাতায় জন্মেছিলেন। ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি গভীর ভালোবাসা ছিল তাঁর। পরে তিনি মাইহার ঘরানার মহান গুরু উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ-র কাছে সেতার শিখেছিলেন। তাঁর বাজনায় শান্ত ভাব, গভীরতা আর ধ্যানের রঙ পাওয়া যেত। তিনি সেতারকে কেবল একটি বাদ্যযন্ত্র হিসেবে নয়, এক ধ্যানের মাধ্যম হিসেবে দেখতেন।
নিখিলবাবুর সঙ্গীতে কখনও তাড়াহুড়ো বা চটকদার প্রদর্শন ছিল না—তিনি ধীরে, কোমলভাবে রাগকে বিকশিত করতেন। তাঁর বাজনায় যেন এক অন্তরের শান্তি ও ভক্তির ছোঁয়া থাকত। তিনি সারা পৃথিবীতে ভারতীয় সেতারের মর্যাদা বাড়িয়েছেন এবং পেয়েছেন পদ্মভূষণ পুরস্কারও। ১৯৮৬ সালে তাঁর মৃত্যু হলেও, তাঁর সঙ্গীত আজও শ্রোতার মনে গভীর ছাপ রেখে যায়।
ভি. বালসারা:
আরেকজন যাঁর সান্নিধ্যে আসার সৌভাগ্য হয়েছিল, তিনি হলেন ভি. বালসারা (Victor Balsara)—ভারতীয় সঙ্গীতের এক বহুমাত্রিক প্রতিভা। জন্মসূত্রে পার্শী হলেও তিনি মনেপ্রাণে ছিলেন বাঙালি। বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি—সব ভাষায় ছিলেন সমান সাবলীল, এবং পশ্চিমী ও ভারতীয় উভয় সঙ্গীতেরই ছিলেন বিশারদ।
১৯৮০ সালে, আমি সদ্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় বাবা আমায় নিয়ে যেতেন বৌবাজারের অক্রূর দত্ত লেনে, বালসারা সাহেবের স্টুডিওতে। দুজনে সরোদ ও পিয়ানো নিয়ে যুগলবন্দীর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল, নিখুঁত শ্রোতা, এবং অত্যন্ত রসিক।
তারপর এল এক অবিস্মরণীয় সন্ধ্যা—সাদার্ন এভিনিউর বিড়লা একাডেমি, যেখানে বাবা ও বালসারা সাহেব মঞ্চে একসঙ্গে রাগ ইমন পরিবেশন করলেন। তবলায় ছিলেন পণ্ডিত স্বপন চৌধুরী, আর তানপুরা আমি নিজেই ছেড়েছিলাম। কলকাতার প্রায় সব সংবাদপত্রে এই যুগলবন্দীর ভূয়সী প্রশংসা ছাপা হল। এক পত্রিকার শিরোনামেই লেখা ছিল—
“When Sarod met Piano, Raag became a rainbow.”
কিছুদিন পর বালসারা সাহেবের স্টুডিওতে রেকর্ড করা হল তিনটি রাগ—ইমন, আহির ভৈরব ও কাফি—যা পরে এইচ. এম. ভি. থেকে প্রকাশিত হয় এবং শ্রোতাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
তাঁর নির্দেশে এক রবিবার আমি গিয়েছিলাম বৃন্দবাদনের মহড়ায়, যেখানে ছিলেন আমার বয়সী আরও অনেকে—বেহালা, বাঁশি, ক্ল্যারিনেট, গিটার হাতে। তিনি নিজে হারমোনিয়ামে রাগগুলি বাজিয়ে আমাদের তোলাচ্ছিলেন, প্রতিটি স্বরের উচ্চারণ নিখুঁত করে দিচ্ছিলেন। পরে আমরা কলকাতা দূরদর্শনে সেই রচনাগুলি রেকর্ড করলাম। সেটিই ছিল আমার শিল্পীজীবনের প্রথম টেলিভিশন আত্মপ্রকাশ।
বালসারা সাহেব প্রায়ই বলতেন, “Music is not about playing notes; it’s about saying something without words.”
এই বাণী আজও আমার কাছে এক আজীবন পথনির্দেশ।
ভারতীয় সঙ্গীতের ইতিহাসে এমন কিছু শিল্পী আছেন, যাঁরা দুই ভিন্ন ধারাকে—পূর্ব ও পশ্চিম, ধ্রুপদী ও আধুনিক, ক্লাসিক ও পপুলার—অদ্ভুত এক সঙ্গমে মিলিয়ে দিতে পেরেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ভি. বালসারা (V. Balsara)—একজন পিয়ানোবাদক, সুরকার, অর্কেস্ট্রা-সংগঠক, এবং সর্বোপরি এক উদার মানবিক শিল্পী, যিনি “সুর”কে কেবল সীমানার মধ্যে নয়, হৃদয়ের মধ্যে দেখতে শিখিয়েছিলেন।
ভিক্টর বালসারা জন্মেছিলেন একটি পার্শি পরিবারে, গুজরাটে, ১৯২২ সালে। ছোটবেলা থেকেই তাঁর সংগীতপ্রেম ছিল প্রবল। ইউরোপীয় সঙ্গীতশিক্ষার সঙ্গে তিনি যুক্ত হন কৈশোরেই—ট্রিনিটি কলেজ অব মিউজিক (লন্ডন) থেকে তিনি পিয়ানো ও ওয়েস্টার্ন থিওরি অফ মিউজিক বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেন। একইসঙ্গে ভারতীয় সংগীতের প্রতিও তাঁর গভীর টান জন্মায়, বিশেষ করে রাগভিত্তিক সুরচর্চা তাঁকে মুগ্ধ করেছিল।
তাঁর নিজের কথায়—“Music is a universal language; it needs no translation, only realization.”
১৯৪০-এর দশকে বালসারা কলকাতায় চলে আসেন এবং এখানেই তিনি হয়ে ওঠেন এক সর্বজনপ্রিয় নাম। ভারতীয় রেডিও, চলচ্চিত্র, মঞ্চ ও টেলিভিশনে তাঁর সঙ্গীতের অবদান অনন্য।
তিনি ছিলেন All India Radio-এর নিয়মিত শিল্পী, পরে সেখানে সংগীত পরিচালক হিসেবেও কাজ করেন। তাঁর হাতে তৈরি হয়েছিল কলকাতার অন্যতম প্রথম মিউজিক অর্কেস্ট্রা, যেখানে ভারতীয় ও পাশ্চাত্য বাদ্যযন্ত্রের যুগলবন্দি এক নতুন সংগীতরসের জন্ম দেয়।
তিনি পিয়ানো, হারমোনিয়াম, ইলেকট্রনিক অর্গান এবং অ্যাকর্ডিয়ন—সব যন্ত্রেই ছিলেন সমান দক্ষ। তাঁর রচনায় ক্লাসিকাল রাগের পরিশুদ্ধ রূপ যেমন ছিল, তেমনি তার সঙ্গে পাশ্চাত্য হারমনি ও কর্ড প্রগ্রেশনের অনবদ্য ব্যবহারও দেখা যেত।
১৯৫০–৭০ দশকের বাংলা সিনেমায় তিনি অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সুর দিয়েছেন। তাঁর সুরে সংগীত পেয়েছিল নতুন মাত্রা—ক্লাসিকাল রাগের উপর আধুনিক হর্মোনিক টেক্সচার।
যুগলবন্দি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা
ভি. বালসারা ছিলেন এক “সংগীত-অন্বেষী”। তিনি কখনোই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তাঁর স্টুডিও, বৌবাজারের অক্রুর দত্ত লেন, ছিল যেন এক সঙ্গীত-প্রয়োগশালা। এখানে আসতেন বিভিন্ন ঘরানার শিল্পীরা—সরোদ, সেতার, বাঁশি, গিটার, বেহালা, তবলা, এমনকি পাশ্চাত্য ক্ল্যারিনেটবাদকরাও। পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত-র সঙ্গে তাঁর সরোদ–পিয়ানো যুগলবন্দি সেই সময়ের এক ঐতিহাসিক ঘটনা। তাঁরা মিলে তৈরি করেছিলেন এক রেকর্ডে তিনটি রাগ—ইমন, আহির ভৈরব ও কাফি, যা পরবর্তীতে এইচ. এম. ভি. (HMV) থেকে প্রকাশিত হয়ে শ্রোতাদের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলে।
এক সংবাদপত্রে সমালোচক লিখেছিলেন—
“When Balsara’s piano met Buddhadev’s sarod, it was not a fusion—it was a dialogue between East and West.”
এই যুগলবন্দি ছিল এক “সেতুবন্ধন”—যেখানে রাগ ইমন-এর খেয়ালধর্মী গাম্ভীর্য মিশেছিল পিয়ানোর ক্রোমাটিক সৌন্দর্যে। বালসারা সাহেব ছিলেন এক অমায়িক, উদার, এবং গভীরভাবে মানবিক মানুষ। তিনি শিল্পীদের উৎসাহ দিতেন, নবীন প্রতিভাদের সুযোগ দিতেন।
যেমন তিনি একবার বলেছিলেন—“তুমি যদি রেওয়াজে সত্যি মন দাও, আমি তোমাকে টিভিতে রেকর্ড করাব।”
আর সত্যিই তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছিলেন। প্রতি রবিবার তাঁর স্টুডিওতে যেতাম, বৃন্দবাদনের মহড়া হত—কাফি, মারওয়া, বিলাবল—এই তিন রাগে তিনটি রচনার অনুশীলন। শেষ পর্যন্ত আমরা কলকাতা দূরদর্শনে সেই রচনাগুলি রেকর্ড করেছিলাম। সেটিই ছিল আমার জীবনের প্রথম টেলিভিশন আত্মপ্রকাশ।
ভি. বালসারা ২০০৫ সালে প্রয়াত হন, কিন্তু তাঁর সৃষ্টি আজও বেঁচে আছে। তিনি ছিলেন এমন এক শিল্পী, যিনি ভারতীয় সংগীতকে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যাওয়ার পথ খুলে দিয়েছিলেন। তাঁর অনুপ্রেরণায় অনেকেই পরে “ফিউশন মিউজিক” বা “ইন্ডো-ওয়েস্টার্ন মিউজিক” নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। যেমন সঙ্গীত সমালোচক সুবিনয় রায় একবার বলেছিলেন—“Balsara was not just a pianist; he was a philosopher of sound.” তিনি শিখিয়েছিলেন—সঙ্গীতের সীমা নেই, কেবল দৃষ্টিভঙ্গির সীমা আছে। ভি. বালসারা ছিলেন এক বহুমাত্রিক প্রতিভা, যিনি সংগীতকে ধর্ম, ভাষা, জাতি—সব সীমানা পেরিয়ে মানুষের মধ্যে মিলনের এক ভাষায় রূপ দিয়েছিলেন। তাঁর পিয়ানোর প্রতিটি কর্ড যেন বলত— “সুরের কোনো ধর্ম নেই, সুরের শুধু আত্মা আছে।”
তিনি বাঙালির সংগীত-সংস্কৃতিতে এমন এক জায়গা নিয়ে আছেন, যেখানে কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা একাকার হয়ে যায়। নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভি. বালসারা—দু’জনেই ছিলেন দুই মেরু। একজন ছিলেন তপস্যামগ্ন রাগসাধক, অন্যজন ছিলোন নবজাগরণের প্রতীক, যিনি পিয়ানো ও সরোদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছিলেন।
তাঁদের সংস্পর্শে এসে আমি উপলব্ধি করেছিলাম, সঙ্গীত কেবল অনুশীলন নয়, এক জীবনদর্শন। আজ তাঁরা কেউই নেই, কিন্তু তাঁদের সুর, তাঁদের হাসি, তাঁদের কথা আমার মধ্যে আজও প্রতিধ্বনিত হয় : “যাঁরা সংগীতের মানুষ, তাঁরা আসলে সময়ের বাইরেই বাস করেন।”